1 of 3

049.011

মুমিনগণ, কেউ যেন অপর কাউকে উপহাস না করে। কেননা, সে উপহাসকারী অপেক্ষা উত্তম হতে পারে এবং কোন নারী অপর নারীকেও যেন উপহাস না করে। কেননা, সে উপহাসকারিণী অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ হতে পারে। তোমরা একে অপরের প্রতি দোষারোপ করো না এবং একে অপরকে মন্দ নামে ডেকো না। কেউ বিশ্বাস স্থাপন করলে তাদের মন্দ নামে ডাকা গোনাহ। যারা এহেন কাজ থেকে তওবা না করে তারাই যালেম।
O you who believe! Let not a group scoff at another group, it may be that the latter are better than the former; nor let (some) women scoff at other women, it may be that the latter are better than the former, nor defame one another, nor insult one another by nicknames. How bad is it, to insult one’s brother after having Faith [i.e. to call your Muslim brother (a faithful believer) as: ”O sinner”, or ”O wicked”, etc.]. And whosoever does not repent, then such are indeed Zâlimûn (wrong-doers, etc.).

يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لَا يَسْخَرْ قَومٌ مِّن قَوْمٍ عَسَى أَن يَكُونُوا خَيْرًا مِّنْهُمْ وَلَا نِسَاء مِّن نِّسَاء عَسَى أَن يَكُنَّ خَيْرًا مِّنْهُنَّ وَلَا تَلْمِزُوا أَنفُسَكُمْ وَلَا تَنَابَزُوا بِالْأَلْقَابِ بِئْسَ الاِسْمُ الْفُسُوقُ بَعْدَ الْإِيمَانِ وَمَن لَّمْ يَتُبْ فَأُوْلَئِكَ هُمُ الظَّالِمُونَ
Ya ayyuha allatheena amanoo la yaskhar qawmun min qawmin AAasa an yakoonoo khayran minhum wala nisaon min nisa-in AAasa an yakunna khayran minhunna wala talmizoo anfusakum wala tanabazoo bial-alqabi bi/sa al-ismu alfusooqu baAAda al-eemani waman lam yatub faola-ika humu alththalimoona

YUSUFALI: O ye who believe! Let not some men among you laugh at others: It may be that the (latter) are better than the (former): Nor let some women laugh at others: It may be that the (latter are better than the (former): Nor defame nor be sarcastic to each other, nor call each other by (offensive) nicknames: Ill-seeming is a name connoting wickedness, (to be used of one) after he has believed: And those who do not desist are (indeed) doing wrong.
PICKTHAL: O ye who believe! Let not a folk deride a folk who may be better than they (are), not let women (deride) women who may be better than they are; neither defame one another, nor insult one another by nicknames. Bad is the name of lewdness after faith. And whoso turneth not in repentance, such are evil-doers.
SHAKIR: O you who believe! let not (one) people laugh at (another) people perchance they may be better than they, nor let women (laugh) at (other) women, perchance they may be better than they; and do not find fault with your own people nor call one another by nicknames; evil is a bad name after faith, and whoever does not turn, these it is that are the unjust.
KHALIFA: O you who believe, no people shall ridicule other people, for they may be better than they. Nor shall any women ridicule other women, for they may be better than they. Nor shall you mock one another, or make fun of your names. Evil indeed is the reversion to wickedness after attaining faith. Anyone who does not repent after this, these are the transgressors.

রুকু – ২

১১। হে বিশ্বাসীগণ ! তোমাদের মধ্যে কিছু লোক যেনো অন্যদের উপহাস না করে ৪৯২৯। কারণ, হতে পারে, যে [শেষোক্ত দল ] তাদের থেকে উত্তম। আর কিছু সংখ্যক স্ত্রীলোক যেনো অন্যদের উপহাস না করে। কারণ, হতে পারে যে [ শেষোক্ত দল ] তাদের থেকে উত্তম। তোমরা পরস্পরের প্রতি নিন্দা বাক্য বলো না ব্যঙ্গোক্তি করো না ; পরস্পরকে [ অপমানজনক ] ডাক নামে ডেকো না ৪৯৩০। কেননা ঈমান আনার পরে যারা [ কোন ব্যক্তিকে ] মন্দ তাৎপর্যসহ খারাপ নামে ডাকে এবং যারা তা থেকে বিরত না হয়, তারা [ সত্যিই ] পাপ কাজ করে।

৪৯২৯। এই আয়াতগুলির মাধ্যমে নৈতিক চরিত্রের বিশেষ দিকগুলি শিক্ষাদান করা হয়েছে। পুরুষ ও নারী উভয়কে বলা হয়েছে অপরকে উপহাস না করতে। উপহাসের প্রধান উপজীব্য হচ্ছে স্বার্থপরতা ও উদ্ধত একগুঁয়েমী এবং অন্যকে হেয় করার প্রবণতা। অন্যের সাথে হাসি ঠাট্টাতে অংশগ্রহণ করা ভালো, তবে তা হতে হবে নির্মল আনন্দ উপভোগের উপকরণ। অন্যকে হেয় করে বা অন্যকে বিদ্রূপ করে, অপমানিত করে যে আনন্দ লাভ তা নিন্দনীয়। হয়তো প্রকৃতপক্ষে তারা উপহাসকারী অপেক্ষা প্রশংসনীয় ব্যক্তি।

৪৯৩০। সাধারণ মানুষ সমাজ জীবনে যে সব দোষত্রুটিতে অভ্যস্ত যা তাদের দৃষ্টিগোচর হয় না এবং খুব স্বাভাবিক বলে অনুমিত হয়, কিন্তু প্রকৃতপক্ষে যা অত্যন্ত গর্হিত। এই আয়াতের মাধ্যমে সেগুলিকে তুলে ধরা হয়েছে। অপরের প্রতি খারাপ বলা, বা লেখা অথবা অন্যের সম্বন্ধে এমন ইঙ্গিত করা যাতে বোঝা যায় সেই ব্যক্তি দোষী এরূপ অভিব্যক্তি ইসলামে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। কারণ অন্যের দোষ বিচার করার ক্ষমতা আমাদের নাই ; সে ভার আমাদের দেয়া হয় নাই। তৃতীয় বিষয় হচ্ছে অপরকে মন্দ নামে ডাকা যার দরুণ সে অসন্তুষ্ট হয়। হয়তো নামটি তার জন্য প্রযোজ্য হতে পারে, কিন্তু সে নামে ডাকলে সে মনে কষ্ট পায় সেরূপ ক্ষেত্রেও সেই মন্দ নামে তাঁকে ডাকা উচিত নয়। যেমন প্রকৃত অন্ধকে ‘কানা ‘ নামে ডাকা বা ‘খঞ্জকে’ ‘খোড়া’ নামে ডাকা ইত্যাদি উচিত নয়। তা শুধু অন্ধ বা খঞ্জের জন্য মনোবেদনার কারণই ঘটে। প্রকৃত ঈমানদার ব্যক্তিরা কখনও অন্যের মনোবেদনার কারণ হন না। সুতারাং এই সুক্ষ শিষ্টাচার ইসলাম ধর্মের অংগ বিশেষ।