আমি ইচ্ছা করলে তাদের দৃষ্টি শক্তি বিলুপ্ত করে দিতে পারতাম, তখন তারা পথের দিকে দৌড়াতে চাইলে কেমন করে দেখতে পেত!
If it had been our Will, We could surely have blotted out their eyes; then should they have run about groping for the Path, but how could they have seen?
وَلَوْ نَشَاء لَطَمَسْنَا عَلَى أَعْيُنِهِمْ فَاسْتَبَقُوا الصِّرَاطَ فَأَنَّى يُبْصِرُونَ
Walaw nashao latamasna AAala aAAyunihim faistabaqoo alssirata faanna yubsiroona
YUSUFALI: If it had been our Will, We could surely have blotted out their eyes; then should they have run about groping for the Path, but how could they have seen?
PICKTHAL: And had We willed, We verily could have quenched their eyesight so that they should struggle for the way. Then how could they have seen?
SHAKIR: And if We please We would certainly put out their eyes, then they would run about groping for the way, but how should they see?
KHALIFA: If we will, we can veil their eyes and, consequently, when they seek the path, they will not see.
৬৬। এটা যদি আমি ইচ্ছা করতাম তাহলে তাদের চক্ষুদ্বয়কে মুছে ফেলতে পারতাম। তখন তারা অন্ধকারে পথ চলতো হাতড়িয়ে কিন্তু তারা কিভাবে দেখতে পেতো ? ৪০১২
৪০১২। “আমি ইচ্ছা করলে” – অর্থাৎ যদি তা আল্লাহ্র পরিকল্পনার অন্তর্গত হয়। যদি আল্লাহ্ সীমিত স্বাধীন ইচ্ছাশক্তি দান না করতেন ,ভালো মন্দ ,পাপ-পূণ্যকে নিজ বিচার বিবেচনার ক্ষমতা দান না করতেন তবে সম্পূর্ণ ঘটনা ভিন্নরূপ ধারণ করতো। পৃথিবীতে মানুষ ব্যতীত অন্যান্য জীবিত প্রাণীরা যথা প্রাণীজগৎ , উদ্ভিদ জগৎ কেউই বিবেক প্রাপ্ত নয় এবং কাউকে আল্লাহ্ সীমিত স্বাধীন ইচ্ছা শক্তি দান করেন নাই , সুতারাং তাদের কোন নৈতিক দায়-দায়িত্বও থাকে না , যার জন্য তাদের জবাবদিহিতার সম্মুখীন হতে হবে। তাদের কোন বুদ্ধি নাই অর্থাৎ দেখার ক্ষমতা নাই – স্রষ্টা যদি ইচ্ছা করতেন তবে মানুষকেও এই অবস্থা দান করতে পারতেন। তখন মানুষ প্রাণী কূলের ন্যায় চক্ষু থাকতেও অন্ধ সমতুল্য হতো, একেই বলা হয়েছে “চক্ষুদ্বয়কে মুছে ফেলতে পারতাম।” বিবেক বুদ্ধি না থাকার দরুণ তাদের বোঝার ক্ষমতা থাকতো না, সুতারাং জবাবদিহিতার সম্মুখীন হতে হতো না। কিন্তু মানুষের জন্য ব্যাপারটি তো তা নয়।