তিনিই আল্লাহ তিনি ব্যতিত কোন উপাস্য নেই। তিনিই একমাত্র মালিক, পবিত্র, শান্তি ও নিরাপত্তাদাতা, আশ্রয়দাতা, পরাক্রান্ত, প্রতাপান্বিত, মাহাত্ম্যশীল। তারা যাকে অংশীদার করে আল্লাহ তা’ আলা তা থেকে পবিত্র।
He is Allâh than Whom there is Lâ ilâha illa Huwa (none has the right to be worshipped but He) the King, the Holy, the One Free from all defects, the Giver of security, the Watcher over His creatures, the All-Mighty, the Compeller, the Supreme. Glory be to Allâh! (High is He) above all that they associate as partners with Him.
هُوَ اللَّهُ الَّذِي لَا إِلَهَ إِلَّا هُوَ الْمَلِكُ الْقُدُّوسُ السَّلَامُ الْمُؤْمِنُ الْمُهَيْمِنُ الْعَزِيزُ الْجَبَّارُ الْمُتَكَبِّرُ سُبْحَانَ اللَّهِ عَمَّا يُشْرِكُونَ
Huwa Allahu allathee la ilaha illa huwa almaliku alquddoosu alssalamu almu/minu almuhayminu alAAazeezu aljabbaru almutakabbiru subhana Allahi AAamma yushrikoona
YUSUFALI: Allah is He, than Whom there is no other god;- the Sovereign, the Holy One, the Source of Peace (and Perfection), the Guardian of Faith, the Preserver of Safety, the Exalted in Might, the Irresistible, the Supreme: Glory to Allah! (High is He) above the partners they attribute to Him.
PICKTHAL: He is Allah, than Whom there is no other Allah, the Sovereign Lord, the Holy One, Peace, the Keeper of Faith, the Guardian, the Majestic, the Compeller, the Superb. Glorified be Allah from all that they ascribe as partner (unto Him).
SHAKIR: He is Allah, besides Whom there is no god; the King, the Holy, the Giver of peace, the Granter of security, Guardian over all, the Mighty, the Supreme, the Possessor of every greatness Glory be to Allah from what they set up (with Him).
KHALIFA: He is the One GOD; there is no other god beside Him. The King, the Most Sacred, the Peace, the Most Faithful, the Supreme, the Almighty, the Most Powerful, the Most Dignified. GOD be glorified; far above having partners.
২৩। তিনিই আল্লাহ্, তিনি ব্যতীত অন্য কোন উপাস্য নাই ৫৪০১; তিনিই সার্বভৌম, পবিত্র, শান্তি [ ও পূর্ণতার ] উৎস, ঈমানের বিধায়ক, নিরাপত্তার রক্ষক ৫৪০২, পরাক্রমশালী, অপ্রতিরোধ্য, সর্বশ্রেষ্ঠ ৫৪০৩। মহিমা আল্লাহ্র। তারা আল্লাহ্র সম্বন্ধে যে শরীক আরোপ করে তিনি তার [ বহু ] উর্দ্ধে ৫৪০৪।
