যেদিন আমি প্রবলভাবে ধৃত করব, সেদিন পুরোপুরি প্রতিশোধ গ্রহণ করবই।
On the Day when We shall seize you with the greatest grasp. Verily, We will exact retribution.
يَوْمَ نَبْطِشُ الْبَطْشَةَ الْكُبْرَى إِنَّا مُنتَقِمُونَ
Yawma nabtishu albatshata alkubra inna muntaqimoona
YUSUFALI: One day We shall seize you with a mighty onslaught: We will indeed (then) exact Retribution!
PICKTHAL: On the day when We shall seize them with the greater seizure, (then) in truth We shall punish.
SHAKIR: On the day when We will seize (them) with the most violent seizing; surely We will inflict retribution.
KHALIFA: The day we strike the big stroke, we will avenge.
১৬। যেদিন আমি তোমাদের ভয়ঙ্কর ভাবে আক্রমণ করবো, নিশ্চয় [সেদিন] আমি প্রতিশোধ নিয়ে ছাড়বো।
১৭। তাদের পূর্বে আমি তো ফেরাউনের সম্প্রদায়কে পরীক্ষা করেছিলাম ৪৭০০। এবং তাদের নিকটেও এসেছিলো এক সম্মানিত রাসুল ৪৭০১।
৪৭০০। এই আয়াতে ফেরাউন ও মিশরবাসীদের পরীক্ষার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। মুসার কাহিনীর বর্ণনা নয় ফেরাউন ও তার অনুসারীদের গর্ব ও অহংকার এবং তার দরুণ পতনের উল্লেখের মাধ্যমে তাদের বিচারের পরিণতি বর্ণনা করা হয়েছে। ঠিক সেই ভাবে [ ৪৪ : ৩০ -৩৩ ] আয়াতে ইসরাঈলীদের উপরে আল্লাহ্র অনুগ্রহের উল্লেখ করা হয়েছে তাদের গর্ব, অহংকার , অবিশ্বাস ও পতনের বিপরীতে। এবং আয়াত [ ৪৪ : ৩৭ ] উল্লেখ করা হয়েছে ইয়েমেনের প্রাচীন শক্তিশালী ‘হিমাইর’ রাজবংশের যাদেরও পতনও ঘটেছিলো একই ভাবে।
৪৭০১। ‘সম্মানিত রাসুল’ এই সম্ভাষণ হযরত মুসার জন্য প্রয়োগ করা হয়েছে। এখানে হযরত মুসার সত্যসহ অবতীর্ণ হওয়ার বিপরীতে ফেরাউনের মিথ্যা শ্রেষ্ঠত্বের দাবীকে তুলনা করা হয়েছে। দেখুন আয়াত [ ৪৩ :৫২] যেখানে ফেরাউন নিজস্ব মিথ্যা শ্রেষ্ঠত্বের দাবীতে মুসাকে সম্বোধন করেছিলো, ” আমি তো শ্রেষ্ঠ এই ব্যক্তি থেকে , যে হীন এবং স্পষ্ট ভাবে কথা বলতেও অক্ষম।”
উপদেশ : যুগে যুগে যারা অহংকারী ও মিথ্যাকে জীবনের শ্রেষ্ঠ অলংকার বলে পরিগণিত করে থাকে, তাদের দৃষ্টিতে সত্যের প্রকৃতরূপ কখনও ধরা দেবে না। পৃথিবীর সকল যুগের সকল মানুষের জন্য এই সত্য প্রযোজ্য।