যারা মুমিন, তারা বলেঃ একটি সূরা নাযিল হয় না কেন? অতঃপর যখন কোন দ্ব্যর্থহীন সূরা নাযিল হয় এবং তাতে জেহাদের উল্লেখ করা হয়, তখন যাদের অন্তরে রোগ আছে, আপনি তাদেরকে মৃত্যুভয়ে মূর্ছাপ্রাপ্ত মানুষের মত আপনার দিকে তাকিয়ে থাকতে দেখবেন। সুতরাং ধ্বংস তাদের জন্যে।
Those who believe say: ”Why is not a Sûrah (chapter of the Qur’ân) sent down (for us)? But when a decisive Sûrah (explaining and ordering things) is sent down, and fighting (Jihâd holy fighting in Allâh’s Cause) is mentioned (i.e. ordained) therein, you will see those in whose hearts is a disease (of hypocrisy) looking at you with a look of one fainting to death. But it was better for them (hypocrites, to listen to Allâh and to obey Him).
وَيَقُولُ الَّذِينَ آمَنُوا لَوْلَا نُزِّلَتْ سُورَةٌ فَإِذَا أُنزِلَتْ سُورَةٌ مُّحْكَمَةٌ وَذُكِرَ فِيهَا الْقِتَالُ رَأَيْتَ الَّذِينَ فِي قُلُوبِهِم مَّرَضٌ يَنظُرُونَ إِلَيْكَ نَظَرَ الْمَغْشِيِّ عَلَيْهِ مِنَ الْمَوْتِ فَأَوْلَى لَهُمْ
Wayaqoolu allatheena amanoo lawla nuzzilat sooratun fa-itha onzilat sooratun muhkamatun wathukira feeha alqitalu raayta allatheena fee quloobihim maradun yanthuroona ilayka nathara almaghshiyyi AAalayhi mina almawti faawla lahum
YUSUFALI: Those who believe say, “Why is not a sura sent down (for us)?” But when a sura of basic or categorical meaning is revealed, and fighting is mentioned therein, thou wilt see those in whose hearts is a disease looking at thee with a look of one in swoon at the approach of death. But more fitting for them-
PICKTHAL: And those who believe say: If only a surah were revealed! But when a decisive surah is revealed and war is mentioned therein, thou seest those in whose hearts is a disease looking at thee with the look of men fainting unto death. Therefor woe unto them!
SHAKIR: And those who believe say: Why has not a chapter been revealed? But when a decisive chapter is revealed, and fighting is mentioned therein you see those in whose hearts is a disease look to you with the look of one fainting because of death. Woe to them then!
KHALIFA: Those who believed said: “When will a new sura be revealed?” But when a straightforward sura was revealed, wherein fighting was mentioned, you would see those who harbored doubts in their hearts looking at you, as if death had already come to them. They were thus exposed.
রুকু – ৩
২০। যারা বিশ্বাসী, তারা বলে, ৪৮৪৩, ” [ আমাদের জন্য ] একটি সূরা অবতীর্ণ হয় না কেন ? ” অতঃপর যখন মৌলিক ও দ্ব্যর্থহীন ৪৮৪৪ কোন সূরা অবতীর্ণ হয়, এবং উহাতে যুদ্ধের কোন নির্দ্দেশ থাকে, যাদের অন্তরে ব্যাধি আছে ৪৮৪৫, তুমি দেখবে তারা মৃত্যুভয়ে বিহ্বল মানুষের মত তোমার দিকে তাকিয়ে আছে। কিন্তু তাদের জন্য সমীচিন হতো, –
৪৮৪৩। যারা মোমেন বান্দা বা বিশ্বাসে আন্তরিক তারা আল্লাহ্র সেবা করার জন্য সর্বদা ব্যগ্র ও উদ্গ্রীব। আল্লাহ্র রাস্তায় জীবন উৎসর্গ করতেও তারা সদা প্রস্তুত। কিন্তু মোনাফেকরা সেরূপ নয়। কারণ প্রতারণার ব্যাধি তাদের অন্তরে। সুতারাং তারা সর্বদা মৃত্যু ভয়ে ভীত থাকবে।
৪৮৪৪। সত্য ও ন্যায় কে রক্ষার জন্য সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করার হুকুম করা হয়েছে। ইসলামীক রাষ্ট্র্রের কর্ণধারেরা যখন এরূপ হুকুম দান করেন তখন সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করার মানসিকতা প্রতিটি মোমেন বান্দার থাকা অবশ্য কর্তব্য। আল্লাহ্র রাস্তায় সংগ্রাম করার এটা হচ্ছে প্রধান শর্ত। সব কিছু বিচারের ও শেষ পরিণতির মালিক একমাত্র আল্লাহ্। আমাদের বক্তব্য হচ্ছে : আল্লাহ্র প্রতি আমাদের আন্তরিকতা, বিশ্বস্ততা, আগ্রহ ও উদ্দীপনা হবে নিঃশর্ত। কারণ কর্মের মাধ্যমেই আল্লাহ্ আমাদের আন্তরিকতা, বিশ্বস্ততা, আগ্রহ ও উদ্দীপনার মূল্যায়ন করে নেবেন। যেমন বর্ণনা করা হয়েছে ৪ নং আয়াতে। এই সুবিশাল পৃথিবীর কর্ম ক্ষেত্রে আল্লাহ্ মানুষকেই তার অনুমোদিত প্রতিনিধিরূপে প্রেরণ করে থাকেন। সুতারাং আল্লাহ্র হুকুম তার প্রতিনিধিদের মাধ্যমেই প্রেরিত হবে। এবং রাষ্ট্রের, ও ধর্মের প্রতিরক্ষার জন্য তা আন্তরিকভাবে মান্য করা প্রতিটি মোমেন বান্দার অবশ্য কর্তব্য।
৪৮৪৫। দেখুন [২ : ১০ ] আয়াত। ঈমানের উৎস হচ্ছে আত্মা বা অন্তর। আবার মোনাফেকীর উৎসও হচ্ছে আত্মা বা অন্তর। যখন আত্মা তার পবিত্রতা হারায় তখনই তা ব্যাধিগ্রস্থ অন্তরে পরিণত হয়। এই ব্যধির উপসর্গ হচ্ছে : মোনাফেকী, অবিশ্বস্ততা, কাপুরুষতা, মহৎ উদ্দেশ্যের প্রতি ত্যাগ স্বীকারে বিমুখতা আল্লাহ্র হুকুমের যথার্থতা অনুধাবনে অক্ষমতা ইত্যাদি।