1 of 3

048.011

মরুবাসীদের মধ্যে যারা গৃহে বসে রয়েছে, তারা আপনাকে বলবেঃ আমরা আমাদের ধন-সম্পদ ও পরিবার-পরিজনের কাজে ব্যস্ত ছিলাম। অতএব, আমাদের পাপ মার্জনা করান। তারা মুখে এমন কথা বলবে, যা তাদের অন্তরে নেই। বলুনঃ আল্লাহ তোমাদের ক্ষতি অথবা উপকার সাধনের ইচ্ছা করলে কে তাকে বিরত রাখতে পারে? বরং তোমরা যা কর, আল্লাহ সে বিষয় পরিপূর্ণ জ্ঞাত।
Those of the bedouins who lagged behind will say to you: ”Our possessions and our families occupied us, so ask forgiveness for us.” They say with their tongues what is not in their hearts. Say: ”Who then has any power at all (to intervene) on your behalf with Allâh, if He intends you hurt or intends you benefit? Nay, but Allâh is Ever All-Aware of what you do.

سَيَقُولُ لَكَ الْمُخَلَّفُونَ مِنَ الْأَعْرَابِ شَغَلَتْنَا أَمْوَالُنَا وَأَهْلُونَا فَاسْتَغْفِرْ لَنَا يَقُولُونَ بِأَلْسِنَتِهِم مَّا لَيْسَ فِي قُلُوبِهِمْ قُلْ فَمَن يَمْلِكُ لَكُم مِّنَ اللَّهِ شَيْئًا إِنْ أَرَادَ بِكُمْ ضَرًّا أَوْ أَرَادَ بِكُمْ نَفْعًا بَلْ كَانَ اللَّهُ بِمَا تَعْمَلُونَ خَبِيرًا
Sayaqoolu laka almukhallafoona mina al-aAArabi shaghalatna amwaluna waahloona faistaghfir lana yaqooloona bi-alsinatihim ma laysa fee quloobihim qul faman yamliku lakum mina Allahi shay-an in arada bikum darran aw arada bikum nafAAan bal kana Allahu bima taAAmaloona khabeeran

YUSUFALI: The desert Arabs who lagged behind will say to thee: “We were engaged in (looking after) our flocks and herds, and our families: do thou then ask forgiveness for us.” They say with their tongues what is not in their hearts. Say: “Who then has any power at all (to intervene) on your behalf with Allah, if His Will is to give you some loss or to give you some profit? But Allah is well acquainted with all that ye do.
PICKTHAL: Those of the wandering Arabs who were left behind will tell thee: Our possessions and our households occupied us, so ask forgiveness for us! They speak with their tongues that which is not in their hearts. Say: Who can avail you aught against Allah, if He intend you hurt or intend you profit? Nay, but Allah is ever Aware of what ye do.
SHAKIR: Those of the dwellers of the desert who were left behind will say to you: Our property and our families kept us busy, so ask forgiveness for us. They say with their tongues what is not in their hearts. Say: Then who can control anything for you from Allah if He intends to do you harm or if He intends to do you good; nay, Allah is Aware of what you do:
KHALIFA: The sedentary Arabs who stay behind will say, “We have been preoccupied with our money and our families, so ask forgiveness for us!” They utter with their tongues what is not in their hearts. Say, “Who can protect you from GOD, if He willed any adversity for you, or if He willed any blessing for you?” GOD is fully Cognizant of everything you do.

রুকু – ২

১১। মরুবাসী আরব, যারা পিছনে রয়ে গেছে ৪৮৭৮, তারা তোমাকে বলবে, ” আমরা ব্যস্ত ছিলাম মেষপাল, পশুপাল এবং আমাদের পরিবারের [ দেখা-শুনার ] কাজে। অতএব, আমাদের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করুন” ৪৮৭৯। তারা তাদের জিহ্বাতে তাই-ই বলে যা তাদের অন্তরে নাই। বল, ” আল্লাহ্‌ তোমাদের কারও কোন ক্ষতি বা মঙ্গল সাধনের ইচ্ছা করলে, কে তাঁকে নিবৃত্ত করতে পারে ৪৮৮০ ? বস্তুতঃ তোমরা যা কর সে সম্বন্ধে আল্লাহ্‌ সম্যক অবগত।

