যা মানুষকে ঘিরে ফেলবে। এটা যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি।
Covering the people, this is a painful torment.
يَغْشَى النَّاسَ هَذَا عَذَابٌ أَلِيمٌ
Yaghsha alnnasa hatha AAathabun aleemun
YUSUFALI: Enveloping the people: this will be a Penalty Grievous.
PICKTHAL: That will envelop the people. This will be a painful torment.
SHAKIR: That shall overtake men; this is a painful punishment.
KHALIFA: It will envelope the people; this is a painful retribution.
১০। অতএব তুমি সেদিনের অপেক্ষা কর ৪৬৯৫ , যেদিন আকাশ ধূঁয়াতে [ বা কুয়াশায় ] আচ্ছন্ন হয়ে যাবে যা সুস্পষ্ট ভাবে দেখা যাবে ৪৬৯৬
১১। যা মানব সম্প্রদায়কে আবৃত করে ফেলবে। এটা হবে এক ভয়াবহ শাস্তি।
১২। [ তারা বলবে : ] ” হে আমাদের প্রভু ! আমাদের উপর থেকে শাস্তি দূর করে দাও , আমরা অবশ্যই ঈমান এনেছি।”
৪৬৯৫। এখানে যে দিনের উল্লেখ করা হয়েছে সেটা কোন দিন ? অবশ্যই সে দিন হবে বিরাট বিপর্যয়ের দিন। ভাষার বর্ণনা থেকে বোঝা যায় যে, সে বিপর্যয়ের দিন হবে ভবিষ্যতে। এই সূরার ১১নং আয়াতের ‘yagsha’ শব্দটি সূরা [ ৮৮ : ১ ] আয়াতের ‘gashiya’ শব্দটির সাথে তুলনাযোগ্য। তবে শব্দটি শেষ বিচারের দিনের জন্য প্রযোজ্য হয়েছে। কিন্তু এই সূরার ১৫ নং আয়াতটিতে বলা হয়েছে , ” শাস্তি কিছু কালের জন্য রহিত করিতেছি।” সুতারাং এই বিপর্যয়ের দিন শেষ বিচারের দিন হবে না। এটি হবে পৃথিবীর জীবনের বিপর্যয় যা ভবিষ্যতে সংঘটিত হবে। সম্ভবতঃ পরবর্তী মক্কাতে যে দুর্ভিক্ষ হবে তারই পূর্বাভাষ এখানে দেয়া হয়েছে।
৪৬৯৬। তফসীরকারগণ মনে করেন ‘ধোঁয়া’ বা কুয়াশা যাই বলা হোক না কেন তার দ্বারা মক্কার দুর্ভিক্ষের প্রতি ইঙ্গিতকরা হয়েছে। দিনের পরে দিন ক্ষুধার জ্বালা সহ্য করতে করতে মানুষ এমন অবস্থায় পৌঁছায় যখন তারা চোখে ঘোর দেখে অর্থাৎ সব কিছু ঝাপসা বলে পরিগণিত হয়। মনে হবে ধোঁয়া সব কিছুকে আচ্ছাদিত করে ফেলেছে। ইবনে কাফীর মক্কার দুইটি দুর্ভিক্ষের উল্লেখ করেছেন। একটা ছিলো নবুয়ত পাওয়ার ৮ম বর্ষে বা হিজরতের চার বছর পূর্বে , অন্যটি ছিলো হিজরতের ৮ম বর্ষে। যে কোনটি অথবা দুটোই সম্ভবতঃ প্রায় সাত বছরের মত স্থায়ী হয়। এটাও সম্ভব যে দুটো দুর্ভিক্ষই সামান্য ব্যবধানে ধারাবাহিক ভাবে চলে এসেছে বছরের পর বছর। যার প্রচন্ডতা এক এক বর্ষে এক এক রকম ভাবে অনুভূত হয়েছে। বুখারী শরীফে শুধুমাত্র হিজরতের পরবর্তী দুর্ভিক্ষের উল্লেখ আছে। সে দুর্ভিক্ষের বর্ণনায় বলা হয়েছে যে সে দুর্ভিক্ষ এতটাই তীব্র ছিলো যে, মানুষ মৃত প্রাণীর গলিত শব ও হাড় ভক্ষণ করতো। আবু সুফিয়ান অষ্টম হিজরীতে রাসুলের নিকট গমন করেন আল্লাহ্র দরবারে রাসুলকে [ সা ] সুপারিশ করার জন্য; আল্লাহ্ যেনো তাদের দুর্ভিক্ষ থেকে মুক্তি দেন। যেহেতু, মোশরেক আরবরা বিশ্বাস করতো যে, দুর্ভিক্ষ রাসুলের [ সা ] অভিশাপের ফল। সূরা [ ২৩ : ৭৫ ] আয়াতে এবং টিকাতে ২৯২১ দুর্ভিক্ষের উল্লেখ আছে, যদিও সে সূরাটি বর্তমান সূরার পরে মক্কাতে অবতীর্ণ হয়। সকল সূরা সম্পূর্ণ এক সাথে অবতীর্ণ হয় নাই। অনেক সূরাই অংশ হিসেবে নাজেল হয়েছে। সুতারাং সম্ভবতঃ সূরার কোন কোন আয়াত সম্পূর্ণ সূরার নাজেল হওয়ার তারিখ থেকে আলাদা হতে পারে।