তারা জোর শপথ করে বলত, তাদের কাছে কোন সতর্ককারী আগমন করলে তারা অন্য যে কোন সম্প্রদায় অপেক্ষা অধিকতর সৎপথে চলবে। অতঃপর যখন তাদের কাছে সতর্ককারী আগমন করল, তখন তাদের ঘৃণাই কেবল বেড়ে গেল।
And they swore by Allâh their most binding oath, that if a warner came to them, they would be more guided than any of the nations (before them), yet when a warner (Muhammad SAW) came to them, it increased in them nothing but flight (from the truth),
وَأَقْسَمُوا بِاللَّهِ جَهْدَ أَيْمَانِهِمْ لَئِن جَاءهُمْ نَذِيرٌ لَّيَكُونُنَّ أَهْدَى مِنْ إِحْدَى الْأُمَمِ فَلَمَّا جَاءهُمْ نَذِيرٌ مَّا زَادَهُمْ إِلَّا نُفُورًا
Waaqsamoo biAllahi jahda aymanihim la-in jaahum natheerun layakoonunna ahda min ihda al-omami falamma jaahum natheerun ma zadahum illa nufooran
YUSUFALI: They swore their strongest oaths by Allah that if a warner came to them, they would follow his guidance better than any (other) of the Peoples: But when a warner came to them, it has only increased their flight (from righteousness),-
PICKTHAL: And they swore by Allah, their most binding oath, that if a warner came unto them they would be more tractable than any of the nations; yet, when a warner came unto them it aroused in them naught save repugnance,
SHAKIR: And they swore by Allah with the strongest of their oaths that if there came to them a warner they would be better guided than any of the nations; but when there came to them a warner it increased them in naught but aversion.
KHALIFA: They swore by GOD solemnly that if a warner went to them, they would be better guided than a certain congregation! However, now that the warner did come to them, this only plunged them deeper into aversion.
৪২। ওরা আল্লাহ্র নামে কঠিন শপথ করে বলে যে, যদি ওদের নিকট কোন সর্তককারী আসে তবে নিশ্চয় ওরা অন্য সকল জাতি অপেক্ষা , সুপথের অধিকতর অনুসরণ করবে ৩৯৩৫। কিন্তু যখন তাদের নিকট একজন সর্তককারীর আগমন হলো , তখন তা কেবল তাদের [ ধর্ম পথ থেকে ] বিমুখতাই বৃদ্ধি করলো, –
৩৯৩৫। দেখুন আয়াত [ ৬ : ১৫৭ ]। কোরাণের প্রতিটি আয়াত দ্ব্যর্থবোধক। ইসলাম প্রচারের সময়ে রসুলের জীবনের প্রেক্ষিতে সমসাময়িক অর্থ এবং ঐ প্রেক্ষাপটে সর্বসাধারণের জন্য যুগকাল অতিক্রান্ত উপদেশ বা বিবরণ যা সকল যুগের মানুষের জন্য প্রযোজ্য। এই আয়াতে কোরেশ সম্প্রদায়ের উল্লেখ করা হয়েছে , কিন্তু এখানে কোরেশদের যে মানসিকতা তা পৃথিবীর সকল পাপীদের জন্য প্রযোজ্য।
কিতাবধারী জাতিদের সম্পর্কে কোরেশদের ধারণা ছিলো অত্যন্ত নিম্নমানের। গর্বিত ও উন্নাসিক বক্তব্য দিয়ে নিজেদের সমর্থন করা ব্যতীত তা অন্য কিছু নয়। তারা হৈ চৈ করতো এই বলে যে, ইহুদী ও খৃষ্টানেরা নিজেদের ধর্মচ্যুত হয়েছে , কারণ তারা তাদের কাছে পাঠানো আল্লাহ্র প্রত্যাদেশকে অনুসরণ করে না। তারা বলতো যে আল্লাহ্ তাদের নিকট কোনও নবী বা রসুল পাঠান নাই। পাঠালে তারা বিশ্বকে দেখিয়ে দিত যে তারা আল্লাহ্র অত্যন্ত বাধ্য এবং প্রত্যাদেশের প্রতি বিশ্বস্ত থাকতো এবং তারা আন্তরিক ভাবেই আল্লাহ্র বিধান বা আইনকে মেনে চলতো। একথা তারা রসুলের আগমনের পূর্বে সদর্পে ঘোষণা করতো। কিন্তু যখন প্রকৃতপক্ষে রসুল [ সা ] আল্লাহ্র নিকট থেকে নবুয়ত প্রাপ্ত হলেন এবং তিনি তা প্রচার আরম্ভ করলেন , তারাই সর্ব প্রথম তা থেকে মুখ ঘুরিয়ে নিল এবং প্রত্যাখান করলো। তারা সত্যকে পরিহার করে ক্রমাগত দূরে সরে যেতে থাকলো। কোরেশদের এই মনোভাব সার্বজনীন। পৃথিবীতে সকল যুগে সকল পাপীদের এই একই মনোভাব – তারা অপরের ছিদ্রান্বেষী এবং নিজের পাপ কাজের জন্য সর্বদা কৈফিয়ত প্রস্তুত করে থাকে। কিন্তু যখন তাদের সম্মুখ থেকে সকল বাধা দূর করা হয় এবং সত্যকে গ্রহণ করার মত পরিবেশ সৃষ্টি করা হয় ; তারা সত্য এবং সৎকাজ থেকে বিরত থাকে এবং সত্য থেকে দূরে সরে যেতে থাকে।