তারা যা বলে, তা আমি সম্যক অবগত আছি। আপনি তাদের উপর জোরজবরকারী নন। অতএব, যে আমার শাস্তিকে ভয় করে, তাকে কোরআনের মাধ্যমে উপদেশ দান করুন।
We know of best what they say; and you (O Muhammad SAW) are not a tyrant over them (to force them to Belief). But warn by the Qur’ân, him who fears My Threat.
نَحْنُ أَعْلَمُ بِمَا يَقُولُونَ وَمَا أَنتَ عَلَيْهِم بِجَبَّارٍ فَذَكِّرْ بِالْقُرْآنِ مَن يَخَافُ وَعِيدِ
Nahnu aAAlamu bima yaqooloona wama anta AAalayhim bijabbarin fathakkir bialqur-ani man yakhafu waAAeedi
YUSUFALI: We know best what they say; and thou art not one to overawe them by force. So admonish with the Qur’an such as fear My Warning!
PICKTHAL: We are Best Aware of what they say, and thou (O Muhammad) art in no wise a compeller over them. But warn by the Qur’an him who feareth My threat.
SHAKIR: We know best what they say, and you are not one to compel them; therefore remind him by means of the Quran who fears My threat.
KHALIFA: We are fully aware of everything they utter, while you have no power over them. Therefore, remind with this Quran, those who reverence My warnings.
৪৫। ওরা যা বলে তা আমি ভালোভাবেই জানি ৪৯৮৫ ; তুমি ওদের উপরে জবরদস্তিকারী নও। সুতারাং যে আমার শাস্তিকে ভয় করে তাকে কুর-আনের সাহায্যে উপদেশ দান কর।
৪৯৮৫। পার্থিব জগত সম্বন্ধে যারা অত্যন্ত বাস্তববাদী তারা অনেক সময়েই পরলোকের জীবন সম্বন্ধে সন্দেহ পোষণ করে থাকে। তারা বিশ্বাস করতে চায় না যে পৃথিবীর সকল কাজের হিসাব নিকাশের সময় হবে পরলোকে শেষ বিচারে দিনে। ধর্মীয় বিশ্বাস হচ্ছে অন্তরের ধন। উপর থেকে চাপিয়ে দিয়ে সে বিশ্বাস অর্জন করা সম্ভব নয়। মহান আল্লাহ্ রাসুলকে ( সা ) সম্বোধন করে এই আয়াতে বলেছেন যে, ধর্মীয় ব্যাপারে কোন জবরদস্তি নাই। রাসুলের ( সা ) দায়িত্ব হচ্ছে আল্লাহ্র বাণী বা কোরাণের আয়াত সমূহ মানুষের নিকট পৌঁছে দেয়া। যারা আল্লাহ্র হুকুম সমূহ শুনতে চায়; বিশ্বাস করার মত উপযুক্ত আধ্যাত্মিক অবস্থা যাদের বিদ্যমান তাদের কোরাণের বাণীর সাহায্যে আধ্যাত্মিক উন্নতিতে সাহায্য করার জন্য রাসুলকে বলা হয়েছে। পৃথিবীর জীবনই শেষ কথা নয় – মানুষের জন্য আছে মহত্তর, উচ্চতর জীবনের সন্ধান – পরলোকে। কোরাণ আমাদের সেই জীবনের সন্ধান দান করে। কোরাণকে প্রকৃত অর্থে হৃদয়ঙ্গম করলেই ধর্মের পথ সহজ, মসৃণ ও সাফল্যের স্বর্ণ শিখরে উপনীত হওয়া সম্ভব। সুতারাং কোরাণ শরীফকে অর্থ বুঝে আরবীর সাথে সাথে মাতৃভাষাতে পড়তে হবে ও গভীর ভাবে চিন্তার মাধ্যমে তার অর্থ হৃদয়ঙ্গম করতে হবে – তবেই ধর্মের প্রকৃত অর্থ হৃদয়ে হবে ভাস্বর। আল্লাহ্র বাণীর নূরে আত্মা হবে আলোকিত।