মৃত্যুযন্ত্রণা নিশ্চিতই আসবে। এ থেকেই তুমি টালবাহানা করতে।
And the stupor of death will come in truth: ”This is what you have been avoiding!”
وَجَاءتْ سَكْرَةُ الْمَوْتِ بِالْحَقِّ ذَلِكَ مَا كُنتَ مِنْهُ تَحِيدُ
Wajaat sakratu almawti bialhaqqi thalika ma kunta minhu taheedu
YUSUFALI: And the stupor of death will bring Truth (before his eyes): “This was the thing which thou wast trying to escape!”
PICKTHAL: And the agony of death cometh in truth. (And it is said unto him): This is that which thou wast wont to shun.
SHAKIR: And the stupor of death will come in truth; that is what you were trying to escape.
KHALIFA: Finally, the inevitable coma of death comes; this is what you tried to evade.
১৯। এবং মৃত্যুর হতচেতন অবস্থা [তাদের চোখের সম্মুখে ] সত্যকে তুলে ধরে, ” এটাই তা যা থেকে তোমরা পলায়ন করতে।” ৪৯৫৫
৪৯৫৫। এই পৃথিবীর শিক্ষানবীশ কালে মানুষের মাঝে পরলোকের অনুভূতি থাকে অসাড় ও অচৈতন্য। মৃত্যুর মাধ্যমে তাদের সম্মুখে পরলোকের দ্বার উম্মুক্ত হয়ে যায়। পার্থিব জীবন থেকে পরলোকের জীবনে প্রবেশের দরজা হচ্ছে মৃত্যু। মৃত্যুর মাধ্যমেই একমাত্র ইহলোক থেকে পরলোকে প্রবেশের ক্ষমতা লাভ করা যায়। একবার এই দ্বার অতিক্রম করলে মানুষ বুঝতে পারবে যে পার্থিব জীবন কত তুচ্ছ ও মূল্যহীন। পৃথিবীতে অবস্থানকালে পরলোকের যে জীবনকে মনে হতো অবিশ্বাস্য ও যোজন দূরের কোন সংবাদ মুত্যুর সাথে সাথেই পরলোকের জীবনকেই প্রকৃত সত্য বলে অনুভূত হবে। পৃথিবীর যে জীবনকে মনে হতো গুরুত্বপূর্ণ তা হয়ে যাবে কায়াহীন ছায়ার ন্যায় এবং অস্তিত্ববিহীন ও তুচ্ছ। যে জীবন ও যে জীবনের অস্তিত্বের প্রতি কোন প্রকৃত বিশ্বাস ছিলো না, যে জীবনকে সে অস্বীকার করে এসেছে, মৃত্যুর সাথে সাথে সেই জীবনই হবে প্রকৃত জীবনের পরিধি। পার্থিব জীবনের ভালো ও মন্দ প্রকৃতরূপে ভাস্বর হবে; সত্যকে তীব্র ভাবে অনুভব করা সম্ভব হবে। পৃথিবীতে অবস্থান কালে মানুষ মৃত্যুর সত্য থেকেই অব্যাহতি চায়।