আমি অবশ্যই তোমাদেরকে পরীক্ষা করব যে পর্যন্ত না ফুটিয়ে তুলি তোমাদের জেহাদকারীদেরকে এবং সবরকারীদেরকে এবং যতক্ষণ না আমি তোমাদের অবস্থান সমূহ যাচাই করি।
And surely, We shall try you till We test those who strive hard (for the Cause of Allâh) and the patient ones, and We shall test your facts (i.e. the one who is a liar, and the one who is truthful).
وَلَنَبْلُوَنَّكُمْ حَتَّى نَعْلَمَ الْمُجَاهِدِينَ مِنكُمْ وَالصَّابِرِينَ وَنَبْلُوَ أَخْبَارَكُمْ
Walanabluwannakum hatta naAAlama almujahideena minkum waalssabireena wanabluwa akhbarakum
YUSUFALI: And We shall try you until We test those among you who strive their utmost and persevere in patience; and We shall try your reported (mettle).
PICKTHAL: And verily We shall try you till We know those of you who strive hard (for the cause of Allah) and the steadfast, and till We test your record.
SHAKIR: And most certainly We will try you until We have known those among you who exert themselves hard, and the patient, and made your case manifest.
KHALIFA: We will certainly put you to the test, in order to distinguish those among you who strive, and steadfastly persevere. We must expose your true qualities.
৩১। আমি তোমাদের অবশ্যই পরীক্ষা করবো ৪৮৫৫, যতক্ষণ না আমি জেনে নেই তোমাদের মধ্যে কে প্রাণপণে সংগ্রাম করে এবং ধৈর্যের সাথে অধ্যাবসায়ী হয়। তোমাদের বর্ণিত [ তেজস্বিতা ] আমি পরীক্ষা করে নেব ৪৮৫৬।
৪৮৫৫। দেখুন [ ৩৪ : ২১ ] এবং টিকা ৩৮২১। মানুষকে পৃথিবীতে প্রেরণের মাধ্যমে স্রষ্টা মানুষের “সীমিত স্বাধীন ইচ্ছাশক্তির ” প্রয়োগের পরীক্ষা করতে চান। কে স্রষ্টার দেয়া এই ‘দানকে’ স্রষ্টার মনঃতুষ্টির জন্য ব্যয় করে আর কে এই দানকে নিজস্ব রীপুর পরিতৃপ্তির জন্য ব্যয় করে – এই হচ্ছে স্রষ্টার পরীক্ষার বিষয়। আল্লাহ্র ইচ্ছার কাছে নিঃশর্ত আত্মসমর্পন আত্মিক উন্নতির দুয়ার উন্মুক্ত করে দেয়। এ পরীক্ষা হবে মানসিক ইচ্ছার পরীক্ষা। ধৈর্য্যের পরীক্ষা, কে ধৈর্য ও অধ্যাবসায় সহকারে আল্লাহ্র রাস্তায় অটল থাকতে চায়।
৪৮৫৬। ‘Akhbar’- অর্থাৎ যা তোমার নিকট প্রকাশ করা হয়েছে। ” পরীক্ষা করে নেব” – অর্থাৎ আল্লাহ্র রাস্তায় সংগ্রামে যে সব গুণাবলীর উল্লেখ করা হয়েছে তারই পরীক্ষা। এই গুণাবলীকে এই আয়াতে এভাবে বর্ণনা করা হয়েছে। ” প্রাণপনে সংগ্রাম করে, ” এবং “ধৈর্য্যের সাথে অধ্যাবসায়ী হয়” অর্থাৎ যারা তাদের কৃতকর্মের সাফল্যের জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করতে প্রস্তুত এমনকি জীবন পর্যন্ত উৎসর্গ করতে প্রস্তুত থাকে এবং সাফল্য ও ব্যর্থতা যারা সমভাবে গ্রহণ করে ও আল্লাহ্র উপরে নির্ভরশীলতার মাধ্যমে ধৈর্য ধারণ করে। এই আয়াতের মাধ্যমে আল্লাহ্ মহৎ কাজের সাফল্যের চাবিকাঠি বর্ণনা করেছেন। যে কোনও মহৎ কাজের সাফল্য নির্ভর করবে আল্লাহ্র সন্তুষ্টির জন্য জেহাদের মনোভাব ও ধৈর্য। প্রকৃত কার্যক্ষেত্র ব্যতীত ধৈর্য, অধ্যাবসায়, জেহাদী মনোভাব বা সাহস এবং আত্মোৎসর্গের প্রকৃত মনোভাব মহত্ব,সত্যের প্রতি আত্ম নিবেদন প্রভৃতি চারিত্রিক গুণাবলী ধরা পরে না। প্রকৃত কর্মক্ষেত্রেই বোঝা যায় কে প্রকৃত ত্যাগী, সাহসী, ধৈর্যশীল,সত্যের পূঁজারী। সুতারাং পার্থিব বিপদ বিপর্যয়ের মাধ্যমে আল্লাহ্ আমাদের এ সব গুণাবলীর পরীক্ষা নিতে চান – কে “ইচ্ছাশক্তি” প্রয়োগের মাধ্যমে উপরোক্ত গুণাবলী প্রকৃতপক্ষে অর্জন করতে সক্ষম হয় এবং আল্লাহ্র সন্তুষ্টি লাভে ধন্য হয়।