আমি তার সে অপরাধ ক্ষমা করলাম। নিশ্চয় আমার কাছে তার জন্যে রয়েছে উচ্চ মর্তবা ও সুন্দর আবাসস্থল।
So We forgave him this (lapse): he enjoyed, indeed, a Near Approach to Us, and a beautiful place of (Final) Return.
فَغَفَرْنَا لَهُ ذَلِكَ وَإِنَّ لَهُ عِندَنَا لَزُلْفَى وَحُسْنَ مَآبٍ
Faghafarna lahu thalika wa-inna lahu AAindana lazulfa wahusna maabin
YUSUFALI: So We forgave him this (lapse): he enjoyed, indeed, a Near Approach to Us, and a beautiful place of (Final) Return.
PICKTHAL: So We forgave him that; and lo! he had access to Our presence and a happy journey’s end.
SHAKIR: Therefore We rectified for him this, and most surely he had a nearness to Us and an excellent resort.
KHALIFA: We forgave him in this matter. We have granted him a position of honor with us, and a beautiful abode.
২৫। সুতারাং তাঁর এই [ ত্রুটি ] আমি ক্ষমা করলাম। সে উপভোগ করেছে আমার নৈকট্য এবং তার [শেষ ] প্রত্যাবর্তন স্থান হবে উত্তম।
২৬। হে দাউদ ! আমি অবশ্যই তোমাকে পৃথিবীতে প্রতিনিধি করেছি ৪১৭৭। সুতারাং মানুষের মধ্যে সত্য ও [ ন্যায়ের ] ভিত্তিতে বিচার -মীমাংসা কর। তোমার [ হৃদয়ের ] কামনা বাসনার অনুসরণ করো না। কারণ তারা তোমাকে আল্লাহ্র পথ থেকে ভ্রষ্ট করবে ৪১৭৮। যারা আল্লাহ্র পথ থেকে ভ্রষ্ট হয় তাদের জন্য আছে ভয়াবহ শাস্তি। কারণ তারা হিসাবের দিবসকে বিস্মৃত হয়েছিলো।
৪১৭৭। দেখুন আয়াত [২ : ৩০ ] এবং টিকা ৪৭। এই আয়াতে আল্লাহ্ দাউদ নবীকে তাঁর প্রতিনিধি হিসেবে প্রেরণ করেছেন। দাউদ নবীর রাজা হিসেবে প্রশাসনিক ক্ষমতা, জ্ঞান ,প্রজ্ঞা , ন্যায়বিচারের ক্ষমতা, সঙ্গীতের প্রতিভা , নবুয়ত্ব সবই আল্লাহ্র অনুগ্রহ ; এবং আল্লাহ্ তাঁকে অনুগ্রহ করেছেন সেটাতে তার নিজস্ব কোন কৃতিত্ব নাই। আত্মগরিমার কোনও অবকাশ নাই। দাউদ নবীর এই উদাহরণ থেকে সাধারণ মানুষের শিক্ষণীয় বিষয় হচ্ছে সাধারণ মানুষ তাদের মেধা, মননশীলতা, প্রতিভা,সৃজনশীলতা ; সাফল্য কৃতিত্ব সব কিছুর জন্য আল্লাহ্র পরিবর্তে আত্মগরিমায় লিপ্ত হয়। এ কথা সত্যি যে আল্লাহ্র অনুগ্রহকে নিজস্ব চেষ্টার মাধ্যমে আয়ত্ব করতে হয়। কিন্তু যদি মেধা বা সৃজনশীলতা বা প্রতিভা জন্মগত ভাবে লাভ না করে ,তবে চেষ্টা দ্বারা এসব করায়ত্ব করা সম্ভব নয়। সুতারাং জীবনের সকল , সাফল্যের মূল হচ্ছে আল্লাহ্র অনুগ্রহ এবং তার জন্য মানুষ অবশ্যই কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করবে।
৪১৭৮। মুসলিম দর্শন অনুযায়ী দাউদ নবী বিভিন্ন গুণে গুণান্বিত ছিলেন এবং তিনি ছিলেন ন্যায় বিচারক। এই আয়াত গুলির মাধ্যমে দাউদ নবীর চরিত্রের নির্মলতা প্রকাশ করা হয়েছে এভাবে যে সামান্য পরিমাণ আত্ম অহংকার আত্মার মাঝে উদয় হওয়ার সাথে সাথে তিনি তা অনুতাপের বারিধারাতে ধুয়ে মুছে ফেলে সদ্যস্নাতরূপে প্রস্ফুটিত হন। দাউদ নবী সম্বন্ধে বাইবেলের ধারণার সাথে মুসলিমদের ধারণার বিস্তর পার্থক্য লক্ষ্য করা যায়।