তিনিই নিরক্ষরদের মধ্য থেকে একজন রসূল প্রেরণ করেছেন, যিনি তাদের কাছে পাঠ করেন তার আয়াতসমূহ, তাদেরকে পবিত্র করেন এবং শিক্ষা দেন কিতাব ও হিকমত। ইতিপূর্বে তারা ছিল ঘোর পথভ্রষ্টতায় লিপ্ত।
He it is Who sent among the unlettered ones a Messenger (Muhammad SAW) from among themselves, reciting to them His Verses, purifying them (from the filth of disbelief and polytheism), and teaching them the Book (this Qur’ân, Islâmic laws and Islâmic jurisprudence) and Al-Hikmah (As-Sunnah: legal ways, orders, acts of worship, etc. of Prophet Muhammad SAW). And verily, they had been before in mainfest error;
هُوَ الَّذِي بَعَثَ فِي الْأُمِّيِّينَ رَسُولًا مِّنْهُمْ يَتْلُو عَلَيْهِمْ آيَاتِهِ وَيُزَكِّيهِمْ وَيُعَلِّمُهُمُ الْكِتَابَ وَالْحِكْمَةَ وَإِن كَانُوا مِن قَبْلُ لَفِي ضَلَالٍ مُّبِينٍ
Huwa allathee baAAatha fee al-ommiyyeena rasoolan minhum yatloo AAalayhim ayatihi wayuzakkeehim wayuAAallimuhumu alkitaba waalhikmata wa-in kanoo min qablu lafee dalalin mubeenin
YUSUFALI: It is He Who has sent amongst the Unlettered a messenger from among themselves, to rehearse to them His Signs, to sanctify them, and to instruct them in Scripture and Wisdom,- although they had been, before, in manifest error;-
PICKTHAL: He it is Who hath sent among the unlettered ones a messenger of their own, to recite unto them His revelations and to make them grow, and to teach them the Scripture and wisdom, though heretofore they were indeed in error manifest,
SHAKIR: He it is Who raised among the inhabitants of Mecca an Messenger from among themselves, who recites to them His communications and purifies them, and teaches them the Book and the Wisdom, although they were before certainly in clear error,
KHALIFA: He is the One who sent to the gentiles a messenger from among them, to recite to them His revelations, purify them, and teach them the scripture and wisdom. Before this, they had gone far astray.
২। তিনিই নিরক্ষর ৫৪৫১ মানুষের জন্য তাদেরই মধ্য থেকে একজন রসুল পাঠিয়েছেন, যে তাদের নিকট আয়াত সমূহ ৫৪৫২ আবৃত্তি করে, তাদের পবিত্র করে এবং শিক্ষা দেয় কিতাব ৫৪৫৩ ও প্রজ্ঞা। যদিও ইতিপূর্বে তারা ছিলো সুস্পষ্ট বিভ্রান্তির মধ্যে ৫৪৫৪।
৫৪৫১। “উম্মীদের ” – এই শব্দটি দ্বারা রাসুলের (সা ) সমসাময়িক অজ্ঞ আরব এবং কিতাবধারী জাতিদের বোঝানো হয়েছে, যাদের মাঝে শিক্ষার প্রসার সত্বেও প্রকৃত সত্যকে অনুধাবনে যারা ছিলো অক্ষম। এদের কথা বলা হয়েছে ৫ নং আয়াতে। সমষ্টিগত ভাবে না নিয়ে যদি ব্যক্তিগত ভাবেও ধরা হয় তবুও এই আয়াতটির মমার্থ হচেছ আল্লাহ্র প্রত্যাদেশ সকল মানুষের কল্যাণের জন্য। জ্ঞানী [ অর্থকরী বিদ্যায় ] বা মূর্খতার মাঝে কোনও ভেদাভেদ নাই।
৫৪৫২। “তাহার আয়াত সমূহ ” – ইংরেজীতে আয়াত সমূহের অনুবাদ করা হয়েছে ‘Sign’ বা নিদর্শন হিসেবে। সৃষ্টির মাঝেই স্রষ্টার জ্ঞান, প্রজ্ঞা, শিল্পীসত্তার নিদর্শন বিদ্যমান। সৃষ্টির বিশ্ব ভূবনের মাঝে যে নিয়ম, শৃঙ্খলা বিদ্যমান তা স্রষ্টার প্রজ্ঞারই সাক্ষর। কোরাণের আয়াত সমূহ আল্লাহ্র প্রজ্ঞা ও জ্ঞানের বর্ণনায় সমৃদ্ধ। এখানে বিশেষ ভাবে বলা হয়েছে আল্লাহ্র ‘কিতাব ‘ সমূহের কথা।
৫৪৫৩। দেখুন [ ২ : ১২৯ ] আয়াত ও টিকা নং ১২৯। পূর্বের আয়াতে [ আয়াত – ১ ] আল্লাহ্র গুণবাচক নাম সমূহের বর্ণনা আছে। সেখানে বলা হয়েছে, আল্লাহ্ সার্বভৌম ক্ষমতার অধিপতি। সুতারাং পৃথিবীর সকল প্রাণ এবং বস্তু তারই সদয় তত্বাবধানের অর্ন্তগত। ধনী-গরীব,ছোট বড়, জ্ঞানী – মূর্খ সকলের কল্যাণের জন্য তিনি নবী ও রসুলদের প্রেরণ করে থাকেন। আল্লাহ্ মহাপবিত্র – সুতারাং তিনি পাপী ও কুসংস্কারে নিমজ্জিত ব্যক্তিদের পাপ ও কুসংস্কার মুক্ত করে পবিত্র করেন। আল্লাহ্ পরাক্রমশালী – সুতারাং যাকে খুশী তিনি তাঁর অনুগ্রহ দানে ধন্য করতে সক্ষম [ আয়াত ৩]। আল্লাহ্ প্রজ্ঞাময়, সুতারাং তিনি কিতাবের দ্বারা লিখিত ভাবে বা অন্যান্য মাধ্যমের দ্বারা মানুষকে জ্ঞান ও প্রজ্ঞা শিক্ষা দান করেন। অন্যান্য মাধ্যম : অর্থাৎ মানব জীবনের মাধ্যমে বা জীবন বিধানের বিভিন্ন আইনের মাধ্যমে বা বিশ্ব ব্রহ্মান্ডের সৃষ্টির অনুধাবনের মাধ্যমে ইত্যাদি। এ ভাবেই বিশ্বস্রষ্টা মানুষকে পবিত্র করে তাকে কিতাব ও হিকমত শিক্ষা দেন।
৫৪৫৪। অজ্ঞতা, ব্যক্তি বা জাতির জন্য আল্লাহ্র প্রত্যাদেশ ও অনুগ্রহ লাভের পক্ষে বাধা নয়। আল্লাহ্র অনুগ্রহ লাভের পূর্বশর্ত হচ্ছে ব্যক্তি বা জাতি তা লাভ করার জন্য আগ্রহান্বিত হবে এবং নিজেকে সে ভাবে প্রস্তুত করবে। সৎ জীবন যাপনের মাধ্যমে আত্মাকে প্রত্যাদেশ লাভের উপযুক্ত করতে হয় এবং অবাধ্যতা ত্যাগ করে বিনয়ের মাধ্যমে, প্রার্থনার মাধ্যমে আল্লাহ্র অনুগ্রহ লাভ করা যায়।