নিশ্চয় যারা সোজা পথ ব্যক্ত হওয়ার পর তৎপ্রতি পৃষ্ঠপ্রদর্শন করে, শয়তান তাদের জন্যে তাদের কাজকে সুন্দর করে দেখায় এবং তাদেরকে মিথ্যা আশা দেয়।
Verily, those who have turned back (have apostated) as disbelievers after the guidance has been manifested to them, Shaitân (Satan) has beautified for them (their false hopes), and (Allâh) prolonged their term (age).
إِنَّ الَّذِينَ ارْتَدُّوا عَلَى أَدْبَارِهِم مِّن بَعْدِ مَا تَبَيَّنَ لَهُمُ الْهُدَى الشَّيْطَانُ سَوَّلَ لَهُمْ وَأَمْلَى لَهُمْ
Inna allatheena irtaddoo AAala adbarihim min baAAdi ma tabayyana lahumu alhuda alshshaytanu sawwala lahum waamla lahum
YUSUFALI: Those who turn back as apostates after Guidance was clearly shown to them,- the Evil One has instigated them and busied them up with false hopes.
PICKTHAL: Lo! those who turn back after the guidance hath been manifested unto them, Satan hath seduced them, and He giveth them the rein.
SHAKIR: Surely (as for) those who return on their backs after that guidance has become manifest to them, the Shaitan has made it a light matter to them; and He gives them respite.
KHALIFA: Surely, those who slide back, after the guidance has been manifested to them, the devil has enticed them and led them on.
২৪। তবে কি তারা একান্তভাবে কুর-আনকে বুঝতে চেষ্টা করে না, অথবা উহাদের অন্তর তালাবদ্ধ ?
২৫। যারা পথের নির্দ্দেশ স্পষ্ট প্রকাশিত হওয়ার পর স্বধর্ম ত্যাগ করে, – শয়তান তাদের উৎসাহিত করে এবং তাদের মিথ্যা আশায় উদ্বেলিত করে। ৪৮৪৯
২৬। এর কারণ, আল্লাহ্ যা নাযিল করেছেন, তাতে যারা ঘৃণা প্রকাশ করতো, তাদের উহারা বলে যে, ” [এই ব্যাপারে] কোন কোন বিষয়ে আমরা অবশ্য তোমাদের কথা মানবো।” কিন্তু আল্লাহ্ তাদের গোপন অভিসন্ধি অবগত আছেন। ৪৮৫০
৪৮৪৯। আল্লাহ্র অনুগ্রহ বঞ্চিত আত্মা সম্পূর্ণ শয়তানের করায়ত্ব হয়ে পড়ে। তারা সর্বদা শয়তানের কুমন্ত্রণায় বশীভূত হয় এবং শয়তানের দ্বারা জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে প্রতারিত হয়ে পড়ে। ফলে তাদের মন্দ কাজ তাদের চোখে শোভনরূপে পরিগণিত হয়।
৪৮৫০। সত্যের আলো মোনাফেকের আত্মায় কখনও প্রবেশ লাভ করবে না। সত্যের বা আল্লাহ্র হেদায়েতের আলোর জন্য এসব আত্মা অভেদ্য। প্রকাশ্যে আল্লাহ্র পথে সংগ্রামে বিরুদ্ধাচারণের সাহস এদের থাকে না। এরাই হয় বিশ্বাসঘাতক। তারা গোপনে আল্লাহ্র শত্রুদের সাথে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয় এবং দুপক্ষেই তাদের কার্যক্রম চালায়। মুনাফেকরা নিজেদের মুসলমান দাবী করতো এবং বাহ্যতঃ রাসুলুল্লাহ্র [সা ] প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করতো কিন্তু অন্তরে শত্রুতা ও বিদ্বেষ পোষণ করে শত্রুদের সাথে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হতো। তারা ছিলো বিশ্বাসঘাতক, শত্রুর চর এবং সন্দেহবাতিক, মোনাফেকের এইরূপ বৈশিষ্ট্য অদ্যাবধি পৃথিবীতে বর্তমান আছে। আল্লাহ্র শ্বাসত সর্তকবাণী এই আয়াতের মাধ্যমে উচ্চারণ করা হয়েছে। মোনাফেকরা যদি মনে করে যে, তারা অবিশ্বস্ততা ও দ্বিমুখী নীতির দ্বারা জীবনে সাফল্য লাভ করবে, তবে তারা ভীষণ ভুলের মাঝে বাস করছে। কারণ আল্লাহ্ তাদের গোপন অভিসন্ধি,উদ্দেশ্য, সবই অবগত আছেন। দেখুন অনুরূপ আয়াত [ ৫৯ : ১১ ]।