2 of 3

054.001

কেয়ামত আসন্ন, চন্দ্র বিদীর্ণ হয়েছে।
The Hour has drawn near, and the moon has been cleft asunder (the people of Makkah requested Prophet Muhammad SAW to show them a miracle, so he showed them the splitting of the moon).

اقْتَرَبَتِ السَّاعَةُ وَانشَقَّ الْقَمَرُ
Iqtarabati alssaAAatu wainshaqqa alqamaru

YUSUFALI: The Hour (of Judgment) is nigh, and the moon is cleft asunder.
PICKTHAL: The hour drew nigh and the moon was rent in twain.
SHAKIR: The hour drew nigh and the moon did rend asunder.
KHALIFA: The Hour has come closer, and the moon has split.

০১। কেয়ামত নিকটবর্তী ৫১২৭, এবং চন্দ্র বিদীর্ণ হয়েছে ৫১২৮।

৫১২৭। দেখুন ৫৩ নং সূরার ভূমিকার দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ। “কেয়ামত আসন্ন” এই বার্তা প্রেরণ করা হয়েছে এই সূরার প্রথমে এবং পূর্ববর্তী সূরার [ ৫৩ নং ] শেষে [ ৫৭ নং আয়াতে ]।

৫১২৮। এই আয়াতটি দ্বারা যে ঘটনাকে বোঝানো হয়েছে তা তিন ভাবে ব্যাখ্যা করা যায়।

১) হিজরতের পাঁচ বৎসর পূর্বে হজ্জ্বের মৌসুমে মিনায় যখন লোক সমাগম ছিলো, কাফেররা তখন রাসুলুল্লাহ্‌কে (সা) মুজেজা প্রদর্শন করতে বলেন। তিনি আল্লাহ্‌র হুকুমে চন্দ্রের দিকে ইশারা করেন। চন্দ্র দ্বিখন্ডিত হয়ে স্থির হয়ে যায় এবং কিছুক্ষণ পর আবার খন্ড দুটি মিলিত হয়ে চন্দ্র আবার পূর্ব আকার ধারণ করে।

২) “চন্দ্র বিদীর্ণ হয়েছে ” – এই বাক্যটি দ্বারা ভবিষ্যত কালকে বোঝানো হয়েছে, চন্দ্র দ্বিখন্ডিত হওয়া কেয়ামত নিকটবর্তী হওয়ার লক্ষণ – ভবিষ্যত কাল দ্বারা তাই বোঝানো হয়েছে।

৩) বাক্যটি রূপক অর্থ বহন করে। অর্থাৎ কেয়ামতের বিষয়বস্তু চন্দ্রের ন্যায় স্বচ্ছ ও সুস্পষ্ট।

১) নম্বর ঘটনাটি বহু লোক দর্শন করে যার মধ্যে বহু অবিশ্বাসীও ছিলো, যাদের উল্লেখ ২নং আয়াতে করা হয়েছে। ২) নম্বর ব্যাখ্যাটি কেয়ামতের লক্ষণ হিসেবে গণ্য করা যায় যখন সম্পূর্ণ সৌর মন্ডল ধ্বংস হয়ে যাবে। দেখুন [ ৭৫ : ৮ – ৯ ] আয়াতের বর্ণনা।