আমি ইচ্ছা করলে তাকে খড়কুটা করে দিতে পারি, অতঃপর হয়ে যাবে তোমরা বিস্ময়াবিষ্ট।
Were it Our Will, We could crumble it to dry pieces, and you would be regretful (or left in wonderment).
لَوْ نَشَاء لَجَعَلْنَاهُ حُطَامًا فَظَلَلْتُمْ تَفَكَّهُونَ
Law nashao lajaAAalnahu hutaman fathaltum tafakkahoona
YUSUFALI: Were it Our Will, We could crumble it to dry powder, and ye would be left in wonderment,
PICKTHAL: If We willed, We verily could make it chaff, then would ye cease not to exclaim:
SHAKIR: If We pleased, We should have certainly made it broken down into pieces, then would you begin tb lament:
KHALIFA: If we will, we can turn it into hay. Then you will lament:
৬২। তোমরা সৃষ্টির প্রথম আকৃতি সম্বন্ধে অবশ্যই জান তবে কেন তোমরা তাঁর বন্দনা কর না ?
৬৩। যে বীজ তোমরা বপন কর সে সম্বন্ধে চিন্তা করেছ কি ? ৫২৫১
৬৪। তোমরা কি তা অঙ্কুরিত কর, না আমি অঙ্কুরিত করি ?
৬৫। যদি আমি ইচ্ছা করতাম তবে তা পাউডারের ন্যায় চূর্ণ-বিচূর্ণ করতে পারতাম,তখন তোমরা হতবুদ্ধি হয়ে পড়বে।
৫২৫১। আল্লাহ্ আমাদের তাঁর প্রতি বিশ্বাস স্থাপনের জন্য বিভিন্ন ভাবে আহ্বান করেছেন। মানুষের শারীরিক সৃষ্টিতত্বের মাধ্যমে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে ; এবং পরে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে প্রাকৃতিক সৃষ্টির প্রতি অর্থাৎ বিশ্ব প্রকৃতির সৃষ্টি রহস্যের [ যার অপর নাম বিজ্ঞান ] প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে। সৃষ্টির মাঝে স্রষ্টার অকৃপণ জ্ঞানের ভান্ডার ; সৃষ্টি নৈপুন্য, সৃজনশীল ক্ষমতা বিদ্যমান – যার অনুভূতি মানুষের আত্মাকে স্রষ্টার প্রতি আনুগত্যে আপ্লুত করবে। এই [ ৫৬ : ৬২ ] আয়াতে “প্রথম সৃষ্টি” বাক্যটি দ্বারা বর্তমান পৃথিবী ও বিশ্ব ব্রহ্মান্ডের সৃষ্টির প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে। কারণ রোজ কেয়ামতে সারা বিশ্বব্রহ্মান্ড ও পৃথিবীকে এবং মানুষকে নূতন ভাবে নূতন আঙ্গিকে সৃষ্টি করা হবে। আল্লাহ্র প্রতি বিশ্বাস স্থাপনের জন্য দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে,
১) তাঁর মঙ্গলময় ও কল্যাণকর ভূমিকার প্রতি ও [৫৬ : ৫৭]
২) সন্তান তৈরীতে আমাদের ভূমিকা ও বিশ্ব প্রকৃতিতে আমরা যা উৎপাদন করি ও নিয়ন্ত্রণ করি তাঁর দ্বারা।
[৫৬ : ৫৮-৭৩] এখানে তিনটি উদাহরণ দান করা হয়েছে।
১) যে বীজ আমরা মাটিতে বপন করি সেই বীজের অঙ্কুরোদ্গম থেকে শষ্য ক্ষেত বা মহীরূহতে পরিণত হওয়া সবই আল্লাহ্র সৃষ্টি নৈপুন্যের স্বাক্ষর।
২) জীবন রক্ষাকারী পানি – যা আমরা পান করে থাকি। প্রকৃতিতে পানির সরবরাহ ব্যবস্থা, আল্লাহ্র সৃষ্টিতত্বের এক অপূর্ব কৌশল। যারা বিজ্ঞান পড়েছেন তারা জানেন, “পানি চক্রের ” মাধ্যমে কি অপূর্ব নিয়ন্ত্রণে সারা বিশ্ব ভূবনে পরিষ্কার পানি সরবরাহ করা হয়।
৩) আগুনের প্রতি লক্ষ্য করতে বলা হয়েছে ; যে আগুন পানির মতই জীবন রক্ষাকারী পদার্থ ;যা আল্লাহ্র জ্ঞান ও প্রজ্ঞার স্বাক্ষর দান করে।
এই তিনটি উদাহরণের দিকে লক্ষ্য করলে দেখা যায় মানুষের পৃথিবীতে জীবন রক্ষা ও ধারণ করার জন্য যে তিনটি বস্তু সর্বাপেক্ষা গুরুত্বপূর্ণ তাকেই এখানে উত্থাপন করা হয়েছে।