একজন রসূল, যিনি তোমাদের কাছে আল্লাহর সুস্পষ্ট আয়াতসমূহ পাঠ করেন, যাতে বিশ্বাসী ও সৎকর্মপরায়ণদের অন্ধকার থেকে আলোতে আনয়ন করেন। যে আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করে ও সৎকর্ম সম্পাদন করে, তিনি তাকে দাখিল করবেন জান্নাতে, যার তলদেশে নদী প্রবাহিত, তথায় তারা চিরকাল থাকবে। আল্লাহ তাকে উত্তম রিযিক দেবেন।
(And has also sent to you) a Messenger (Muhammad SAW), who recites to you the Verses of Allâh (the Qur’ân) containing clear explanations, that He may take out, those who believe and do righteous good deeds from the darkness (of polytheism and disbelief) to the light (of Monotheism and true Faith). And whosoever believes in Allâh and performs righteous good deeds, He will admit him into Gardens under which rivers flow (Paradise), to dwell therein forever. Allâh has indeed granted for him an excellent provision.
رَّسُولًا يَتْلُو عَلَيْكُمْ آيَاتِ اللَّهِ مُبَيِّنَاتٍ لِّيُخْرِجَ الَّذِينَ آمَنُوا وَعَمِلُوا الصَّالِحَاتِ مِنَ الظُّلُمَاتِ إِلَى النُّورِ وَمَن يُؤْمِن بِاللَّهِ وَيَعْمَلْ صَالِحًا يُدْخِلْهُ جَنَّاتٍ تَجْرِي مِن تَحْتِهَا الْأَنْهَارُ خَالِدِينَ فِيهَا أَبَدًا قَدْ أَحْسَنَ اللَّهُ لَهُ رِزْقًا
Rasoolan yatloo AAalaykum ayati Allahi mubayyinatin liyukhrija allatheena amanoo waAAamiloo alssalihati mina alththulumati ila alnnoori waman yu/min biAllahi wayaAAmal salihan yudkhilhu jannatin tajree min tahtiha al-anharu khalideena feeha abadan qad ahsana Allahu lahu rizqan
YUSUFALI: An Messenger, who rehearses to you the Signs of Allah containing clear explanations, that he may lead forth those who believe and do righteous deeds from the depths of Darkness into Light. And those who believe in Allah and work righteousness, He will admit to Gardens beneath which Rivers flow, to dwell therein for ever: Allah has indeed granted for them a most excellent Provision.
PICKTHAL: A messenger reciting unto you the revelations of Allah made plain, that He may bring forth those who believe and do good works from darkness unto light. And whosoever believeth in Allah and doeth right, He will bring him into Gardens underneath which rivers flow, therein to abide for ever. Allah hath made good provision for him.
SHAKIR: An Messenger who recites to you the clear communications of Allah so that he may bring forth those who believe and do good deeds from darkness into light; and whoever believes in Allah and does good deeds, He will cause him to enter gardens beneath which rivers now, to abide therein forever, Allah has indeed given him a goodly sustenance.
KHALIFA: a messenger who recites to you GOD’s revelations, clearly, to lead those who believe and work righteousness out of the darkness into the light. Anyone who believes in GOD and leads a righteous life, He will admit him into gardens with flowing streams; they abide therein forever. GOD will generously reward him.
১১। একজন রসুল, যে তোমাদের নিকট আল্লাহ্র নিদর্শন সমূহ আবৃত্তি করে এবং ব্যাখ্যা করে, যেনো সে, যারা ঈমান আনে ও সৎকাজ করে, তাদের অন্ধকারের অতল থেকে আলোতে নিয়ে আসতে পারে ৫৫২৫। এবং যে আল্লাহতে বিশ্বাস করে ও সৎ কাজ করে, আল্লাহ্ তাকে বেহেশত দান করবেন, পাদদেশে যার নদী প্রবাহিত, সেখানে তারা চিরদিন থাকবে। অবশ্যই আল্লাহ্ তাদের জন্য উত্তম জীবনোপকরণ দান করবেন।
৫৫২৫। অবিশ্বাসী ও পাপে নিমগ্ন আত্মা হচ্ছে গভীর অন্ধকারে নিমজ্জিত আত্মা। কারণ এ সব আত্মাতে আল্লাহ্র হেদায়েতের আলো প্রবেশ লাভ ঘটে নাই। এদের বর্ণনা পবিত্র কোরাণে এভাবে দান করা হয়েছে; “তাহাদের কর্ম গভীর সমুদ্র তলের অন্ধকার সদৃশ, যাহাকে আচ্ছন্ন করে তরঙ্গের উপর তরঙ্গ, যাহার উর্দ্ধে মেঘপুঞ্জ, অন্ধকারপুঞ্জ স্তরের উপরে স্তর, এমনকি সে হাত বের করলে তা আদৌ দেখতে পাবে না। আল্লাহ্ যাকে’ জ্যোতি দান করেন না, তার জন্য কোন জ্যোতি নাই। ” [ ২৪ : ৪০ ]। আবার দেখুন আয়াত [ ২ : ২৫৭ ] যেখানে বলা হয়েছে, ” যারা ঈমান আনে, আল্লাহ্ তাহাদের অভিভাবক তিনি তাদের অন্ধকার থেকে বের করে আলোকে নিয়ে যান।” এই আলো হচ্ছে আত্মার আলো। ব্যক্তি যখন সৎপথে আল্লাহ্ প্রেমে নিবেদিত থাকে তখন সে এক অত্যাচার্য আত্মিক শক্তির অধিকার লাভ করে, যে শক্তি তার অন্তরে আলোর দীপ্তি দান করে। তার জ্ঞান, প্রজ্ঞা, দূরদর্শিতা, অর্ন্তদৃষ্টি, বিচক্ষণতা প্রভৃতি এতটাই বৃদ্ধি পায় যে, সে ইহলোকে অতিক্রম করে পার্থিব দেহের ব্যবধানকে অতিক্রম করে, অপার্থিব ও অলৌকিক জীবনের সন্ধান লাভ করে। একেই বলা হয়েছে, “জ্যোতি”।