অতঃপর যখন তোমরা কাফেরদের সাথে যুদ্ধে অবতীর্ণ হও, তখন তাদের গর্দার মার, অবশেষে যখন তাËেদরকে পূর্ণরূপে পরাভূত কর তখন তাদেরকে শক্ত করে বেধে ফেল। অতঃপর হয় তাদের প্রতি অনুগ্রহ কর, না হয় তাদের নিকট হতে মুক্তিপণ লও। তোমরা যুদ্ধ চালিয়ে যাবে যে পর্যন্ত না শত্রুপক্ষ অস্ত্র সমর্পণ করবে! একথা শুনলে। আল্লাহ ইচ্ছা করলে তাদের কাছ থেকে প্রতিশোধ নিতে পারতেন। কিন্তু তিনি তোমাদের কতককে কতকের দ্বারা পরীক্ষা করতে চান। যারা আল্লাহর পথে শহীদ হয়, আল্লাহ কখনই তাদের কর্ম বিনষ্ট করবেন না।
So, when you meet (in fight Jihâd in Allâh’s Cause), those who disbelieve smite at their necks till when you have killed and wounded many of them, then bind a bond firmly (on them, i.e. take them as captives). Thereafter (is the time) either for generosity (i.e. free them without ransom), or ransom (according to what benefits Islâm), until the war lays down its burden. Thus [you are ordered by Allâh to continue in carrying out Jihâd against the disbelievers till they embrace Islâm (i.e. are saved from the punishment in the Hell-fire) or at least come under your protection], but if it had been Allâh’s Will, He Himself could certainly have punished them (without you). But (He lets you fight), in order to test you, some with others. But those who are killed in the Way of Allâh, He will never let their deeds be lost,
فَإِذا لَقِيتُمُ الَّذِينَ كَفَرُوا فَضَرْبَ الرِّقَابِ حَتَّى إِذَا أَثْخَنتُمُوهُمْ فَشُدُّوا الْوَثَاقَ فَإِمَّا مَنًّا بَعْدُ وَإِمَّا فِدَاء حَتَّى تَضَعَ الْحَرْبُ أَوْزَارَهَا ذَلِكَ وَلَوْ يَشَاء اللَّهُ لَانتَصَرَ مِنْهُمْ وَلَكِن لِّيَبْلُوَ بَعْضَكُم بِبَعْضٍ وَالَّذِينَ قُتِلُوا فِي سَبِيلِ اللَّهِ فَلَن يُضِلَّ أَعْمَالَهُمْ
Fa-itha laqeetumu allatheena kafaroo fadarba alrriqabi hatta itha athkhantumoohum fashuddoo alwathaqa fa-imma mannan baAAdu wa-imma fidaan hatta tadaAAa alharbu awzaraha thalika walaw yashao Allahu laintasara minhum walakin liyabluwa baAAdakum bibaAAdin waallatheena qutiloo fee sabeeli Allahi falan yudilla aAAmalahum
YUSUFALI: Therefore, when ye meet the Unbelievers (in fight), smite at their necks; At length, when ye have thoroughly subdued them, bind a bond firmly (on them): thereafter (is the time for) either generosity or ransom: Until the war lays down its burdens. Thus (are ye commanded): but if it had been Allah’s Will, He could certainly have exacted retribution from them (Himself); but (He lets you fight) in order to test you, some with others. But those who are slain in the Way of Allah,- He will never let their deeds be lost.
PICKTHAL: Now when ye meet in battle those who disbelieve, then it is smiting of the necks until, when ye have routed them, then making fast of bonds; and afterward either grace or ransom till the war lay down its burdens. That (is the ordinance). And if Allah willed He could have punished them (without you) but (thus it is ordained) that He may try some of you by means of others. And those who are slain in the way of Allah, He rendereth not their actions vain.
SHAKIR: So when you meet in battle those who disbelieve, then smite the necks until when you have overcome them, then make (them) prisoners, and afterwards either set them free as a favor or let them ransom (themselves) until the war terminates. That (shall be so); and if Allah had pleased He would certainly have exacted what is due from them, but that He may try some of you by means of others; and (as for) those who are slain in the way of Allah, He will by no means allow their deeds to perish.
KHALIFA: If you encounter (in war) those who disbelieve, you may strike the necks. If you take them as captives you may set them free or ransom them, until the war ends. Had GOD willed, He could have granted you victory, without war. But He thus tests you by one another. As for those who get killed in the cause of GOD, He will never put their sacrifice to waste.
