অনেক জনপদ তাদের পালনকর্তা ও তাঁর রসূলগণের আদেশ অমান্য করেছিল, অতঃপর আমি তাদেরকে কঠোর হিসাবে ধৃত করেছিলাম এবং তাদেরকে ভীষণ শাস্তি দিয়েছিলাম।
And many a town (population) revolted against the Command of its Lord and His Messengers, and We called it to a severe account (i.e. torment in this worldly life), and shall punish it with a horrible torment (in Hell, in the Hereafter).
وَكَأَيِّن مِّن قَرْيَةٍ عَتَتْ عَنْ أَمْرِ رَبِّهَا وَرُسُلِهِ فَحَاسَبْنَاهَا حِسَابًا شَدِيدًا وَعَذَّبْنَاهَا عَذَابًا نُّكْرًا
Wakaayyin min qaryatin AAatat AAan amri rabbiha warusulihi fahasabnaha hisaban shadeedan waAAaththabnaha AAathaban nukran
YUSUFALI: How many populations that insolently opposed the Command of their Lord and of His messengers, did We not then call to account,- to severe account?- and We imposed on them an exemplary Punishment.
PICKTHAL: And how many a community revolted against the ordinance of its Lord and His messengers, and We called it to a stern account and punished it with dire punishment,
SHAKIR: And how many a town which rebelled against the commandment of its Lord and His messengers, so We called it to account severely and We chastised it (with) a stern chastisement.
KHALIFA: Many a community rebelled against the commands of its Lord and against His messengers. Consequently, we held them strictly accountable, and requited them a terrible requital.
রুকু – ২
৮। কত সম্প্রদায় উদ্ধতভাবে আল্লাহ্র আদেশ ও রাসুলদের বিরুদ্ধাচারণ করেছিলো ৫৫২১। আমি কি তাদের নিকট থেকে হিসাব গ্রহণ করি নাই – কঠিন হিসাব ? এবং আমি তাদের উপরে আরোপ করেছিলাম দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ৫৫২২।
৫৫২১। যুগে যুগে আল্লাহ্ ও তার রসুলগণকে অস্বীকার করার ফলে বিভিন্ন জাতির ভাগ্যে নেমে এসেছিলো মহা দুর্যোগ। তারা শুধু যে আল্লাহকেই অস্বীকার করতো তাই নয়, তারা আল্লাহ্র যে সব বিধান যা বিশ্ব প্রকৃতির আইন, যা আল্লাহ্ মানুষের কল্যাণের জন্য করেছেন, তাকেও তারা অস্বীকার করে। এসব বিধান সমূহে বর্ণিত আছে, মানুষের সাথে মানুষের আচরণ কিরূপ হওয়া উচিত, আত্মীয়, স্বজন, সামাজিক দায় দায়িত্ব প্রভৃতিতে দয়া, সহানুভূতি ও কর্তব্যের স্থান নির্ধারিত করে দেয়া হয়েছে। পরিবারের প্রতি কর্তব্য, সন্তানের প্রতি দায়িত্ব,সম্বন্ধে বলা হয়েছে পূর্ববর্তী আয়াত সমূহে। ব্যক্তি জীবন পরিবার থেকেই শুরু হয়ে মানুষকে পরিচালিত করে সুখ শান্তি ও আত্মশুদ্ধির পথে। আদম সন্তান পৃথিবীর জীবন যাপনের মাধ্যমেই এই ধূলার ধরণীকে অতিক্রম করে আধ্যাত্মিক জীবনের প্রান্তে উপণীত হতে পারে। আধ্যাত্মিক জীবনের সাফল্য নির্ভর করে পার্থিব জীবনের সাফল্যের উপরে, পবিত্রতার উপরে। এই সাফল্যের মূল কেন্দ্র বিন্দু হচ্ছে বৈবাহিক জীবনের পবিত্রতা, দায়িত্ব ও কর্তব্য। যে পারিবারিক জীবনে আল্লাহ্র বিধানকে অস্বীকার করে থাকে তার পারিবারিক জীবন ধ্বংস হতে বাধ্য। সে পারিবারিক জীবনের সুখ শান্তি থেকে শুধু যে বঞ্চিত হবে তাই-ই নয়, তার জন্য পরলোকের জীবনের সুখ শান্তিও অন্তর্হিত হবে। কারণ ইহকালের জীবনই হচ্ছে পরলোকের জীবনের শষ্যক্ষেত্র স্বরূপ। ইহকালের কর্মের ফল লাভ ঘটবে মৃত্যু পরপারের জীবনে। সুতারাং যারা বৈবাহিক জীবনে আল্লাহ্র বিধানকে অস্বীকার করে তাদের পরিণাম ভয়াবহ। এ কথা যে শুধুমাত্র ব্যক্তির জন্যই প্রযোজ্য তাই নয়, এ কথা একটি জাতি বা যে কোনও সমাজের জন্য সমভাবে প্রযোজ্য। পাশ্চাত্য সভ্যতা উন্নতির চরম শিখরে আরোহণ করা সত্ত্বেও তাদের আধ্যাত্মিক জীবনে চরম শূণ্যতা লক্ষ্য করা যায় তার কারণ তারা পারিবারিক জীবন সম্বন্ধে যত্নশীল নয়। প্রাচুর্য তাদের আধ্যাত্মিক জীবনে শান্তি আনতে ব্যর্থ হয়েছে।
৫৫২২। এখানে যে শাস্তির উল্লেখ করা হয়েছে, সে শাস্তি হচ্ছে পৃথিবীর জীবনের শাস্তি। পরলোকের শাস্তির উল্লেখ আছে নীচের ১০নং আয়াতে।