৪৮৭৮। নবীর মদিনা থেকে মক্কা যাত্রার প্রাক্কালে [যে যাত্রা হুদায়বিয়া নামক স্থানে স্থগিত হয়ে যায় ] প্রতিটি মুসলমানকে পবিত্র যাত্রা সম্পন্ন করার জন্য প্রতিজ্ঞাবদ্ধ করেন। এ ব্যাপারে মুসলমানদের প্রতিক্রিয়া ছিলো স্বতঃস্ফুর্ত ও উজ্জ্বল দীপ্তিমান ও আবেগপূর্ণ। কিন্তু কোনও কোনও মরুবাসী আরব গোষ্ঠি এ ব্যাপারে আগ্রহ প্রকাশ না করে পিছনে থেকে যায়। তারা তীর্থযাত্রীদের সহযোগী না হওয়ার বিশেষ অজূহাত খাড়া করে। কারণ তাদের বিশ্বাস বা ঈমানের ভিত্তি ছিলো দুর্বল। সে কারণেই তারা সম্ভাব্য কোনওরূপ বিপদ বা বিপর্যয়ের মাঝে যেতে অনিচ্ছুক ছিলো। মক্কীগামী নিরস্ত্র মুসলিম তীর্থযাত্রীরা বিপদ বা অসুবিধার সম্মুখীন হতে পারে এই চিন্তা তাদের দুর্বল বিশ্বাসের ভিত্তিকে প্রকম্পিত করে। আল্লাহ্‌র উপরে নির্ভরশীলতা হারায়। সে কারণে তারা মিথ্যা অজুহাতের উপস্থাপন করে। এই আয়াতে তারা ধন সম্পদ ও পরিবার পরিজনের রক্ষণাবেক্ষণের যে অজুহাত উত্থাপন করে তা ছিলো মদিনাবাসীদের হুদায়বিয়া থেকে প্রত্যাবর্তনের পরে। হুদায়বিয়ার সন্ধির মাধ্যমে মদিনাবাসী মুসলমানদের সম্মান বৃদ্ধি ঘটে। সুতারাং তারা সেই সম্মানের অংশীদার হওয়ার জন্য এই মিথ্যা অজুহাতের আশ্রয় গ্রহণ করে। এই আয়াতের মাধ্যমে সুযোগ সন্ধানীদের চরিত্রের বৈশিষ্ট্য যা সর্বযুগে বিদ্যমান ছিলো এবং ভবিষ্যতেও থাকবে তা তুলে ধরা হয়েছে।

৪৮৭৯। ক্ষমা প্রার্থনার কথা ছিলো শুধুমাত্র কথার কথা। তা তাদের হৃদয়ের কথা ছিলো না। কারণ তাদের অন্তরে বা চিন্তায় কোনওরূপ ধর্মানুরাগ স্থান লাভ করে নাই।

৪৮৮০। তাদের মিথ্যা অজুহাতের একমাত্র কারণ হচ্ছে পার্থিব লাভ-লোকসানের হিসাব। এ সব লোকের নিকট আধ্যাত্মিক জগতের কোনও অস্তিত্ব নাই। বৃহত্তর ও মহত্তর কারণে আত্মত্যাগ আধ্যাত্মিক জগতকে করে সমুন্নত, উন্নত, আল্লাহ্‌র রহমত পাওয়ার যোগ্য। নিতান্ত পার্থিব, আত্ম স্বার্থ উদ্দেশ্য হাসিলের জন্য যারা শুধু কাজ করে তাদের জন্য আধ্যাত্মিক উন্নতির এই পথ রুদ্ধ হয়ে যায়। বিপদের আশংকাকে উপেক্ষা করে, যারা রাসুলের (সা ) সাথে মদিনা থেকে মক্কা অভিমুখে যাত্রা করেন এবং হুদায়বিয়ার প্রান্তরে যারা নিজ জীবনকে আল্লাহ্‌র রাস্তায় উৎসর্গ করার জন্য রাসুলের হাতে হাত রেখে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হন তাদের ত্যাগ ও আত্মোৎসর্গ আল্লাহ্‌ বৃথা যেতে দেন না। আল্লাহ্‌র সন্তুষ্টি তাদের আধ্যাত্মিক জগতকে স্বর্গীয় অনুভূতিতে ভরিয়ে দেয়। কল্যাণজনক কাজের এই স্বর্গীয় অনুভূতি সর্বকালের মানুষের জন্য প্রযোজ্য। যারা শুধুমাত্র বৈষয়িক ব্যাপারে পার্থিব লাভলোকসানের হিসাবে জীবন অতিবাহিত করে থাকে, তারা অত্যন্ত নির্বোধ। কারণ তারা মনে করে থাকে যে, তাদের বৈষয়িক স্বার্থ বুদ্ধির খবর কেউ জানতে পারবে না। তারা নিতান্তই নির্বোধ কারণ আল্লাহ্‌ সর্বজ্ঞ।