মুমিনগণ, জুমআর দিনে যখন নামাযের আযান দেয়া হয়, তখন তোমরা আল্লাহর স্মরণের পানে ত্বরা কর এবং বেচাকেনা বন্ধ কর। এটা তোমাদের জন্যে উত্তম যদি তোমরা বুঝ।
O you who believe (Muslims)! When the call is proclaimed for the Salât (prayer) on the day of Friday (Jumu’ah prayer), come to the remembrance of Allâh [Jumu’ah religious talk (Khutbah) and Salât (prayer)] and leave off business (and every other thing), that is better for you if you did but know!
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا إِذَا نُودِي لِلصَّلَاةِ مِن يَوْمِ الْجُمُعَةِ فَاسْعَوْا إِلَى ذِكْرِ اللَّهِ وَذَرُوا الْبَيْعَ ذَلِكُمْ خَيْرٌ لَّكُمْ إِن كُنتُمْ تَعْلَمُونَ
Ya ayyuha allatheena amanoo itha noodiya lilssalati min yawmi aljumuAAati faisAAaw ila thikri Allahi watharoo albayAAa thalikum khayrun lakum in kuntum taAAlamoona
YUSUFALI: O ye who believe! When the call is proclaimed to prayer on Friday (the Day of Assembly), hasten earnestly to the Remembrance of Allah, and leave off business (and traffic): That is best for you if ye but knew!
PICKTHAL: O ye who believe! When the call is heard for the prayer of the day of congregation, haste unto remembrance of Allah and leave your trading. That is better for you if ye did but know.
SHAKIR: O you who believe! when the call is made for prayer on Friday, then hasten to the remembrance of Allah and leave off trading; that is better for you, if you know.
KHALIFA: O you who believe, when the Congregational Prayer (Salat Al-Jumu`ah) is announced on Friday, you shall hasten to the commemoration of GOD, and drop all business. This is better for you, if you only knew.
রুকু – ২
৯। হে বিশ্বাসীগণ ! যখন শুক্রবারের প্রার্থনার জন্য আহ্বান করা হবে ৫৪৬১, তখন ব্যবসা -বাণিজ্য বন্ধ রেখে আল্লাহকে আন্তরিক ভাবে স্মরণের জন্য দ্রুত অগ্রসর হও ৫৪৬২। ইহা তোমাদের জন্য উত্তম, যদি তোমরা জানতে ৫৪৬৩।
৫৪৬১। ‘শুক্রবার ‘ হচ্ছে মুসলিম বিশ্বের সমবেত প্রার্থনার দিন। এই সাপ্তাহিক দিনটিতে মুসলমানেরা সমবেত প্রার্থনার মাধ্যমে তাদের একতাকে উপলব্ধি করে। এই প্রার্থনার পূর্বে খুতবা পাঠ করা হয় যার মাধ্যমে ইমাম সাহেব সামাজিক জীবনের নৈতিক সমস্যাবলী, আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের পথ নির্দ্দেশ দান করে থাকেন। ধর্ম সম্বন্ধে আলোচনা দ্বারা পবিত্র জীবনযাপনের নির্দ্দেশ দান করা হয়। শুক্রবারে জুমার নামাজ মুসলমানদের জন্য সামাজিক সম্মেলনের এক বিশেষ আদর্শ। মুসলমানদের এবাদতকে নিম্নলিখিত ক্রম অনুযায়ী সাজানো যায় :
১) প্রত্যেক মুসলমান পাঁচ ওয়াক্ত ব্যক্তিগত ভাবে নামাজের মাধ্যমে আল্লাহকে স্মরণ করে থাকে। তার এই এবাদত স্থান হতে পারে নিজের বাড়ী বা কর্মক্ষেত্র বা স্থানীয় মসজিদ বা উম্মুক্ত প্রান্তর ইত্যাদি।
২) গ্রাম, শহর বা স্থানীয় মসজিদে শুক্রবারে সমবেত ভাবে প্রার্থনার মাধ্যমে।
৩) দুইটি ঈদে স্থানীয় ঈদগাহে সমবেত ভাবে প্রার্থনার মাধ্যমে।
৪) জীবনে অন্ততঃ একবার ‘হজ্ব’ নামক আন্তর্জাতিক সমাবেশে উপস্থিত থেকে আল্লাহ্র এবাদত করা। হজ্ব পালন করা হয় মক্কাতে ইসলামের কেব্লা কাবা শরীফে। এভাবেই ইসলামে ব্যক্তিগত এবাদত ও সমষ্টিগত এবাদতকে জীবনের সাথে সুন্দর ভাবে সমন্বিত করা হয়েছে। সমষ্টিগত এবাদতের আনুষ্ঠানিক দিকটি কার্যে পরিণত করা সহজ কিন্তু এর যে নৈতিক ও আধ্যাত্মিক দিক রয়ে গেছে তা কি জীবনে প্রতিফলিত করা এত সহজ ? সমষ্টিগত এবাদতের মূল কেন্দ্র বিন্দু হচ্ছে একতা, মুসলিম ভাতৃত্ব, আলোচনার মাধ্যমে পরস্পর সমঝোতা এবং বৃহত্তর মঙ্গলের জন্য সমবেত উপলব্ধি।
৫৪৬২। এই আয়াতের মাধ্যমে মুসলমানদের জুমার দিনের বৈশিষ্ট্যকে তুলে ধরা হয়েছে। ইহুদীরা শনিবারে সাবাথ দিবস পালন করে থাকে, সপ্তাহের এই একটি দিনে তারা সকল কর্ম বিরতি পালন করে। কারণ তারা বিশ্বাস করে আল্লাহ্ ছয়দিনে পৃথিবী সৃষ্টি করে সপ্তম দিনে বা শনিবারে বিশ্রাম গ্রহণ করেন। সুতারাং তারাও সেদিন বিশ্রাম নেয় এমন কি কোনও এবাদতেও তারা অংশগ্রহণ করে না। কিন্তু আল্লাহ্ স্পষ্ট ঘোষণা করেছেন যে, তিনি কখনও ক্লান্তিবোধ করেন না [ ২ : ২২৫ ]। মুসলমানেরা শুক্রবারকে সমবেত প্রার্থনা দিবস হিসেবে পালন করে থাকে। খৃষ্টানরা শনিবারকে পরিবর্তন করে তাদের সাবাত দিবস হিসেবে রবিবার পালন করে থাকে। কিন্তু তারা মূলত : ইহুদীদেরই অনুসরণ করে থাকে। মুসলিমদের উপরে আল্লাহ্র নির্দ্দেশ হচ্ছে – কোনও কর্মবিরতি নয়, যখন জুমার নামাজের সময় হবে, তোমাদের কাজকর্ম বন্ধ রাখ এবং সমবেত প্রার্থনায় যোগদান কর – আন্তরিকভাবে প্রার্থনার জন্য, আলোচনার জন্য এবং সামাজিক সম্পৃক্ততার জন্য। যখন জুমার নামাজ শেষ হবে, যে যার কর্মস্থলে ফিরে যাও। এই হচ্ছে মুসলিম দর্শন যা একতা সামাজিক সম্পৃক্ততা ও মুসলিম ভাতৃত্বের উপরে প্রতিষ্ঠিত।
৫৪৬৩। কিছুক্ষণ কর্মবিরতিতে হয়তো বা তোমাদের জন্য কিছু আর্থিক ক্ষতির সম্ভাবনা বয়ে আনবে। কিন্তু জুমার নামাজ ত্যাগ করে সামান্য আর্থিক লাভ পরলোকের অনন্ত জীবনের জন্য হবে বিরাট ক্ষতি।