আল্লাহর সামনে তারা আপনার কোন উপকারে আসবে না। যালেমরা একে অপরের বন্ধু। আর আল্লাহ পরহেযগারদের বন্ধু।
Verily, they can avail you nothing against Allâh (if He wants to punish you). Verily, the Zâlimûn (polytheists, wrong-doers, etc.) are Auliyâ’ (protectors, helpers, etc.) to one another, but Allâh is the Walî (Helper, Protector, etc.) of the Muttaqûn (pious – see V.2:2).
إِنَّهُمْ لَن يُغْنُوا عَنكَ مِنَ اللَّهِ شَيئًا وإِنَّ الظَّالِمِينَ بَعْضُهُمْ أَوْلِيَاء بَعْضٍ وَاللَّهُ وَلِيُّ الْمُتَّقِينَ
Innahum lan yughnoo AAanka mina Allahi shay-an wa-inna alththalimeena baAAduhum awliyao baAAdin waAllahu waliyyu almuttaqeena
YUSUFALI: They will be of no use to thee in the sight of Allah: it is only Wrong-doers (that stand as) protectors, one to another: but Allah is the Protector of the Righteous.
PICKTHAL: Lo! they can avail thee naught against Allah. And lo! as for the wrong-doers, some of them are friends of others; and Allah is the Friend of those who ward off (evil).
SHAKIR: Surely they shall not avail you in the least against Allah; and surely the unjust are friends of each other, and Allah is the guardian of those who guard (against evil).
KHALIFA: They cannot help you at all against GOD. It is the transgressors who ally themselves with one another, while GOD is the Lord of the righteous.
১৯। আল্লাহ্র দৃষ্টিতে তারা তোমার কোন কাজেই আসবে না ৪৭৫৭। কেবলমাত্র পাপীরাই একে অপরের রক্ষাকারী [বন্ধু ]। কিন্তু আল্লাহ্ পূণ্যাত্মাদের রক্ষাকারী।
৪৭৫৭। যদিও এই আয়াতটি রাসুলুল্লাহকে [ সা ] সম্বোধন করে অবতীর্ণ হয়েছে , কিন্তু এর আবেদন সার্বজনীন। আল্লাহ্ রাসুলকে [ সা ] বলেছেন যে, অজ্ঞ ও কলহপ্রিয় লোকেরা কখনও আল্লাহ্র রাস্তায় কাজ করতেপারবে না। এ কথা রাসুলের সময়ে যেরূপ প্রযোজ্য ছিলো অদ্যবধিও তা সমভাবে প্রযোজ্য আছে এবং ভবিষ্যতেও তা প্রযোজ্য থাকবে। অজ্ঞ অর্থাৎ আল্লাহ্র জ্ঞান সম্বন্ধে অজ্ঞ ও কলহপ্রিয় অর্থাৎ পরস্পরের প্রতি বিদ্বেষবশতঃ যারা বিরোধিতা করে। এ সব লোকের অন্তর ঈর্ষাতে পূর্ণ থাকে। এই ঈর্ষাপূর্ণ হৃদয় বিদ্বেষের সুতিকাগার। তাদের মতবিরোধ তাদের ঈর্ষা ও বিদ্বেষেরই বহিঃপ্রকাশ মাত্র। সুতারাং যাদের হৃদয় হিংসা ও দ্বেষে পরিপূর্ণ তারা কাউকে সাহায্য করার ক্ষমতা রাখে না। যদি কেউ এদের সাহায্য কামনা করে,তবে তারা সেখানে মতবিরোধের সুত্রপাত করবে। যত তাদের প্রকৃত সত্য সম্বন্ধে অজ্ঞতা বৃদ্ধি পাবে, তত তাদের মাঝে মতবিরোধ বৃদ্ধি পাবে এবং তারা নিজেদের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্বরূপে চিত্রিত করে আত্মপ্রসাদ লাভ করবে। মন্দ সকল সময়ে মন্দকে রক্ষার জন্য এগিয়ে আসবে। কারণ তাদের অস্তিত্ব রক্ষার জন্য তা প্রয়োজন। তারা পরস্পরের বন্ধু। অপরপক্ষে মোমেন ব্যক্তি সর্বদা আল্লাহ্র উপরে নির্ভরশীল। সে একমাত্র আল্লাহ্র সাহায্য কামনা করে থাকে। আল্লাহ্-ই যাদের রক্ষাকর্তা ও সাহায্যকারী বন্ধু। সুতারাং আল্লাহ্র কাজে অর্থাৎ সৎ কাজে ঈর্ষাকাতর ব্যক্তিরা সর্বদা অবদান রাখতে অক্ষম হবে এ কথা চিরসত্য। তাদের এ বৈশিষ্ট্যই এই আয়াতের মাধ্যমে সার্বজনীন চিরসত্য হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে বনী ইসরাঈলীদের উদাহরণের মাধ্যমে।