০৪। সুতারাং যখন [ যুদ্ধক্ষেত্রে ] তোমরা অবিশ্বাসীদের সাথে মিলিত হও ৪৮২০; তখন তাদের গর্দানে আঘাত করবে, পরিশেষে যখন তোমরা উহাদের সম্পূর্ণরূপে পরাভূত করবে, তখন [ উহাদের ] মজবুত করে বাঁধবে ৪৮২১। অতঃপর হয় অনুকম্পা, নয় মুক্তিপণ ৪৮২২। যতক্ষণ না শত্রুপক্ষ অস্ত্র ত্যাগ করে [ জিহাদ চালিয়ে যাবে ] এটাই বিধান। আর যদি আল্লাহ্ ইচ্ছা করেন, অবশ্য তাদের উপরে নিজেই প্রতিশোধ নিতে পারেন, কিন্তু তিনি চান [ যুদ্ধের মাধ্যমে ] এককে অপরের দ্বারা পরীক্ষা করার জন্য ৪৮২৩। কিন্তু যারা আল্লাহ্র রাস্তায় মারা যায় ৪৮২৪, তিনি কখনও তাদের কর্ম বিনষ্ট হতে দেন না।
৪৮২০। কাফেরদের বিরুদ্ধে যুদ্ধকে জেহাদ বলে ঘোষণা করা হয়েছে। যখন কেউ তা করবে তা সর্ব শক্তি দ্বারা করার আদেশ দান করা হয়েছে। “গর্দ্দানে আঘাত কর ” এই বাক্যটির আক্ষরিক ও আলংকারিক উভয় অর্থ বিদ্যমান। গর্দ্দান হচ্ছে শরীরের এমন স্থান যেখানে অস্ত্রের এক আঘাতে শরীরকে মস্তকচ্যুত করা যায়। অর্থাৎ শত্রুর নিধনের উপযুক্ত স্থান। আলংকারিক অর্থে ব্যপকভাবে সেইরূপ আঘাত যা হবে প্রাণঘাতি – মৃত্যুসমতুল্য। যুদ্ধকে ছেলেখেলা হিসেবে গ্রহণ করতে নিষেধ করা হয়েছে।
৪৮২১। এই আয়াতটি, [ ৮ : ৬৭ ] আয়াত ও টিকা ১২৩৪ সহিত তুলনাযোগ্য। যুদ্ধের প্রথম অবস্থায় শত্রুকে নিধন করতে হবে যতক্ষণ না তাদের শক্তি ক্ষয় হয়ে তারা দুর্বল হয়ে পড়ে। এরপরের হুকুম হচ্ছে পরাভূত শত্রুদের বন্দী করতে হবে।
৪৮২২। যখন শত্রুদের পরাভূত করে বন্দী করা হবে, তখন হয় তাদের প্রতি দয়া [ মুক্তিপণ ব্যতীত মুক্তি ] অথবা মুক্তিপণ ধার্য করতে হবে।
৪৮২৩। আল্লাহ্ মানুষকে দুঃখ, ব্যাথা, বিপদ, বিপর্যয়ের মাধ্যমে পরীক্ষা করে থাকেন, মানুষের ধৈর্য্যের ও আল্লাহ্র প্রতি নির্ভরশীলতার ও আত্মত্যাগের। জেহাদ হচ্ছে মোমেন বান্দাদের জন্য আত্মত্যাগ,নির্ভরশীলতার, একটি পরীক্ষা বিশেষ। মোমেন বান্দাদের পরীক্ষা করা হয় তাঁরা আল্লাহ্র রাস্তায় কতটুকু আত্মোৎসর্গ করতে প্রস্তুত। তাঁরা কি আল্লাহ্র রাস্তায় জীবন উৎসর্গ করতে প্রস্তুত ? জেহাদ হচ্ছে মোমেন বান্দাদের জন্য ত্যাগ ও তিতিক্ষার পরীক্ষা। অপরপক্ষে শত্রুদের জন্য তা হচ্ছে নিজের ভুলকে উপলব্ধির পরীক্ষা। বিপদের মাঝে তাদের উপলব্ধির করার সুযোগ দান করা হয় যে, তারা যেনো অনুতাপ ও আত্মসংশোধনের মাধ্যমে সঠিক পথে ফিরে আসে।
৪৮২৪। এই পংক্তিটি দুভাবে পড়া যায়। ১) ‘Qatalu’ অর্থাৎ যারা যুদ্ধ করে ; ২) ‘ Qutilu’ অর্থ যারা নিহত হয়। প্রথম অর্থটি ব্যপক অর্থে ব্যবহৃত হতে পারে যার অন্তর্ভূক্ত হবে দ্বিতীয় অর্থটি তবে Royal Egyptian Edition এ দ্বিতীয় অর্থটি ব্যবহার করা হয়েছে সেই বিধায় এখানে দ্বিতীয় অর্থটি ব্যবহার করা হয়েছে।