সামুদ সম্প্রদায় সতর্ককারীদের প্রতি মিথ্যারোপ করেছিল।
Thamûd (people also) belied the warnings.
كَذَّبَتْ ثَمُودُ بِالنُّذُرِ
Kaththabat thamoodu bialnnuthuri
YUSUFALI: The Thamud (also) rejected (their) Warners.
PICKTHAL: (The tribe of) Thamud rejected warnings
SHAKIR: Samood rejected the warning.
KHALIFA: Thamoud rejected the warnings.
রুকু – ২
২৩। সামুদরাও [ তাদের ] সর্তককারীকে প্রত্যাখান করেছিলো।
২৪। তারা বলেছিলো, ” সে কি ! ৫১৪৬। [ সে ] একজন মানুষ মাত্র। আমাদের মধ্য থেকে নিঃসঙ্গ একজন। আমরা কি তাকেই অনুসরণ করবো ৫১৪৭ ? তবে তো আমরা হব বিপথগামী ও উম্মাদ।
৫১৪৬। সামুদ জাতির মনঃস্তাতিক বিশ্লেষণ এই আয়াতের মাধ্যমে করা হয়েছে। এই আয়াত ও সূরা [ ৪১ : ১৭ ] আয়াতের মাধ্যমে সঙ্কীর্ণ বিচার বুদ্ধি সম্পন্ন লোকের আল্লাহ্র প্রত্যাদেশ সম্বন্ধে ধারণাকে বর্ণনা করা হয়েছে এবং প্রত্যাদেশের সত্যের মানবতা, সামাজিক মূল্যবোধকে তুলনা করা হয়েছে,তাদের বিচার বুদ্ধির সাথে। সামুদ জাতির নিকট আল্লাহ্র প্রত্যাদেশ প্রেরণ করা হয়েছিলো সলেহ্ নবীর মাধ্যমে। এই আয়াতে সামুদ জাতির উক্তিগুলি সালেহ্ নবী সম্বন্ধে।
৫১৪৭। সামুদ সম্প্রদায়ের বক্তব্য ছিলো যে সালেহ্ নবী তাদেরই একজন অতি সাধারণ ব্যক্তি। তাহলে কি ভাবে তিনি তাদের পথ প্রদর্শক হতে পারেন। তাদের অহমিকা, আত্মম্ভরিতা, সালেহ্ নবীর মাঝে নবী সুলভ বৈশিষ্ট্য উপলব্ধিতে বাঁধা প্রদান করে। উপরন্তু সালেহ্ নবী একই গোত্রের লোক, একই স্থানে, একই পরিবেশে, একই রকমভাবে অন্য দশজনের মতই তিনি লালিত পালিত হয়েছেন এবং তা অতি সাধারণ ভাবে। সেই তিনি বিশেষভাবে কেন আল্লাহ্র নবী হয়ে তাদের পথ প্রদর্শক রূপে সম্মানিত হবেন? সুতারাং তাদের মন্তব্য ছিলো হয় সালেহ্ নবী উম্মাদ নয় বিপথগামী। যুগে যুগে প্রতিটি নবী ও রসুলকে তার স্বগোত্রের লোকদের দ্বারা ঠিক এই একই ভাবে নিগৃহীত হতে হয়েছে – আমাদের রাসুলও (সা) তার ব্যতিক্রম ছিলেন না।
উপদেশ : সৎ পথের আহ্বানকারীকে সর্বদা অত্যাচার নির্যাতনের সম্মুখীন হতে হবে এ কথা শুধু নবী বা রসুল নয় সকলের জন্যই সত্য।