সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর, যিনি আসমান ও যমীনের স্রষ্টা এবং ফেরেশতাগণকে করেছেন বার্তাবাহক-তারা দুই দুই, তিন তিন ও চার চার পাখাবিশিষ্ট। তিনি সৃষ্টি মধ্যে যা ইচ্ছা যোগ করেন। নিশ্চয় আল্লাহ সর্ববিষয়ে সক্ষম।
All the praises and thanks be to Allâh, the (only) Originator [or the (only) Creator] of the heavens and the earth, Who made the angels messengers with wings, – two or three or four. He increases in creation what He wills. Verily, Allâh is Able to do all things.
الْحَمْدُ لِلَّهِ فَاطِرِ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ جَاعِلِ الْمَلَائِكَةِ رُسُلًا أُولِي أَجْنِحَةٍ مَّثْنَى وَثُلَاثَ وَرُبَاعَ يَزِيدُ فِي الْخَلْقِ مَا يَشَاء إِنَّ اللَّهَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ
Alhamdu lillahi fatiri alssamawati waal-ardi jaAAili almala-ikati rusulan olee ajnihatin mathna wathulatha warubaAAa yazeedu fee alkhalqi ma yashao inna Allaha AAala kulli shay-in qadeerun
YUSUFALI: Praise be to Allah, Who created (out of nothing) the heavens and the earth, Who made the angels, messengers with wings,- two, or three, or four (pairs): He adds to Creation as He pleases: for Allah has power over all things.
PICKTHAL: Praise be to Allah, the Creator of the heavens and the earth, Who appointeth the angels messengers having wings two, three and four. He multiplieth in creation what He will. Lo! Allah is Able to do all things.
SHAKIR: All praise is due to Allah, the Originator of the heavens and the earth, the Maker of the angels, messengers flying on wings, two, and three, and four; He increases in creation what He pleases; surely Allah has power over all things.
KHALIFA: Praise be to GOD, Initiator of the heavens and the earth, and appointer of the angels to be messengers with wings – two, three, and four (wings). He increases the creation as He wills. GOD is Omnipotent.
০১। সকল প্রশংসা আল্লাহ্র ৩৮৬৯। যিনি আকাশমন্ডলী ও পৃথিবী সৃষ্টি করেছেন [ শূন্য থেকে ] ৩৮৭০। তিনি বাণীবাহক ফেরেশতাদের তৈরী করেছেন , যারা দুই অথবা তিন অথবা চার [ জোড়া ] পক্ষ বিশিষ্ট ৩৮৭১। সৃষ্টিতে তিনি যা খুশী সংযুক্ত করেন ৩৮৭২। নিশ্চয়ই আল্লাহ্ সকল কিছুর উপরে ক্ষমতাবান।
৩৮৬৯। দেখুন টিকা ৩৭৮৫ এবং আয়াত [ ৩৪ : ১ ]। যখন আমরা আল্লাহ্র প্রশংসা করি; তখন আমাদের অন্তরে আল্লাহ্র মহিমা, গৌরব এবং ক্ষমতা সম্বন্ধে উপলব্ধি ঘটে। আমরা অনুভবে সক্ষম হই যে, কিভাবে তাঁর ক্ষমতা সৃষ্টির কল্যাণের জন্য নিবেদিত। এই-ই হচ্ছে সূরার বিষয় বস্তু।
৩৮৭০। এই আয়াতটি বাংলায় অনুবাদ করা হয়েছে “আকাশ মন্ডলী ও পৃথিবীর সৃষ্টিকর্তা ” এবং ইংরেজীতে অনুবাদ করা হয়েছে , “Originator of the heaven and the earth .” “Fatara”এই আরবী শব্দটির অর্থ বিশ্বের আদিযুগীয় সৃষ্টি অবস্থা ; যে সৃষ্টির সাথে ক্রমান্বয়ে বিবর্তনের মাধ্যমে নূতন জিনিষ সৃষ্টি হচ্ছে। আল্লাহ্ বিশ্বের সৃষ্টিকে প্রথম থেকে ক্রমান্বয়ে পরিবর্তন , পরিবর্ধন ও নূতন নূতন ভাবে সজ্জিত করে চলেছেন সেই আদি যুগ থেকে ; ” সৃষ্টিতে তিনি যা খুশি সংযুক্ত করেন।” এই সংযুক্তি শুধুমাত্র আয়তন বা সংখ্যা তত্বের ভিত্তিতে চিন্তা করলে ভুল করা হবে, এই সংযুক্তি গুণগত মান ,কার্যে , সম্পর্কে এবং বিভিন্ন পরিবর্তনে ঘটে থাকে। সৃষ্টি তত্ব সম্বন্ধে মানুষের জ্ঞান যত প্রসারিত হচ্ছে , তত মানুষ অনুধাবন করছে বিবর্তনের ধারায় সৃষ্টি প্রক্রিয়া কত জটিল। সৃষ্টি প্রক্রিয়া সর্ম্পকে মানুষ যত জ্ঞানই আহরণ করুক না কেন জীবনের উন্মেষ এবং এর রহস্য আজও তার অজানা রয়ে গেছে। জীবনের উন্মেষ এবং আধ্যাত্মিক জগত মানুষের সকল জ্ঞান ও বিজ্ঞানের উর্দ্ধে রয়ে গেছে আজও। বিজ্ঞানের জ্ঞানে সমৃদ্ধ হওয়ার ফলে মানুষ শুধু মাত্র কার্য ও কারণের পূর্ববর্তী ও পরবর্তী সম্পর্ক আবিষ্কারে আগ্রহী হয়ে পড়েছে। এর বাইরে যে অনুভূতির জগত তা অনুভবে সে হয় ব্যর্থ। সে ভুলে যায় ও উপলব্ধি করতে অক্ষম হয় যে, সকল কিছু সৃষ্টির মূলে রয়েছে আল্লাহ্র সৃষ্টি কৌশল ; যে কৌশল অত্যন্ত জটিল এবং সুক্ষ কৌশলে পূর্ণ। বিজ্ঞানের জ্ঞানের মাধ্যমে আল্লাহ্র জ্ঞান ও প্রজ্ঞাকে অনুধাবনের চেষ্টাই হচ্ছে প্রকৃত এবাদত।
৩৮৭১। ফেরেশতারা আল্লাহ্র ইচ্ছাকে বা প্রেরিত বার্তা বহন করার দূত বিশেষ, যাদের উপরে এই বিশেষ দায়িত্ব অর্পন করা হয়। আল্লাহ্র কার্যকরী আদেশ সম্পাদন করার বর্ণনা আছে [ ৭৯ : ১-৫ ] আয়াতে এবং প্রত্যাদেশ বহন করার বর্ণনা আছে [২৬ : ১৯৩ ] আয়াতে।
৩৮৭২। দেখুন টিকা ৩৮৭০; যেখানে বিবর্তনের ধারায় সৃষ্টি প্রক্রিয়ায় জটিলতার ধারা বর্ণনা করা হয়েছে। আল্লাহ্র সৃষ্টি প্রক্রিয়া কোন নির্দ্দিষ্ট সময়ে এসে থেমে যায় নাই। এর ধারাবাহিকতা সেই প্রাচীন যুগ থেকে চলছে, ভবিষ্যতেও চলবে। কারণ “তিনি সর্ব বিষয়ে সর্বশক্তিমান।” তার করুণা ও দয়া সর্ব সৃষ্টির উপরে অবিরল ধারাতে বর্ষিত হয়।