হে আমার পরওয়ারদেগার! আমাকে এক সৎপুত্র দান কর।
“O my Lord! Grant me a righteous (son)!”
رَبِّ هَبْ لِي مِنَ الصَّالِحِينَ
Rabbi hab lee mina alssaliheena
YUSUFALI: “O my Lord! Grant me a righteous (son)!”
PICKTHAL: My Lord! Vouchsafe me of the righteous.
SHAKIR: My Lord! grant me of the doers of good deeds.
KHALIFA: “My Lord, grant me righteous children.”
১০০। ” হে আমার প্রভু ! আমাকে এক পূণ্যাত্মা [ পুত্র ] দান কর।”
১০১। সুতারাং আমরা তাকে এক কষ্ট সহ্যকারী ও ধৈর্য্যশীল পুত্রের সুসংবাদ দিলাম ৪০৯৬, ৪০৯৭।
৪০৯৬। পুত্র সন্তান লাভের সুসংবাদ দান করা হয় সিরিয়া ও প্যালেস্টাইনের উর্বর ভূমিতে যখন হযরত ইব্রাহীম সেখানে অবস্থান করছিলেন। মুসলমানদের বিশ্বাস অনুযায়ী এই পুত্র হচ্ছেন হযরত ইসমাঈলের আগমনের সংবাদ। ইসমাঈল নামটি sami’a এই শব্দটি থেকে উত্থিত। sami’a অর্থাৎ শোনা, কারণ আল্লাহ্ হযরত ইব্রাহীমের প্রার্থনা কবুল করেন [ ৩৭ – ১০০ ]। ইসমাঈল যখন জন্মগ্রহণ করেন তখন হযরত ইব্রাহীমের বয়স ছিলো ৮৬ বৎসর [ Gen XVI 16 ] ।
৪০৯৭। হযরত ইব্রাহীমের অনাগত পুত্রের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য এখানে বর্ণনা করা হয়েছে ; স্থির বুদ্ধি সম্পন্ন বা হালিম শব্দটি দ্বারা। হালিম শব্দটি হযরত ইব্রাহীমের উপাধিরূপে বর্ণনা করা হয় [ দেখুন আয়াত ৯ : ১১৪ ও ১১ :৭৫ ]। এই শব্দটি প্রকৃত ধৈর্য্যশীল বা সবরকারীদের জন্য প্রযোজ্য। সবর্ শব্দটির প্রকৃত তাৎপর্য সম্বন্ধে দেখুন টিকা ৬১। হযরত ইব্রাহীম ও তাঁর পুত্র আল্লাহ্র হুকুম অনুযায়ী কর্ম সম্পাদনের জন্য সর্বোচ্চ আত্মত্যাগ করতেও কুণ্ঠিত হন নাই। দেখুন পরবর্তী আয়াত।