1 of 3

041.047

কেয়ামতের জ্ঞান একমাত্র তাঁরই জানা। তাঁর জ্ঞানের বাইরে কোন ফল আবরণমুক্ত হয় না। এবং কোন নারী গর্ভধারণ ও সন্তান প্রসব করে না। যেদিন আল্লাহ তাদেরকে ডেকে বলবেন, আমার শরীকরা কোথায়? সেদিন তারা বলবে, আমরা আপনাকে বলে দিয়েছি যে, আমাদের কেউ এটা স্বীকার করে না।
(The learned men) refer to Him (Alone) the knowledge of the Hour. No fruit comes out of its sheath, nor does a female conceive (within her womb), nor brings forth (young), except by His Knowledge. And on the Day when He will call unto them (polytheists) (saying): ”Where are My (so-called) partners (whom you did invent)?” They will say: ”We inform You that none of us bears witness to it (that they are Your partners)!”

إِلَيْهِ يُرَدُّ عِلْمُ السَّاعَةِ وَمَا تَخْرُجُ مِن ثَمَرَاتٍ مِّنْ أَكْمَامِهَا وَمَا تَحْمِلُ مِنْ أُنثَى وَلَا تَضَعُ إِلَّا بِعِلْمِهِ وَيَوْمَ يُنَادِيهِمْ أَيْنَ شُرَكَائِي قَالُوا آذَنَّاكَ مَا مِنَّا مِن شَهِيدٍ
Ilayhi yuraddu AAilmu alssaAAati wama takhruju min thamaratin min akmamiha wama tahmilu min ontha wala tadaAAu illa biAAilmihi wayawma yunadeehim ayna shuraka-ee qaloo athannaka ma minna min shaheedin

YUSUFALI: To Him is referred the Knowledge of the Hour (of Judgment: He knows all): No date-fruit comes out of its sheath, nor does a female conceive (within her womb) nor bring forth the Day that (Allah) will propound to them the (question), “Where are the partners (ye attributed to Me?” They will say, “We do assure thee not one of us can bear witness!”
PICKTHAL: Unto Him is referred (all) knowledge of the Hour. And no fruits burst forth from their sheaths, and no female carrieth or bringeth forth but with His knowledge. And on the day when He calleth unto them: Where are now My partners? they will say: We confess unto Thee, not one of us is a witness (for them).
SHAKIR: To Him is referred the knowledge of the hour, and there come not forth any of the fruits from their coverings, nor does a female bear, nor does she give birth, but with His knowledge; and on the day when He shall call out to them, Where are (those whom you called) My associates? They shall say: We declare to Thee, none of us is a witness.
KHALIFA: With Him is the knowledge about the Hour (end of the world). No fruits emerge from their sheaths, nor does any female conceive or give birth, without His knowledge. The day will come when He asks them: “Where are those idols that you set up beside Me?” They will say, “We proclaim to You that none of us bears witness to that.”

৪৬। যে সৎ কাজ করে সে তা করে নিজের আত্মার কল্যাণের জন্য, যে অসৎ কাজ করে সে তা করে নিজের আত্মার বিরুদ্ধে। তোমার প্রভু তার বান্দাদের প্রতি [ সামান্য পরিমাণও ] অন্যায় করেন না।

পঞ্চবিংশতম পারা

৪৭। কেয়ামতের জ্ঞান শুধু আল্লাহ্‌র নিকটেই রয়েছে। ৪৫১৯ তাঁর অজ্ঞাতে কোন ফল উহার আবরণ থেকে বের হয় না এবং কোন নারী গর্ভ ধারণ করে না , [সন্তান ] প্রসবও করে না।যেদিন আল্লাহ্‌ তাদের ডেকে বলবেন, ” আমার[ প্রতি আরোপিত ] শরীকেরা কোথায় ? ” তারা বলবে , ” আমরা আপনার নিকট নিবেদন করি যে ,এই ব্যাপারে আমরা কিছুই জানি না।” ৪৫২০

৪৫১৯। স্রষ্টার জ্ঞানের তুলনায় মানুষের জ্ঞান অতি অকিঞ্চিতকর। আল্লাহ্‌র জ্ঞানকে ধারণ করা দূরে থাকুক , তা অনুমান করাও মানুষের সাধ্যের বাইরে। সেই সীমাহীন জ্ঞানের এক নিগুঢ় রহস্য হচ্ছে কেয়ামতের জ্ঞান। একমাত্র আল্লাহ্‌র নিকটই সেই জ্ঞানের দ্বার উন্মুক্ত। কারণ আল্লাহ্‌-ই সকল কিছুর পরিচালনা করেন, নিয়ন্ত্রণ করেন। কেয়ামতের জ্ঞান হচ্ছে সেরূপ একটি জ্ঞান যা শুধু আল্লাহ্‌রই নিয়ন্ত্রণে এবং কখন তা ঘটবে তা শুধুমাত্র আল্লাহ্‌-ই জানেন। যে জ্ঞানের সীমানা মানুষের আয়ত্বের বাইরে; তার সম্বন্ধে মানুষের বৃথা তর্কে লিপ্ত হওয়া উচিত নয়। কারণ কেয়ামতের ব্যাপারে মানুষের জ্ঞান শুধুমাত্র অনুমান ভিত্তিক বুদ্ধিমত্তা। ধর্মের ব্যাপারে এরূপ অনুমান হযরত মুসার সম্প্রদায়কে বিপথে চালিত করে এবং তারা সন্দেহ এবং বিতর্কের ঊষর , অনূর্বর মনোজগতে তাদের ধর্মীয় বিশ্বাসকে হারিয়ে ফেলে। যে জ্ঞানের জগত মানুষের সীমানার বাইরে তার সম্বন্ধে মিথ্যা তর্ক-বির্তক বিপথে চালিত করে।সুতারাং ধর্ম সম্বন্ধে মিথ্যা কুট তর্কে নিজেকে জড়িত না করে আমাদের কর্তব্য হচ্ছে আল্লাহ্‌র প্রতি কর্তব্যে অবিচল থাকা এবং আল্লাহকে ও মানুষকে ভালোবাসা [ আয়াত নং ৪৫ও ৪৬ লক্ষ্য করুন ]। যা তার জন্য কল্যাণ বয়ে আনবে।দেখুন আয়াত [ ২১ : ৪ ]।

৪৫২০। কিয়ামত দিবসে প্রতিটি কর্মের মূল্যবোধের , সত্য রূপকে প্রকাশ করা হবে। সমস্ত মিথ্যা প্রচার ও ভান সেদিন তিরোহিত হবে এবং তাদের প্রকৃতরূপকে সর্বসমক্ষে উদ্ঘাটিত করা হবে। সেদিন মিথ্যা উপাস্যদের প্রকৃত রূপ প্রকাশিত হয়ে পড়বে , তারা সব সেদিন অদৃশ্য হয়ে যাবে। মিথ্যা উপাস্যের উপাসনাকারীদের সেদিন বোধদয় ঘটবে। কিন্তু সে চৈতন্যলাভ তাদের কোন উপকারে আসবে না। কারণ তা হয়ে যাবে বহু দূর।