1 of 3

035.018

কেউ অপরের বোঝা বহন করবে না। কেউ যদি তার গুরুতর ভার বহন করতে অন্যকে আহবান করে কেউ তা বহন করবে না-যদি সে নিকটবর্তী আত্নীয়ও হয়। আপনি কেবল তাদেরকে সতর্ক করেন, যারা তাদের পালনকর্তাকে না দেখেও ভয় করে এবং নামায কায়েম করে। যে কেউ নিজের সংশোধন করে, সে সংশোধন করে, স্বীয় কল্যাণের জন্যেই আল্লাহর নিকটই সকলের প্রত্যাবর্তন।
And no bearer of burdens shall bear another’s burden, and if one heavily laden calls another to (bear) his load, nothing of it will be lifted even though he be near of kin. You (O Muhammad SAW) can warn only those who fear their Lord unseen, and perform As-Salât (Iqâmat­as­Salât). And he who purifies himself (from all kinds of sins), then he purifies only for the benefit of his ownself. And to Allâh is the (final) Return (of all).

وَلَا تَزِرُ وَازِرَةٌ وِزْرَ أُخْرَى وَإِن تَدْعُ مُثْقَلَةٌ إِلَى حِمْلِهَا لَا يُحْمَلْ مِنْهُ شَيْءٌ وَلَوْ كَانَ ذَا قُرْبَى إِنَّمَا تُنذِرُ الَّذِينَ يَخْشَوْنَ رَبَّهُم بِالغَيْبِ وَأَقَامُوا الصَّلَاةَ وَمَن تَزَكَّى فَإِنَّمَا يَتَزَكَّى لِنَفْسِهِ وَإِلَى اللَّهِ الْمَصِيرُ
Wala taziru waziratun wizra okhra wa-in tadAAu muthqalatun ila himliha la yuhmal minhu shay-on walaw kana tha qurba innama tunthiru allatheena yakhshawna rabbahum bialghaybi waaqamoo alssalata waman tazakka fa-innama yatazakka linafsihi wa-ila Allahi almaseeru
YUSUFALI: Nor can a bearer of burdens bear another’s burdens if one heavily laden should call another to (bear) his load. Not the least portion of it can be carried (by the other). Even though he be nearly related. Thou canst but admonish such as fear their Lord unseen and establish regular Prayer. And whoever purifies himself does so for the benefit of his own soul; and the destination (of all) is to Allah.
PICKTHAL: And no burdened soul can bear another’s burden, and if one heavy laden crieth for (help with) his load, naught of it will be lifted even though he (unto whom he crieth) be of kin. Thou warnest only those who fear their Lord in secret, and have established worship. He who groweth (in goodness), groweth only for himself, (he cannot by his merit redeem others). Unto Allah is the journeying.
SHAKIR: And a burdened soul cannot bear the burden of another and if one weighed down by burden should cry for (another to carry) its burden, not aught of it shall be carried, even though he be near of kin. You warn only those who fear their Lord in secret and keep up prayer; and whoever purifies himself, he purifies himself only for (the good of) his own soul; and to Allah is the eventual coming.
KHALIFA: No soul can carry the sins of another soul. If a soul that is loaded with sins implores another to bear part of its load, no other soul can carry any part of it, even if they were related. The only people to heed your warnings are those who reverence their Lord, even when alone in their privacy, and observe the Contact Prayers (Salat). Whoever purifies his soul, does so for his own good. To GOD is the final destiny.

১৮। কোন বোঝা বহনকারী ৩৯০০ অন্যের [ পাপের ] বোঝা বহন করবে না। কোন [ পাপ ] ভারাক্রান্ত ব্যক্তি যদি কাউকে তা বহন করার জন্য আহ্বান করে, তবে উহার সামান্যতম কিছুই বহন করা হবে না [ অন্যের দ্বারা ] যদিও সে তার নিকট আত্মীয় হয় ৩৯০১। তুমি তো শুধু তাদেরকেই সর্তক করতে পার যারা তাদের প্রভুকে না দেখেই ভয় করে ৩৯০২, এবং নিয়মিত নামাজকে প্রতিষ্ঠা করে ৩৯০৩। যে কেউ নিজেকে পরিশুদ্ধ করে , সে তো তা করে নিজের আত্মার কল্যাণের জন্য এবং [ সকলেরই শেষ ] গন্তব্যস্থল হচ্ছে আল্লাহ্‌।

