মুমিনগণ, যখন তোমাদেরকে বলা হয়ঃ মজলিসে স্থান প্রশস্ত করে দাও, তখন তোমরা স্থান প্রশস্ত করে দিও। আল্লাহর জন্যে তোমাদের জন্য প্রশস্ত করে দিবেন। যখন বলা হয়ঃ উঠে যাও, তখন উঠে যেয়ো। তোমাদের মধ্যে যারা ঈমানদার এবং যারা জ্ঞানপ্রাপ্ত, আল্লাহ তাদের মর্যাদা উচ্চ করে দিবেন। আল্লাহ খবর রাখেন যা কিছু তোমরা কর।
O you who believe! When you are told to make room in the assemblies, (spread out and) make room. Allâh will give you (ample) room (from His Mercy). And when you are told to rise up [for prayers, Jihâd (holy fighting in Allâh’s Cause), or for any other good deed], rise up. Allâh will exalt in degree those of you who believe, and those who have been granted knowledge. And Allâh is Well-Acquainted with what you do.
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا إِذَا قِيلَ لَكُمْ تَفَسَّحُوا فِي الْمَجَالِسِ فَافْسَحُوا يَفْسَحِ اللَّهُ لَكُمْ وَإِذَا قِيلَ انشُزُوا فَانشُزُوا يَرْفَعِ اللَّهُ الَّذِينَ آمَنُوا مِنكُمْ وَالَّذِينَ أُوتُوا الْعِلْمَ دَرَجَاتٍ وَاللَّهُ بِمَا تَعْمَلُونَ خَبِيرٌ
Ya ayyuha allatheena amanoo itha qeela lakum tafassahoo fee almajalisi faifsahoo yafsahi Allahu lakum wa-itha qeela onshuzoo faonshuzoo yarfaAAi Allahu allatheena amanoo minkum waallatheena ootoo alAAilma darajatin waAllahu bima taAAmaloona khabeerun
YUSUFALI: O ye who believe! When ye are told to make room in the assemblies, (spread out and) make room: (ample) room will Allah provide for you. And when ye are told to rise up, rise up Allah will rise up, to (suitable) ranks (and degrees), those of you who believe and who have been granted (mystic) Knowledge. And Allah is well-acquainted with all ye do.
PICKTHAL: O ye who believe! when it is said unto you, Make room! in assemblies, then make room; Allah will make way for you (hereafter). And when it is said, Come up higher! go up higher; Allah will exalt those who believe among you, and those who have knowledge, to high ranks. Allah is Informed of what ye do.
SHAKIR: O you who believe! when it is said to you, Make room in (your) assemblies, then make ample room, Allah will give you ample, and when it is said: Rise up, then rise up. Allah will exalt those of you who believe, and those who are given knowledge, in high degrees; and Allah is Aware of what you do.
KHALIFA: O you who believe, if you are told, “Please make room,” you shall make room for each other to sit. GOD will then make room for you. If you are asked to get up and move, get up and move. GOD raises those among you who believe, and those who acquire knowledge to higher ranks. GOD is fully Cognizant of everything you do.
