কাফেররা বলেই থাকে,
Verily, these (Quraish) people are saying:
إِنَّ هَؤُلَاء لَيَقُولُونَ
Inna haola-i layaqooloona
YUSUFALI: As to these (Quraish), they say forsooth:
PICKTHAL: Lo! these, forsooth, are saying:
SHAKIR: Most surely these do say:
KHALIFA: The present generations say,
৩৪।যেমন এরা [ কুরাইশরা ] নিশ্চয়ই বলে থাকে ;
৩৫। ” আমাদের প্রথম মৃত্যু ব্যতীত আর কিছু নাই, এবং আমাদের পুণরায় উঠানো হবে না।
৩৬। “তাহলে আমাদের পূর্ব পুরুষদের ফিরিয়ে আন, যদি তুমি সত্যি বলে থাক।” ৪৭১৪
৪৭১৪। প্রাচীন সভ্যতায়, পৃথিবীর ইতিহাসে মিশর ও ইসরাঈলীদের অবদান সর্বজন স্বীকৃত। এরা ছিলো সমসাময়িক বিশ্বের সর্বশ্রেষ্ঠ জাতি, কিন্তু তাদের অহংকার ও গর্বের দরুণ ও তাদের পাপের পরিণতিতে তাদের পতন ঘটে। এই আয়াতে ‘এরা ‘ দ্বারা রাসুলের সমকালীন কাফিরদিগকে বুঝানো হয়েছে। পৃথিবীর দুই সুসভ্য, ও পরাক্রমশালী জাতির উদাহরণ স্থাপন করা হয়েছে এসব অবিশ্বাসী ও একগুয়ে কোরাইশদের সম্মুখে। তাঁরা নবীর বিরুদ্ধে ছিলো একগুয়ে। অবাধ্যভাবে তারা আল্লাহ্র প্রত্যাদেশকে প্রত্যাখান করতো। তারা পরলোকের জীবনকে অস্বীকার করতো , যেমন করতো ইহুদীদের মধ্যে যারা নাস্তিক ছিলো। কোরাইশরা আল্লাহ্র রাসুলকে ও যারা আল্লাহ্র প্রত্যাদেশে বিশ্বাস করতো তাদের নির্যাতন ও অত্যাচার করতো। শুধু তাই-ই নয়, ব্যঙ্গ ও বিদ্রূপ করে দাবী করতো যে পরলোকে যদি পুণরুত্থান ঘটেই থাকে তবে এখনই তাদের পূর্বপুরুষদের উপস্থিত করা হোক। এদেরই স্মরণ করানো হয়েছে যে, তাদের থেকেও শক্তিশালী ও সমৃদ্ধিশালী জাতি যারা আরবেই বাস করতো, তারাও ধ্বংস হয়ে গেছে [ পরবর্তী আয়াত সমূহ ]। কারণ ছিলো তাদের আল্লাহ্র প্রতি অবিশ্বাস ও পাপ কার্য। তারাও যদি অনুতাপের মাধ্যমে আত্মসংশোধন না করে তবে তাদেরও শেষ পরিণতি ঐ একই ঘটবে।