আল্লাহ নভোমন্ডল ও ভূ-মন্ডল যথাযথভাবে সৃষ্টি করেছেন, যাতে প্রত্যেক ব্যক্তি তার উপার্জনের ফল পায়। তাদের প্রতি যুলুম করা হবে না।
And Allâh has created the heavens and the earth with truth, in order that each person may be recompensed what he has earned, and they will not be wronged .
وَخَلَقَ اللَّهُ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضَ بِالْحَقِّ وَلِتُجْزَى كُلُّ نَفْسٍ بِمَا كَسَبَتْ وَهُمْ لَا يُظْلَمُونَ
Wakhalaqa Allahu alssamawati waal-arda bialhaqqi walitujza kullu nafsin bima kasabat wahum la yuthlamoona
YUSUFALI: Allah created the heavens and the earth for just ends, and in order that each soul may find the recompense of what it has earned, and none of them be wronged.
PICKTHAL: And Allah hath created the heavens and the earth with truth, and that every soul may be repaid what it hath earned. And they will not be wronged.
SHAKIR: And Allah created the heavens and the earth with truth and that every soul may be rewarded for what it has earned and they shall not be wronged.
KHALIFA: GOD created the heavens and the earth for a specific purpose, in order to pay each soul for whatever it earned, without the least injustice.
রুকু – ৩
২২। আল্লাহ্ আকাশ মন্ডলী ও পৃথিবীকে যথাযথ ভাবে সৃষ্টি করেছেন ৪৭৬০ এবং ইহা এই হেতু যে, প্রতিটি আত্মা যেনো তার অর্জিত [কর্ম ] অনুযায়ী প্রতিদান পেতে পারে, এবং তাদের প্রতি কোন জুলুম করা হবে না।
৪৭৬০। দেখুন [ ৪৪ : ৩৮-৩৯ ]। বিশ্ব প্রকৃতিকে এমন ভাবে বিন্যস্ত করা হয়েছে , যেনো প্রতিটি আত্মা আত্ম উন্নতির সুযোগ লাভ করে। আত্মিক উন্নতির পূর্বশর্ত হচ্ছে আল্লাহ্র প্রতি একান্ত বিশ্বাস ও আনুগত্য। এই বিশ্বাস ও আনুগত্য আত্মাকে পৃথিবীর পাপ ও কলুষমুক্ত রাখতে সাহায্য করে। মোমেন বান্দা তাঁর ঈমান বা বিশ্বাস ও আনুগত্য অর্থাৎ সৎকর্মের প্রতিদান লাভ করবে ইহকালে ও পরকালেও। “যথাযথ ” শব্দটি দ্বারা আল্লাহ্র আইন সমূহের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে।আকাশ মন্ডলী ও বিশ্ব প্রকৃতি যেমন প্রাকৃতিক আইনের অধীনে; আধ্যাত্মিক জগতের জন্যও সেরূপ আইন বর্তমান। তবে তা চর্মচক্ষুতে ভাস্বর হয় না, তা অনুভবের মাধ্যমে আত্মার মাঝে উপলব্ধি করতে হয়। যে শুধুমাত্র জাগতিক বা প্রাকৃতিক আইনকেই সর্বোচ্চ আসন দান করে; সে পার্থিব বা জাগতিক সফলতা লাভে সক্ষম হয়। আর যে আধ্যাত্মিক উন্নতির জন্য সাধনা করে সে আধ্যাত্মিক ভাবে সফলতা লাভে ধন্য হয়।আল্লাহ্র তরফ থেকে তার মাঝে জন্ম নেয় , জ্ঞান, প্রজ্ঞা , বিচক্ষণতা ও বিবেক। রীপুর দহন মুক্ত শান্তিময় জীবন তার পুরষ্কার বা কর্মফল হিসেবে সে লাভ করে। যদি কেউ আল্লাহ্র আইন লঙ্ঘন করে, সেও তার প্রতিদান বা কর্মফল ভোগ করে। এ হচ্ছে বিশ্বজনীন আইন – সকলের জন্য সমভাবে প্রযোজ্য – কারও প্রতি কোনও অবিচার করা হয় না। কিন্তু আল্লাহ্র পুরষ্কার গ্রহীতার যোগ্যতাকে অতিক্রম করে যাবে। যা প্রাপ্য তার বহুগুণ তাকে দেয়া হবে।