১১। হে মুমিনগণ ! যখন মজলিসে তোমাদের [ বসবার জন্য ] স্থান করে দিতে বলা হয়, ৫৩৪৭ তখন স্থান করে দিও। আল্লাহ্ তোমাদের জন্য [ প্রচুর ] স্থান করে দেবেন। এবং যখন তোমাদের উঠতে বলা হবে, তখন তোমরা উঠে দাঁড়াবে ৫৩৪৮। তোমাদের মধ্যে যারা ঈমান এনেছে, এবং যাদের [ অতিন্দ্রীয় ] জ্ঞান দান করা হয়েছে ৫৩৪৯ আল্লাহ্ তাদের [ উপযুক্ত ] মর্যদায় উন্নীত করবেন। তোমরা যা কর আল্লাহ্ সে সম্বন্ধে সম্যক অবগত।
৫৩৪৭। কোনও সমাবেশ বা সভাকক্ষে নেতার আগমন সময়ে জনসাধারণের কি ধরণের আচরণ হওয়া উচিত তাই-ই এই আয়াতে বর্ণনা করা হয়েছে। অনেক সময়েই দেখা যায় সমাবেশে সকলেই নেতার কথা শোনার জন্য হুড়োহুড়ি করে এবং সম্মুখে নেতার কাছাকাছি যাওয়ার জন্য চেষ্টা করে। যার ফলে সমাবেশ কক্ষে বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয় যা নেতার জন্য অসুবিধার সৃষ্টি করে এবং জনসাধারণের অসুবিধার সৃষ্টি করে। এরূপ ক্ষেত্রে বলা হয়েছে “মজলিসে স্থান করে দাও।” অর্থাৎ চাপাচাপি করো না যেনো অন্য লোকের সমাবেশে নেতার কথা শোনার অধিকার খর্ব না হয়। আমাদের স্থান করে দিতে বলা হয়েছে তবেই আমাদের সৌজন্য বোধ, আমাদের আল্লাহ্র অনুগ্রহের যোগ্য করে তুলবে, কারণ আল্লাহ্ বলেছেন,” আল্লাহ্ তোমাদের জন্য প্রচুর স্থান করে দেবেন। ”
৫৩৪৮। বাংলায় অনুবাদ হয়েছে “উঠে দাড়াবে” এবং ইংরেজীতে এই বাক্যটির অনুবাদ হয়েছে ‘Rise up’ অর্থাৎ উঠে দাঁড়াও। এখানে উঠে দাঁড়াও শব্দটি কাউকে সম্মান প্রদর্শনের পরিবর্তে ব্যবহার করা হয়েছে। এই আয়াতে বলা হয়েছে যারা সম্মানীয় ব্যক্তিকে সম্মান প্রদর্শন করে আল্লাহ্ তাদের জন্য সম্মানের আসনের বন্দোবস্ত করবেন তাদের যোগ্যতা ও ক্ষমতা অনুযায়ী। ‘Rise up’ উঠিয়া দাঁড়াও ‘ শব্দটি দ্বারা এ কথা বুঝানো হয়েছে যে সমাবেশের শেষে হুড়োহুড়ি না করে ধীর স্থির ভাবে উঠে দাঁড়াতে হবে। এবং যেতে হবে।
৫৩৪৯। ঈমান বা বিশ্বাস, সকল বিশ্বাসীদের আল্লাহ্র রাজত্বে সমতার ভিত্তিতে স্থাপন করে। যে কোনও সুস্থ ও সভ্য সমাজে সকল নাগরিকদের সম অধিকার দান করা হয় – তখনই সে সমাজ হয় সুসভ্য এবং সুনীতিসম্পন্ন জাতি। মৌলিক অধিকারকে সমতার ভিত্তিতে স্থাপন করলেও মানুষের অন্তর্নিহিত নেতৃত্বের ক্ষমতা বা সৃজন ক্ষমতা, প্রতিভা, মেধা, বংশ মর্যদা, প্রভাব-প্রতিপত্তি ইত্যাদির কারণে মানুষে মানুষে পার্থক্য পরিলক্ষিত হয়। তবে আল্লাহ্ প্রদত্ত এই বিশেষ দান সমূহের জন্য ব্যক্তিকে,তার প্রতি আল্লাহ্ প্রদত্ত নেয়ামত সমূহের দায় দায়িত্ব বহন করতে হবে। এই দায়িত্ব বহন করার ক্ষমতা নির্ভর করবে তার জ্ঞান ও প্রজ্ঞার উপরে। কারণ মেধা মনন শক্তি, সৃজনশীল ক্ষমতা, প্রতিভা প্রভৃতির প্রকৃত উন্মেষ তখনই ঘটে যখন ব্যক্তি তার নিজস্ব জ্ঞান ও প্রজ্ঞাকে ব্যবহার করতে পারে আল্লাহ্ প্রদত্ত রাস্তায়। এই জ্ঞান ও প্রজ্ঞা হচ্ছে অন্তর্দৃষ্টি বা অতীন্দ্রীয় জ্ঞান – যা শুধুমাত্র আল্লাহ্ প্রদত্ত। আল্লাহ্র রাজত্বকে যারা কল্যাণের দিকে পরিচালিত করার জন্য কাজ করে এবং আল্লাহ্ অর্পিত নিজস্ব দায়িত্বকে সুচারুরুপে সম্পন্ন করতে আগ্রহী, আল্লাহ্ তাদের জ্ঞান ও প্রজ্ঞাতে ধন্য করেন। এ ভাবেই সে সম্মান ও মর্যদা লাভ করে সমাজে ও পৃথিবীর কর্মক্ষেত্রে। গায়ের জোড়ে এ মর্যদা লাভ করা যায় না।