তারা সেখানে মৃত্যু আস্বাদন করবে না, প্রথম মৃত্যু ব্যতীত এবং আপনার পালনকর্তা তাদেরকে জাহান্নামের আযাব থেকে রক্ষা করবেন।
They will never taste death therein except the first death (of this world), and He will save them from the torment of the blazing Fire,
لَا يَذُوقُونَ فِيهَا الْمَوْتَ إِلَّا الْمَوْتَةَ الْأُولَى وَوَقَاهُمْ عَذَابَ الْجَحِيمِ
La yathooqoona feeha almawta illa almawtata al-oola wawaqahum AAathaba aljaheemi
YUSUFALI: Nor will they there taste Death, except the first death; and He will preserve them from the Penalty of the Blazing Fire,-
PICKTHAL: They taste not death therein, save the first death. And He hath saved them from the doom of hell,
SHAKIR: They shall not taste therein death except the first death, and He will save them from the punishment of the hell,
KHALIFA: They do not taste death therein – beyond the first death – and He has spared them the retribution of Hell.
৫৬। প্রথম মৃত্যু ব্যতীত তারা সেথায় আর মৃত্যু আস্বাদন করবে না ৪৭৩১। এবং তিনি তাদের জ্বলন্ত আগুনের শাস্তি থেকে রক্ষা করবেন – ৪৭৩২।
৪৭৩১। ‘প্রথম মৃত্যু’ শব্দটি দ্বারা পার্থিব জীবনের সাধারণ মৃত্যুকে বোঝানো হয়েছে। এই দৈহিক মৃত্যুর পরেই মুত্তাকীদের বেহেশতে আনায়ন করা হয়, যেখানে তারা পরম শান্তি লাভ করবে। দেখুন আয়াত [ ৩৭ : ৫৯ ] এবং টিকা ৪০৭১।
৪৭৩২। ইসলামে আধ্যাত্মিক মুক্তির রূপরেখা বর্ণনা প্রসঙ্গে বলা হয়েছে যে এই মুক্তি শুধুমাত্র ব্যক্তিগত প্রচেষ্টাতে লাভ করা সম্ভব নয়। ব্যক্তিকে সর্বশক্তি দিয়ে আধ্যাত্মিক মুক্তির জন্য চেষ্টা করতে হবে সত্য, এবং এই চেষ্টা করা হচ্ছে মুক্তি লাভের অবধারিত অংশ বিশেষ। কিন্তু সর্বপরি প্রয়োজন হচ্ছে আল্লাহ্র করুণা ও দয়া লাভ করা। একমাত্র আল্লাহ্র অনুগ্রহ ও করুণাই পারে আমাদের আধ্যাত্মিক মুক্তি দান করে পরলোকের শাস্তি থেকে রক্ষা করতে। আধ্যাত্মিক মুক্তি তথা ধর্মের মূল ভিত্তিকে এই আয়াতের মাধ্যমে প্রকাশ করা হয়েছে সূরাটির শেষে। নিজস্ব চেষ্টা ও সর্বপরি আল্লাহ্র সাহায্য,অনুগ্রহ ও করুণা আমাদের পরলোকের অপার শান্তির ভিত্তি রচনা করে থাকে। আল্লাহ্র অনুগ্রহই হচ্ছে আধ্যাত্মিক শান্তির পথ ইহলোকে ও পরলোকেও।