কোন মানুষের জন্য এমন হওয়ার নয় যে, আল্লাহ তার সাথে কথা বলবেন। কিন্তু ওহীর মাধ্যমে অথবা পর্দার অন্তরাল থেকে অথবা তিনি কোন দূত প্রেরণ করবেন, অতঃপর আল্লাহ যা চান, সে তা তাঁর অনুমতিক্রমে পৌঁছে দেবে। নিশ্চয় তিনি সর্বোচ্চ প্রজ্ঞাময়।
. It is not given to any human being that Allâh should speak to him unless (it be) by Inspiration, or from behind a veil, or (that) He sends a Messenger to reveal what He wills by His Leave. Verily, He is Most High, Most Wise .
وَمَا كَانَ لِبَشَرٍ أَن يُكَلِّمَهُ اللَّهُ إِلَّا وَحْيًا أَوْ مِن وَرَاء حِجَابٍ أَوْ يُرْسِلَ رَسُولًا فَيُوحِيَ بِإِذْنِهِ مَا يَشَاء إِنَّهُ عَلِيٌّ حَكِيمٌ
Wama kana libasharin an yukallimahu Allahu illa wahyan aw min wara-i hijabin aw yursila rasoolan fayoohiya bi-ithnihi ma yashao innahu AAaliyyun hakeemun
YUSUFALI: It is not fitting for a man that Allah should speak to him except by inspiration, or from behind a veil, or by the sending of a messenger to reveal, with Allah’s permission, what Allah wills: for He is Most High, Most Wise.
PICKTHAL: And it was not (vouchsafed) to any mortal that Allah should speak to him unless (it be) by revelation or from behind a veil, or (that) He sendeth a messenger to reveal what He will by His leave. Lo! He is Exalted, Wise.
SHAKIR: And it is not for any mortal that Allah should speak to them, they could not bear to hear and they did not see.
KHALIFA: No human being can communicate with GOD except through inspiration, or from behind a barrier, or by sending a messenger through whom He reveals what He wills. He is the Most High, Most Wise.
৫১। মানুষের জন্য এটা উপযুক্ত৪৫৯৭ নয় যে,আল্লাহ্ তার সাথে কথা বলবেন ওহী ব্যতীত ৪৫৯৮, অথবা পর্দ্দার অন্তরাল ব্যতীত ৪৫৯৯, অথবা এমন দূত প্রেরণ ব্যতীত , যে দূত আল্লাহ্র অনুমতি ক্রমে আল্লাহ্র ইচ্ছাকে ব্যক্ত করেন। তিনি সর্বোচ্চ সমুন্নত , মহাজ্ঞানী ৪৬০০।
৪৫৯৭। উপরের আয়াতদ্বয়ের [ ৪৯ – ৫০ ] ধারাবাহিকতায় এই আয়াতগুলি [ ৫১- ৫৩ ] উচ্চতর আধ্যাত্মিক জ্ঞানের সন্ধান দেয়। মহাকাশ ও ভূমন্ডল সৃষ্টির মাঝে, মানুষের অস্তিত্ব এক ক্ষুদ্র কণিকার ন্যায়। মানুষের সৃষ্ট সমাজ, সভ্যতা, পরিবার , পরিজন মানুষ অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে , তবে আল্লাহ্র সৃজন শক্তির কাছে তা অতি তুচ্ছ। আল্লাহ্র সৃজন ক্ষমতা ও মানুষের তুচ্ছতাকে তুলে ধরা হয়েছে টিকা ১২০ ও আয়াত [ ২ : ১১৭ ] এবং টিকা ৯১৬ ও আয়াত [ ৬ : ৯৪ ] এবং টিকা ৯২৩ ও আয়াত [ ৬ : ৯৮ ]। মানুষের প্রতিদিনের সামাজিক ও দাম্পত্য জীবন যে প্রহেলিকাতে ঘেরা , যার প্রকৃত রহস্য মানুষের অগোচরে। মানুষের এই ক্ষুদ্রতা , সীমাবদ্ধতা আধ্যাত্মিক জগতেও বিদ্যমান। কিভাবে স্রষ্টার সৃষ্ট ক্ষুদ্র মানুষ মহাপরাক্রমশালী আল্লাহ্র সাথে মুখোমুখি কথা বলতে পারে ? সে তো তার উপযুক্ত নয়।আল্লাহ্র অপার করুণায় মানুষ তিনভাবে আল্লাহ্র সাথে যোগাযোগ রক্ষা করতে পারে। দেখুন আয়াত [ ৫১ – ৫৩ ]।
৪৫৯৮। আল্লাহ্ সমুন্নত ও প্রজ্ঞাময়। মানুষকে সৃষ্টির সর্বশ্রেষ্ঠ জীব করা সত্ত্বেও কখনও কখনও মানুষ পশুর ন্যায় অধম হয়ে পড়ে [ ৯৫ : ৫ ]। মানুষের এই আচরণ সত্ত্বেও পরম করুণাময় আল্লাহ্ মানুষকে প্রত্যাদেশের নেয়ামতে ধন্য করেন। কিভাবে এই প্রত্যাদেশ মানুষের মাঝে প্রেরণ করা হয় ? তিনটি উপায়ের বর্ণনা করা হয়েছে : ১) Wahyun বা ওহী অর্থাৎ দৈব বা অতিপ্রাকৃত শক্তিবলে মনে সঞ্চারিত করা। ২) পর্দ্দার অন্তরাল থেকে এবং ৩) দূত প্রেরণ করে।
ওহীকে দুভাবে ব্যাখ্যা করা হয় ১) মানুষের মনের মাঝে, চিন্তার মাঝে আল্লাহ্র বাণী উত্থাপিত করা হয় যেনো , মানুষ আল্লাহ্র বাণীর মর্মার্থ নিজ আত্মার মাঝে উপলব্ধি করতে পারে।সে যেনো অনুধাবন করতে পারে আল্লাহ্র আদেশ বা নিষেধ , অথবা প্রকৃত সত্যের স্বরূপ এবং ২) মৌখিক বা লিখিতভাবে প্রেরিত ওহী বা আল্লাহ্র বাণী। এ ক্ষেত্রে আল্লাহ্র বাণী মানুষের ভাষায় রূপান্তরিত করা হয়।
৪৫৯৯। “পর্দ্দার অন্তরাল “- অবশ্যই তা পার্থিব কোন আচরণ নয়। এটা হচ্ছে আলোর পর্দ্দা।
এ ব্যাপারে মুসলমানরা রাসুলের [ সা ] বক্তব্য অনুসরণ করে। রাসুল [ সা ] বলেছেন : “His veil is light, were He to withdraw it, then would august splendour of His countenance surely consume everything that comes within His sight ” যার বাংলা অনুবাদ দাড়ায় ” আল্লাহ্র অন্তরাল হচ্ছে আলো। যদি তিনি তা তুলে নেন, তবে তার উপস্থিতির যে মহান দীপ্তি তা অবশ্যই তার দৃষ্টিগ্রাহ্য সকল কিছুকে গ্রাস করে নেবে। ”
৪৬০০। “Rasul ” বা দূত : ফেরেশতা জিব্রাইল যার মাধ্যমে আল্লাহ্ তাঁর প্রত্যাদেশ প্রেরণ করেন নবীজীর নিকট।