৫৪০১। ” তিনি ব্যতীত অন্য কোন উপাস্য নাই।” এই বাক্যটি পুনরাবৃত্তি করা হয়েছে আল্লাহ্র একত্বের ধারণাকে অন্তরের মাঝে অনুভবের মাঝে ধারণ করার প্রথম ধাপ হিসেবে টিকা নং ৫৪০০ তে বর্ণনা করা হয়েছে আল্লাহ্র একত্বকে অনুভবের প্রথম ধাপ। আল্লাহ্ সম্বন্ধে এই প্রাথমিক অনুভূতি অন্তরে দৃঢ়ভাবে অঙ্কিত হওয়ার পরেই শুধু সম্ভব হবে আল্লাহ্র অন্যান্য গুণাবলীকে উপলব্ধি করা।
৫৪০২। সমৃদ্ধ আরবী ভাষাতে সংক্ষেপে আল্লাহ্র মহিমান্বিত গুণাবলীকে যে ভাবে প্রকাশ করা হয়েছে, তাকি কোন অনুবাদকের পক্ষে প্রকৃত ভাষান্তরিত করা সম্ভব ? কারণ এই সংক্ষিপ্ত ও অপূর্ব সুন্দর শব্দাবলী যে ভাবকে প্রকাশ করেছে তা যে কোন ভাষাতে ভাষান্তরিত করা অসম্ভব।
১) “তিনিই সার্বভৌম ” অর্থাৎ আল্লাহ্ সার্বভৌম ক্ষমতার অধিপতি। সার্বভৌম শব্দটির দ্বারা বোঝানো হয় যার অবিসংবাদী কর্তৃত্ব, যিনি আদেশ দিতে সক্ষম এবং প্রশ্নাতীত আনুগত্য লাভের অধিকারী। যিনি ন্যায় ও আইন প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম।
২) ” তিনিই পবিত্র ” – মানুষের নিরঙ্কুশ ক্ষমতাকে অপব্যবহার করার প্রবণতা থাকে। কিন্তু একচ্ছত্র ক্ষমতার অধিকারী আল্লাহ্ এ অপবাদ মুক্ত। তিনি সকল অপবিত্রতা থেকে মুক্ত এবং সর্বোচ্চ পবিত্র।
৩) “তিনিই শান্তি ” – [ Salam] পরিপূর্ণ শান্তি, দ্বন্দ ও অশান্তি মুক্ত। পরিপূর্ণ শান্তিই শুধু নয়, এর দ্বারা দোষত্রুটি মুক্ত আত্মিক পরিপূর্ণতা বোঝায়। সে কারণে এ ভাবে বলা যায় যে, আল্লাহ্ হচেছন পূর্ণাঙ্গ প্রশান্তির উৎস।
৪) ‘Mumin’ – যিনি ঈমানকে অন্তরে ধারণ করেন, যিনি অন্যকে বিশ্বাস দান করেন, অন্যের ঈমান বা বিশ্বাসকে যিনি কখনও মিথ্যা প্রতিপন্ন করেন না। সে কারণেই বলা হয়েছে তিনিই ঈমানের বিধায়ক।
৫) ” নিরাপত্তার রক্ষক ” সকল অমঙ্গল, ক্ষতি, বিপদ ইত্যাদির তিনি একমাত্র রক্ষক। কোরানে [ ৫ : ৫১ ] আয়াতে এই বাক্যটি ব্যবহার করা হয়েছে। এগুলি সবই হচ্ছে আল্লাহ্র করুণা, দয়া ও সদয় তত্বাবধানকে বুঝানোর জন্য গুণবাচক উপাধি। পরের টিকাতে আল্লাহ্র ক্ষমতা ও পরাক্রম বুঝানোর জন্য যে সব গুণবাচক শব্দ সেগুলির উল্লেখ করা হয়েছে।
৫৪০৩। দেখুন উপরের টিকা।
৬ ) আল্লাহ্ শুধু মহান করুণাময়ই নন্, তিনিই পরাক্রমশালী। অর্থাৎ তিনি তার পরিকল্পনা কার্যকর করতে সক্ষম।
৭) যদি কোনও শক্তি আল্লাহ্র পথে বাঁধার সৃষ্টি করে, আল্লাহ্র ইচ্ছাই জয়যুক্ত হবে, কারণ “তিনিই অপ্রতিরোধ্য” ;
৮) আল্লাহ্ পৃথিবীর সকল বস্তু ও প্রাণের উপরে শ্রেষ্ঠ। “তিনিই সর্বশ্রেষ্ঠ।” আল্লাহ্র এসব গুণবাচক উপাধি বর্ণনার পরে তাঁর একত্বের ঘোষণার দ্বারা আয়াতটি শেষ করা হয়েছে যে ভাবে ২২ নং আয়াত শুরু করা হয়েছিলো।
৫৪০৪। মহিমান্বিত আল্লাহ্ যিনি দয়া ও করুণার আঁধার, যিনি তার সৃষ্টিকে প্রগাঢ় মমতায় ঘিরে থাকেন, তারই মহত্ব ও ক্ষমতা অনুধাবনের পরেও যে অন্য কিছুকে আল্লাহ্র সাথে শরীক করে সে নির্বোধ বই আর কিছু নয়। তার মহীমা ও গৌরব তুলনাহীন।