৩৯০০। বহনকারী – এখানে আত্মাকে [Nafs] বোঝানো হয়েছে। দেখুন আয়াত [৬ : ১৬৪ ]।

৩৯০১। পৃথিবীতে আত্মীয় ,বন্ধু বান্ধব, একে অপরের দুঃখ কষ্ট ও বিপদ-আপদে অংশগ্রহণ করে থাকে। যেমন মাতা বা পিতা সন্তানের জন্য অনেক ত্যাগ স্বীকার করে থাকে ,এমন কি মৃত্যুও বরণ করতে পারে এবং এর বিপরীতও ঘটতে পারে। কিন্তু আধ্যাত্মিক জগতে এরূপ আইন প্রযোজ্য হবে না। পরলোকের জীবনের শেষ বিচারের দিনে প্রত্যেকের নিজ নিজ কর্মের দায়িত্ব চুলচেরা ভাবে গ্রহণ করতে হবে। সেখানে পিতা-মাতা , আত্মীয় পরিজন বলে কেউ থাকবে না , যার উপরে নিজস্ব কর্মের দায়িত্ব হস্তান্তরিত করা যাবে। পাপ কর্মও নয় পূণ্য কর্মও নয়। এই হবে পরলোকের জীবনের আইন। দেখুন আয়াত [ ২৯ : ১৩ ] তে উল্লেখ করা হয়েছে, ” উহারা নিজেদের বোঝা বহন করিবে এবং নিজদিগের বোঝার সহিত আরও কিছু বোঝা।” এই “আরও কিছু” হচ্ছে অন্যকে পথভ্রষ্ট করার পাপ। নিজের পথভ্রষ্টতার পাপের সাথে অন্যকে পথভ্রষ্ট করার পাপ যুক্ত হবে। এই দুধরণের পাপেই সে অভিযুক্ত। অর্থাৎ তাঁর নিজস্ব পাপ ও অন্যকে পাপের পথে আহ্বান করার পাপ। এখানে তার কর্মের দায়িত্ব দ্বিগুণ হয়ে যাবে।

৩৯০২। ‘Bil-gaibi’ – অর্থাৎ অদৃশ্য বা না দেখে। বিশ্বাস বা ঈমানের প্রথম শর্তই হচ্ছে না দেখে আল্লাহ্‌র অস্তিত্বে বিশ্বাস স্থাপন করা। যে নিজের আত্মার মাঝে আল্লাহ্‌র উপস্থিতি অনুভব করতে পারে, আল্লাহ্‌ সান্নিধ্যে তাঁর আধ্যাত্মিক জীবন আলোকিত হয়, সেই হচ্ছে প্রকৃত বিশ্বাসী বা ঈমানদার। এ সব লোকের অন্তরে প্রত্যাদেশের জ্ঞান বিভিন্নভাবে প্রবেশ লাভ করে থাকে এবং তা অত্যন্ত মূল্যবান। আল্লাহ্‌ এদের আত্মাকে আলোকিত করেন ঐশি জ্ঞানের দ্বারা।

৩৯০৩। ‘সালাত’ বা প্রার্থনা হচ্ছে জীবনের মলিনতা থেকে আত্মাকে পরিশুদ্ধ করার একটি উপায়। কারণ সালাতের মাধ্যমে আমরা আমাদের আত্মার মাঝে আল্লাহ্‌র সান্নিধ্য ও উপস্থিতি কামনা করে থাকি। আল্লাহ্‌র প্রতি কৃতজ্ঞতা জানানোর এবং আত্মিক পরিশুদ্ধির এও এক ভাষা বৈকি। আমরা পাপের মোচন দ্বারা যে আত্মিক পরিশুদ্ধির আকাঙ্খা করে থাকি তা আমাদের কল্যাণের জন্য আমাদের শান্তির জন্য। এতে আল্লাহ্‌র কোনও লাভ নাই। মনে রাখতে হবে সালাতের দ্বারা আমরা আল্লাহকে কোনও অনুগ্রহ করি না। যেমন অনেকে মানত করে থাকে নির্দ্দিষ্ট সংখ্যক সালাত কায়েম করবে কোনও বিপদ মুক্তির জন্য। আল্লাহ্‌ অভাব মুক্ত। আমাদের প্রার্থনায় তাঁর কোনও লাভ নাই। তবে বিপদে বিপর্যয়ে সালাতের মাধ্যমে তাঁর কাছে বিপদ মুক্তির জন্য প্রার্থনা করা প্রয়োজন। কিন্তু বিপদ মুক্তির পরিবর্তে সালাত কাম্য নয়। প্রথমটির জন্য প্রয়োজন হয় সম্পূর্ণরূপে আল্লাহ্‌র ইচ্ছার কাছে আত্মসমর্পনের মানসিকতা। দ্বিতীয়টির জন্য ব্যবসায়িক মানসিকতা অবশ্য উভয় পক্ষেরই শেষ আশ্রয়স্থল সর্বশক্তিমান আল্লাহ্‌।