1 of 3

048.015

তোমরা যখন যুদ্ধলব্ধ ধন-সম্পদ সংগ্রহের জন্য যাবে, তখন যারা পশ্চাতে থেকে গিয়েছিল, তারা বলবেঃ আমাদেরকেও তোমাদের সঙ্গে যেতে দাও। তারা আল্লাহর কালাম পরিবর্তন করতে চায়। বলুনঃ তোমরা কখনও আমাদের সঙ্গে যেতে পারবে না। আল্লাহ পূর্ব থেকেই এরূপ বলে দিয়েছেন। তারা বলবেঃ বরং তোমরা আমাদের প্রতি বিদ্বেষ পোষণ করছ। পরন্তু তারা সামান্যই বোঝে।
Those who lagged behind will say, when you set forth to take the spoils, ”Allow us to follow you,” They want to change Allâh’s Words. Say: ”You shall not follow us; thus Allâh has said beforehand.” Then they will say: ”Nay, you envy us.” Nay, but they understand not except a little.

سَيَقُولُ الْمُخَلَّفُونَ إِذَا انطَلَقْتُمْ إِلَى مَغَانِمَ لِتَأْخُذُوهَا ذَرُونَا نَتَّبِعْكُمْ يُرِيدُونَ أَن يُبَدِّلُوا كَلَامَ اللَّهِ قُل لَّن تَتَّبِعُونَا كَذَلِكُمْ قَالَ اللَّهُ مِن قَبْلُ فَسَيَقُولُونَ بَلْ تَحْسُدُونَنَا بَلْ كَانُوا لَا يَفْقَهُونَ إِلَّا قَلِيلًا
Sayaqoolu almukhallafoona itha intalaqtum ila maghanima lita/khuthooha tharoona nattabiAAkum yureedoona an yubaddiloo kalama Allahi qul lan tattabiAAoona kathalikum qala Allahu min qablu fasayaqooloona bal tahsudoonana bal kanoo la yafqahoona illa qaleelan

YUSUFALI: Those who lagged behind (will say), when ye (are free to) march and take booty (in war): “Permit us to follow you.” They wish to change Allah’s decree: Say: “Not thus will ye follow us: Allah has already declared (this) beforehand”: then they will say, “But ye are jealous of us.” Nay, but little do they understand (such things).
PICKTHAL: Those who were left behind will say, when ye set forth to capture booty: Let us go with you. They fain would change the verdict of Allah. Say (unto them, O Muhammad): Ye shall not go with us. Thus hath Allah said beforehand. Then they will say: Ye are envious of us. Nay, but they understand not, save a little.
SHAKIR: Those who are left behind will say when you set forth for the gaining of acquisitions: Allow us (that) we may follow you. They desire to change the world of Allah. Say: By no means shall you follow us; thus did Allah say before. But they will say: Nay! you are jealous of us. Nay! they do not understand but a little.
KHALIFA: The sedentary who stay behind will say, when you are expected to collect spoils of war, “Let us follow you to share in this!” They thus wish to alter GOD’s words. Say, “You will not follow us. This is GOD’s decision.” They will then say, “You must be envious of us (for staying behind).” Indeed, they rarely understood anything.

১৫। তোমরা যখন যুদ্ধলব্ধ সম্পদ সংগ্রহের জন্য যাবে তখন যারা পশ্চাতে থেকে গিয়েছিলো,তারা বলবে, ৪৮৮৩ ” আমাদের তোমাদের সাথে যেতে দাও।” তারা আল্লাহ্‌র আদেশকে পরিবর্তন করতে চায়। বল : ” তোমরা কিছুতেই আমাদের অনুসরণ করতে পারবে না ৪৮৮৪। আল্লাহ্‌ পূর্বেই এরূপ আদেশ দিয়েছেন ৪৮৮৫। ” তখন তারা বলবে, ” তোমরা আমাদের প্রতি হিংসাভাবাপন্ন।” ৪৮৮৬ আসলে তারা অতি অল্পই বুঝতে পারে [ সঠিক ঘটনা ]।

