তারা সংঘবদ্ধভাবেও তোমাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে পারবে না। তারা যুদ্ধ করবে কেবল সুরক্ষিত জনপদে অথবা দুর্গ প্রাচীরের আড়াল থেকে। তাদের পারস্পরিক যুদ্ধই প্রচন্ড হয়ে থাকে। আপনি তাদেরকে ঐক্যবদ্ধ মনে করবেন; কিন্তু তাদের অন্তর শতধাবিচ্ছিন্ন। এটা এ কারণে যে, তারা এক কান্ডজ্ঞানহীণ সম্প্রদায়।
They fight not against you even together, except in fortified townships, or from behind walls. Their enmity among themselves is very great. You would think they were united, but their hearts are divided, that is because they are a people who understand not.
لَا يُقَاتِلُونَكُمْ جَمِيعًا إِلَّا فِي قُرًى مُّحَصَّنَةٍ أَوْ مِن وَرَاء جُدُرٍ بَأْسُهُمْ بَيْنَهُمْ شَدِيدٌ تَحْسَبُهُمْ جَمِيعًا وَقُلُوبُهُمْ شَتَّى ذَلِكَ بِأَنَّهُمْ قَوْمٌ لَّا يَعْقِلُونَ
La yuqatiloonakum jameeAAan illa fee quran muhassanatin aw min wara-i judurin ba/suhum baynahum shadeedun tahsabuhum jameeAAan waquloobuhum shatta thalika bi-annahum qawmun la yaAAqiloona
YUSUFALI: They will not fight you (even) together, except in fortified townships, or from behind walls. Strong is their fighting (spirit) amongst themselves: thou wouldst think they were united, but their hearts are divided: that is because they are a people devoid of wisdom.
PICKTHAL: They will not fight against you in a body save in fortified villages or from behind walls. Their adversity among themselves is very great. Ye think of them as a whole whereas their hearts are divers. That is because they are a folk who have no sense.
SHAKIR: They will not fight against you in a body save in fortified towns or from behind walls; their fighting between them is severe, you may think them as one body, and their hearts are disunited; that is because they are a people who have no sense.
KHALIFA: They do not get together to fight you unless they are in well-shielded buildings, or behind walls. Their might appears formidable among themselves. You would think that they are united, when in fact their hearts are divided. This is because they are people who do not understand.
১৪। সুরক্ষিত শহর সমূহ ভিন্ন কিংবা দেয়ালের পশ্চাৎ থেকে ব্যতীত তারা সংঘবদ্ধভাবে তোমাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করবে না ৫৩৯০। নিজেদের মধ্যে তাদের যুদ্ধ করার [সাহস ] প্রচন্ড। তোমার মনে হবে তারা একতাবদ্ধ,কিন্তু তাদের হৃদয় দ্বিধা বিভক্ত ৫৩৯১। তার কারণ এরা এক প্রজ্ঞাবিহীন সম্প্রদায়।
৫৩৯০। মোনাফেকদের অন্য আর একটি বৈশিষ্ট্য এই আয়াতের মাধ্যমে তুলে ধরা হয়েছে। তারা কখনও একতাবদ্ধ হতে সক্ষম হবে না। তাদের কোনও আত্মবিশ্বাস থাকবে না। তারা শুধুমাত্র পার্থিব সুযোগ সুবিধার নিরাপত্তার মাঝে যুদ্ধ করতে আগ্রহী হবে কোনও বিপদের ঝুঁকি নিতে তারা হবে নারাজ। তারা যদি ধর্ম যুদ্ধে যোগদানও করে, তাদের পরস্পরের প্রতি অবিশ্বাস তাদের যুদ্ধের যে প্রকৃত নৈতিক নীতিবল তা অর্জনে অক্ষম করবে। অর্থাৎ কোনও রূপ প্রতিকূলতার বিরুদ্ধে সংগ্রামে কোনও দিনই তারা অংশ গ্রহণ করবে না। এক কথায় তারা হবে সুবিধাবাদী ও পরস্পরকে প্রতি অবিশ্বাসী।
৫৩৯১। প্রকৃত পক্ষে মোনাফেকদের যুদ্ধ করার মত শৈর্য-বীর্য থাকে কিন্তু তাদের নিকট যুদ্ধ করার মত কোন মহত্তর ও বৃহত্তর কারণ থাকে অনুপস্থিত, যে কারণের জন্য মানুষ জীবন পর্যন্ত বিসর্জন দিতে কুন্ঠা বোধ করে না। ফলে তাদের মাঝে কোনও একত্ব থাকে না। স্বার্থপরতা সর্বদা বিভেদের জন্ম দেয়। মক্কার প্যাগান বা মোশরেকরা তাদের অন্যায় ও স্বার্থপর স্বেচ্ছাচারী কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠিত রাখতে আগ্রহী ছিলো, মদিনার মোনাফেকরা তাদের কর্তৃত্ব ধরে রাখতে আগ্রহী, ইহুদীরা তাদের বংশ গৌরবের শ্রেষ্ঠত্ব প্রতিষ্ঠাতে ছিলো আগ্রহী – এরা সকলেই ইসলামের ক্রমান্বয়ে প্রচার ও প্রসারে হিংসা ও বিদ্বেষে অন্ধ হয়ে পড়ে। বাইরের লোক দেখানো মৈত্রী প্রকৃত জিহাদের ক্ষেত্রে যুদ্ধের নৈতিক মনোবল ধরে রাখতে অক্ষম। তাদের ভান করা মৈত্রী জয় বা পরাজয়ের কোনও কিছুরই সাথে একাত্বতা প্রকাশ করতে পারে না। মনের দিক থেকে, উপলব্ধির দিক থেকে এরা অজ্ঞ। এদের মাঝে স্বার্থবুদ্ধি ব্যতীত, কোনও জ্ঞান বা প্রজ্ঞা থাকে অনুপস্থিত। যদি তারা জ্ঞান ও প্রজ্ঞাসম্পন্ন হতো, তবে তারা ঈমান, সত্য ও আল্লাহ্র একত্ব প্রতিষ্ঠার সংগ্রামকে স্বাগত জানাতো।