আমি যাকে দীর্ঘ জীবন দান করি, তাকে সৃষ্টিগত পূর্বাবস্থায় ফিরিয়ে নেই। তবুও কি তারা বুঝে না?
If We grant long life to any, We cause him to be reversed in nature: Will they not then understand?
وَمَنْ نُعَمِّرْهُ نُنَكِّسْهُ فِي الْخَلْقِ أَفَلَا يَعْقِلُونَ
Waman nuAAammirhu nunakkis-hu fee alkhalqi afala yaAAqiloona
YUSUFALI: If We grant long life to any, We cause him to be reversed in nature: Will they not then understand?
PICKTHAL: He whom we bring unto old age, We reverse him in creation (making him go back to weakness after strength). Have ye then no sense?
SHAKIR: And whomsoever We cause to live long, We reduce (him) to an abject state in constitution; do they not then understand?
KHALIFA: Whomever we permit to live for a long time, we revert him to weakness. Do they not understand?
রুকু – ৫
৬৮। যদি আমি কাউকে দীর্ঘজীবন দান করি , আমি তাকে প্রকৃতির নিয়ম অনুযায়ী পিছন দিকে ফিরিয়ে দেই ৪০১৪। তবুও কি তারা বুঝবে না ?
৪০১৪। এই আয়াতটি পূর্বের আয়াতের ধারাবাহিকতা স্বরূপ। কারণ এই আয়াতেও আল্লাহ্র ক্ষমতাকে প্রকাশ করা হয়েছে এবং একে অনুধাবন করার জন্য উদাহরণের উল্লেখ করা হয়েছে যার সাহায্যে মানুষকে চিন্তা করে উপলব্ধি করতে বলা হয়েছে। মানুষের জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত সম্পূর্ণ ব্যাপারটি গভীরভাবে চিন্তা করলে মানুষকে অবশ্যই অভিভূত ভাবে বলতে হবে ” আল্লাহ্ তুমি-ই মহান ও ধন্য।” মানব সন্তান পৃথিবীতে আসে সকল প্রাণীর মধ্যে সবচেয়ে অসহায় অবস্থায় সে একটি মাংসের মন্ড ব্যতীত অন্য কিছু নয়। আস্তে আস্তে সে বড় হয় এবং বিভিন্ন নৈতিক ও চারিত্রিক গুণাবলীতে আল্লাহ্ তাঁকে ধন্য করেন। তার মাঝে জন্ম নেয় সাহস, শৈর্য্য-বীর্য, অজানাকে জয়ের আকাঙ্খা, জ্ঞান, প্রজ্ঞা ইত্যাদি। ধীরে ধীরে সে নিজেকে প্রকাশ করে – পৃথিবীকে সে তার সেবা দিয়ে ধন্য করে, পৃথিবীর অগ্রযাত্রায় সে অংশগ্রহণ করে। যৌবনে সে মধ্যাহ্ন সূর্যের ন্যায় দীপ্ত , ভাস্বর । এর পরে আসে বাদ্ধর্ক্য। ধীরে ধীরে তার সকল গুণাবলী ও বৈশিষ্ট্য লুপ্ত হয়ে সে আবার শিশুর ন্যায় আচরণ প্রাপ্ত হয়। একই জীবনে সে আবার শৈশব প্রাপ্ত হয়। যে মানুষ উন্নত মস্তকে দৃপ্ত পদভরে ,পৃথিবীতে প্রকম্পিত করতো , সেই মানুষ কুব্জনুব্জ ভাবে কম্পিত পদক্ষেপে পদচারণ করে। একই মানুষের মাঝে বিভিন্ন বয়েসে যে বিভিন্ন পরিবর্তন ঘটে থাকে সেকি স্রষ্টার সৃষ্টি নৈপুন্যের স্বাক্ষর নয় ? যদি একই ব্যক্তির বিভিন্ন পরিবর্তন স্রষ্টা করতে পারেন এই পৃথিবীতেই তবে সেই মানুষকে পুণঃসৃষ্টি আল্লাহ্র পক্ষে কত সহজ। মানুষের দোষত্রুটি সত্বেও আল্লাহ্ মানুষকে করেছেন সম্মানীত যা বর্ণনা করা হয়েছে উপরের আয়াতে।