৪৮৮৩। যারা মোনাফেক, সুযোগ সন্ধানী, যারা মহৎ কাজে অংশ গ্রহণে অনিচ্ছুক, বিশ্লেষণে তাদের মনের আর এক ধরণের ‘উদ্দেশ্যকে এই আয়াতের মাধ্যমে তুলে ধরা হয়েছে। তীর্থযাত্রা প্রাক্কালে কোনরূপ যুদ্ধলব্ধ সম্পদ লাভের সুযোগ নাই। সুতারাং সে যাত্রাতে তাদের প্রচুর অনীহা লক্ষ্য করা যাবে। কিন্তু ভবিষ্যতে যদি তাদের যুদ্ধলব্ধ সম্পদের প্রলোভন দান করা হয়, তবে তারা তৎক্ষণাত সহযাত্রী হতে সম্মত হবে। কিন্তু তাদের এই মানসিক অবস্থা জেহাদের প্রতি নিবেদিত ব্যক্তির মানসিক অবস্থা থেকে সম্পূর্ণ ভিন্ন প্রকৃতির। ‘জেহাদ’ কোন ব্যক্তিগত লাভের জন্য নয়। আল্লাহ্‌র সন্তুষ্টির লাভের জন্য, সমাজ ও জাতির বৃহত্তর কল্যাণের জন্য যে সংগ্রাম তাই-ই জেহাদ। সেখানে ব্যক্তিগত লাভ লোকসান ও স্বার্থ সম্পূর্ণ অনুপস্থিত। এই-ই হচ্ছে স্বর্গীয় আইন বা হুকুম। এই দৃষ্টি কোণ থেকে ‘জিহাদ’ অর্থ শুধুমাত্র অস্ত্রে সজ্জিত যুদ্ধক্ষেত্র নয়। অন্যায়ের বিরুদ্ধে সংগ্রাম, মানুষের কল্যাণের জন্য চেষ্টা সবই ‘জেহাদ’। সুতারাং যুদ্ধ এবং শান্তি অবস্থায় সর্বদাই সমাজ জীবনে ‘জেহাদ’ হতে পারে। [ দেখুন ৮ নং সূরার ভূমিকার ২নং অনুচ্ছেদ ]।

৪৮৮৪। ‘কিছুতেই ‘ অর্থাৎ তোমাদের মানসিক অবস্থা যদি জেহাদের উপযুক্ত না হয়ে শুধুমাত্র যুদ্ধলব্ধ ধন-সম্পদ লাভের উপযুক্ত হয় তবে তোমরা ‘কিছুতেই ‘ সঙ্গী হতে পারবে না।

৪৮৮৫। দেখুন আয়াত [ ৮ : ১ ] ও টিকা ১১৭৯।

৪৮৮৬। মরুবাসী আরবরা লুঠতরাজ করার জন্য যুদ্ধ করতে ভালোবাসতো। বৃহত্তর ও মহত্তর কারণের জন্য যুদ্ধ করা সম্বন্ধে তাদের কোন ধারণাই ছিলো না। তারা ছিলো ব্যক্তি স্বার্থে অন্ধ ব্যক্তির ন্যায়। তাদের সকল চিন্তা চেতনা আবর্তিত হতো ক্ষুদ্র স্বার্থ উদ্ধারের চিন্তায়; ফলে লুট-তরাজের জন্য যুদ্ধ করাই ছিলো তাদের জন্য স্বাভাবিক কেউ যদি তাদের এরূপ যুদ্ধে অংশগ্রহণে বঞ্চিত করতো, তবে তারা হিংসা ও বিদ্বেষে উম্মত্ত হয়ে পড়তো। পরবর্তী আয়াতে এসব মরুবাসী আরবদের আত্মসংযম, আত্মোৎসর্গ ও মহৎ উদ্দেশ্যের প্রতি সর্বশক্তি দিয়ে চেষ্টা করার অভ্যাস গঠনের শিক্ষা দান করা হয়েছে।