আল্লাহই বায়ু প্রেরণ করেন, অতঃপর সে বায়ু মেঘমালা সঞ্চারিত করে। অতঃপর আমি তা মৃত ভূ-খন্ডের দিকে পরিচালিত করি, অতঃপর তদ্বারা সে ভূ-খন্ডকে তার মৃত্যুর পর সঞ্জীবিত করে দেই। এমনিভাবে হবে পুনরুত্থান।
And it is Allâh Who sends the winds, so that they raise up the clouds, and We drive them to a dead land, and revive therewith the earth after its death. As such (will be) the Resurrection!
وَاللَّهُ الَّذِي أَرْسَلَ الرِّيَاحَ فَتُثِيرُ سَحَابًا فَسُقْنَاهُ إِلَى بَلَدٍ مَّيِّتٍ فَأَحْيَيْنَا بِهِ الْأَرْضَ بَعْدَ مَوْتِهَا كَذَلِكَ النُّشُورُ
WaAllahu allathee arsala alrriyaha fatutheeru sahaban fasuqnahu ila baladin mayyitin faahyayna bihi al-arda baAAda mawtiha kathalika alnnushooru
YUSUFALI: It is Allah Who sends forth the Winds, so that they raise up the Clouds, and We drive them to a land that is dead, and revive the earth therewith after its death: even so (will be) the Resurrection!
PICKTHAL: And Allah it is Who sendeth the winds and they raise a cloud; then We lead it unto a dead land and revive therewith the earth after its death. Such is the Resurrection.
SHAKIR: And Allah is He Who sends the winds so they raise a cloud, then We drive it on to a dead country, and therewith We give life to the earth after its death; even so is the quickening.
KHALIFA: GOD is the One who sends the winds to stir up clouds, then we drive them towards barren lands, and revive such lands after they were dead. Thus is the resurrection.
০৯। আল্লাহ্-ই পূর্বাহ্নে বায়ু প্রেরণ করেন মেঘমালাকে উত্থিত করার জন্য ৩৮৮১। আমি তা মৃত ভূখন্ডের দিকে পরিচালিত করি এবং তার দ্বারা ধরিত্রির মৃত্যুর পরে তাকে পুণঃর্জীবিত করি। এরূপই হবে পুণরুত্থান [ মৃত্যুর পর ]।
৩৮৮১। এই আয়াতের মাধ্যমে যে রূপকের অবতারণা করা হয়েছে তার অর্থ দ্বিবিধ।
১) বৃষ্টিহীন, শুষ্ক মরুভূমি সদৃশ্য মাটিতে কোনও জীবনের স্পর্শ থাকে না। তরুলতা, বৃক্ষ জন্মে না ,ফলে তা কীটপতঙ্গ ও পশু পাখী বাসের অযোগ্য। কারণ কোথাও পানির চিহ্ন থাকে না। পানি বিহীন জীবন ধারণ অসম্ভব। বহুদূরে অসীম সমুদ্র থেকে পানি সূর্যের তাপে বাস্পে পরিণত হয়ে মেঘে পরিণত হয়। বাতাস সেই মেঘকে বহন করে নেয় যেখানে বৃষ্টির প্রয়োজন। এখানে বাতাসের কোনও কৃতিত্ব নাই। সবই ঘটে আল্লাহ্র দূরদশির্তা ও বিচক্ষণ পরিকল্পনা অনুযায়ী। মৃত মরুভূমি সদৃশ্য মাটিতে বৃষ্টিপাত ঘটে। সাথে সাথে সেখানে শুরু হয়ে যায় জীবনের চাঞ্চল্য; প্রকৃতি জীবনের স্পর্শে অপরূপ রূপে সজ্জ্বিত হয়ে ওঠে। এই রূপক বর্ণনার সাহায্যে এ কথাই বুঝাতে চাওয়া হয়েছে যে আধ্যাত্মিক জগতে আল্লাহ্র প্রত্যাদেশ বৃষ্টির ন্যায় যা আত্মার পুনঃজাগরণ ঘটায় [Nushur ], আত্মার বিকাশে সহায়ক হয়। যে আত্মা এতদিন আধ্যাত্মিক জগত সম্বন্ধে অজ্ঞ ও নিরুৎসাহিত ছিলো আল্লাহ্র প্রত্যাদেশে সে নূতন শক্তিলাভ করে সঞ্জিবীত হয়।
২) এই রূপক বর্ণনাকে সাধারণভাবে শেষ বিচারের দিনের পুণরুত্থানের বর্ণনা মনে করা যায়। পুরাতন পৃথিবীকে গুটিয়ে নেবার পরে, ধ্বংসপ্রাপ্ত পৃথিবীতে আল্লাহ্র রহমতের বৃষ্টি সঞ্জীবিত হওয়ার ফলে নূতন পৃথিবীর বিকাশ লাভ ঘটবে। [ ১৪ : ৪৮ ]।