যখনই মরিয়ম তনয়ের দৃষ্টান্ত বর্ণনা করা হল, তখনই আপনার সম্প্রদায় হঞ্জগোল শুরু করে দিল
And when the son of Maryam (Mary) is quoted as an example [i.e. ’Iesa (Jesus) is worshipped like their idols), behold! Your people cry aloud (laugh out at the example).
وَلَمَّا ضُرِبَ ابْنُ مَرْيَمَ مَثَلًا إِذَا قَوْمُكَ مِنْهُ يَصِدُّونَ
Walamma duriba ibnu maryama mathalan itha qawmuka minhu yasiddoona
YUSUFALI: When (Jesus) the son of Mary is held up as an example, behold, thy people raise a clamour thereat (in ridicule)!
PICKTHAL: And when the son of Mary is quoted as an example, behold! the folk laugh out,
SHAKIR: And when a description of the son of Marium is given, lo! your people raise a clamor thereat.
KHALIFA: When the son of Mary was cited as an example, your people disregarded it.
রুকু – ৬
৫৭। যখন মরিয়ম পুত্র [ ঈসার ] দৃষ্টান্ত উপস্থাপন করা হয় ৪৬৫৯ , দেখো , তোমার সম্প্রদায় তাতে শোরগোল তোলে [ উপহাস করে ] ! –
৫৮। এবং তারা বলে, ” আমাদের দেবতাগুলি শ্রেষ্ঠ না সে ? ” ওরা কেবল বাক্-বিতন্ডার উদ্দেশ্যেই তোমাকে এ কথা বলে থাকে। নিশ্চয়ই তারা তো এক কলহপ্রিয় সম্প্রদায়।
৪৬৫৯। আল্লাহ্ হযরত ঈসাকে ইসরাঈলীদের নিকট প্রেরণ করেন সত্য প্রচারের জন্য। কিন্তু ইসরাঈলীরা তাকে আল্লাহ্র রাসুল বলে গ্রহণ করে নাই। তাঁর প্রচারিত ধর্মই হচ্ছে খৃষ্টধর্ম। তাঁর অন্তর্ধানের পরে খৃষ্টানেরা তাদের ধর্মকে ত্রিতত্ববাদীরূপে প্রতিষ্ঠিত করে এবং হযরত ঈসাকে আল্লাহ্র পুত্ররূপে পূঁজা করতে শুরু করে। হযরত মুহম্মদের [ সা ] সময়ে বহু গোড়া খৃষ্টান ধর্মালম্বী গোত্র হযরত ঈসার পূঁজা করতো। হযরত মুহম্মদ [ সা ] প্রচার করেন আল্লাহ্র একত্ববাদে। এ কথা আল্ – কোরাণে ঘোষণা করা হয় যে, আল্লাহ্র পরিবর্তে যাদের ‘ ইবাদত করা হয় তারা জাহান্নামের ইন্ধন ‘ [ ২১ : ৯৮ ] ” খৃষ্টানগণ ঈসা [আঃ]কে আল্লাহ্র শরীক করে এবং তার উপাসনা করে। সুতারাং কোরাণের ভাষ্য অনুযায়ী যদি তাঁদের দেবদেবীরা জাহান্নামের ইন্ধন হয় তবে সেই সাথে হযরত ঈসাও [ আ ] জাহান্নামের ইন্ধন হবেন। সে এই হিসেবে আমাদের উপাস্যগুলি থেকে শ্রেষ্ঠ নয়। তাদের এই বক্তব্যের কোনও সারবত্তা ছিলো না , তা ছিলো মিথ্যা বাকবিতন্ডা ও শ্লেষোক্তি মাত্র।হযরত ঈসা [ আ ] ছিলেন রসুলদের মধ্যে অন্যতম প্রধান রাসুল। তিনি আল্লাহ্র অবতার ছিলেন না। বা তাঁর সম্বন্ধে খৃষ্ট ধর্মের লোকেরা যা প্রচার করে তার সাথে হযরত ঈসার কোনও সম্পর্ক নাই।