এটা আল্লাহর কৃপা ও নিয়ামতঃ আল্লাহ সর্বজ্ঞ প্রজ্ঞাময়।
(This is) a Grace from Allâh and His Favour. And Allâh is All-Knowing, All-Wise.
فَضْلًا مِّنَ اللَّهِ وَنِعْمَةً وَاللَّهُ عَلِيمٌ حَكِيمٌ
Fadlan mina Allahi waniAAmatan waAllahu AAaleemun hakeemun
YUSUFALI: A Grace and Favour from Allah; and Allah is full of Knowledge and Wisdom. PICKTHAL: (It is) a bounty and a grace from Allah; and Allah is Knower, Wise.
SHAKIR: By grace from Allah and as a favor; and Allah is Knowing, Wise.
KHALIFA: Such is grace from GOD and His blessings. GOD is Omniscient, Most Wise.
০৭। তোমরা মনে রেখো যে, তোমাদের মাঝে আল্লাহ্র রাসুল রয়েছে ৪৯২৫। এমন অনেক ব্যাপার আছে যে, সে যদি তোমাদের কথা মেনে নেয়, তবে অবশ্যই তোমরা বিপদে পড়বে। কিন্তু আল্লাহ্ ঈমানকে তোমাদের নিকট প্রিয় করেছেন এবং তোমাদের হৃদয়ের মাঝে তা মনোরম করেছেন ৪৯২৬। এবং তিনি অবিশ্বাস, কুকর্ম এবং অবাধ্যতাকে করেছেন তোমাদের নিকট ঘৃণিত। এরাই তারা যারা পূণ্য পথের পথিক ; –
০৮। আল্লাহ্র অনুগ্রহ ও দয়াতে। বস্তুতঃ আল্লাহ্ জ্ঞান ও প্রজ্ঞাতে পরিপূর্ণ।
৪৯২৫। আল্লাহ্র রাসুল ( সা ) যদি সকল ব্যাপারেই তাঁর অনুসরীদের পরামর্শ ও প্রস্তাব গ্রহণ করতেন তবে তা তাঁদের জন্য কল্যাণকর হতো না। নেতা হিসেবে যে কোন কাজের সঠিক কর্মপন্থা গ্রহণের দায়িত্ব তাঁরই। তিনি সাধারণ মানুষ অপেক্ষা অনেক বেশী বিচক্ষণ, জ্ঞানী এবং প্রজ্ঞাসম্পন্ন। তিনি কখনও ব্যক্তিগত আবেগের বশবর্তী হয়ে কোনও কাজ করতেন না। তাঁর প্রতিটি কাজই ছিলো জ্ঞান ও প্রজ্ঞার স্বাক্ষর। পৃথিবীর সর্বযুগে সর্বকালের নেতাদের তিনি হচ্ছেন অনুকরণীয় ব্যক্তিত্ব।
৪৯২৬। “কিন্তু আল্লাহ্ ঈমানকে তোমাদের নিকট প্রিয় করেছেন এবং তোমাদের হৃদয়ের মাঝে তা মনোরম করেছেন।” রাসুলের সময়কালে যারা তাঁর চারিপার্শ্বে ছিলেন তাঁরা সত্যিই সৌভাগ্যবান। ধন্য তাঁরা রাসুলের সহচার্যে। রাসুলের (সা ) জীবনযাত্রা, তাঁর উদাহরণ তাদের বিশ্বাসের ভিত্তিকে করেছিলো দৃঢ় ও মজবুত। ঈমান তাদের নিকট ছিলো প্রাণাধিক প্রিয়। আত্মার মাঝে ঈমানের আলোর ঔজ্বল্যে তাঁরা ছিলেন মুগ্ধ, বিমোহিত ও গর্বিত। তাঁরা শৃঙ্খলা, আনুগত্য এবং ন্যায়পরাণতাকে ভালোবাসতেন। এ সব গুণাবলী ধীরে ধীরে তাঁদের চরিত্র থেকে তাঁদের দোষত্রুটি দূর করে দেয়। ফলে দিনে দিনে তাদের ঈমানের ভিত্তি দৃঢ় থেকে দৃঢ়তর রূপ ধারণ করে। তাদের অন্তরের এই পরিবর্তন এ সব হচ্ছে আল্লাহ্র রহমতের স্বাক্ষর – তাঁর অপার করুণার দান ও অনুগ্রহ। আল্লাহ্র অনুগ্রহ ব্যতীত প্রকৃত ঈমানের বোধ, জ্ঞান ও প্রজ্ঞার জন্ম অন্তরের মাঝে ঘটে না। প্রকৃত ঈমানদার ব্যক্তির নিকট কুফরী, পাপাচার ও অবাধ্যতাকে ঘৃণ্য বলে বোধ হবে।