তারা বলবে, আমরা সত্যে বিশ্বাস স্থাপন করলাম। কিন্তু তারা এতদূর থেকে তার নাগাল পাবে কেমন করে?
And they will say (in the Hereafter): ”We do believe (now);” but how could they receive (Faith and the acceptance of their repentance by Allâh) from a place so far off (i.e. to return to the worldly life again).
وَقَالُوا آمَنَّا بِهِ وَأَنَّى لَهُمُ التَّنَاوُشُ مِن مَكَانٍ بَعِيدٍ
Waqaloo amanna bihi waanna lahumu alttanawushu min makanin baAAeedin
YUSUFALI: And they will say, “We do believe (now) in the (Truth)”; but how could they receive (Faith) from a position (so far off,-
PICKTHAL: And say: We (now) believe therein. But how can they reach (faith) from afar off,
SHAKIR: And they shall say: We believe in it. And how shall the attaining (of faith) be possible to them from a distant place?
KHALIFA: They will then say, “We now believe in it,” but it will be far too late.
৫২। এবং তারা বলবে, ” আমরা [এখন সত্যকে ] বিশ্বাস করলাম।” কিন্তু কি ভাবে তারা এত দূরবর্তী স্থান থেকে [সত্যকে ] পেতে পারে , ৩৮৬৪ –
৩৮৬৪। এই সেই অবস্থা যখন মানুষের নিজস্ব কিছু করার আর কোনও ক্ষমতা দান করা হবে না। মিথ্যাশ্রয়ী এসব লোকেরা পরলোকে সত্যের জ্যোতিতে আতঙ্কিত হয়ে সত্যকে গ্রহণ করার জন্য প্রতিজ্ঞা করবে। কিন্তু তখন আর সে অনুতাপ ও প্রতিজ্ঞার কোনও মূল্য থাকবে না। বিশ্বাস হচ্ছে পরলোক সম্বন্ধে বিশ্বাস যা ইহকালে দেখা সম্ভব নয়; তা না দেখেও বিশ্বাস করা ও আত্মার মাঝে তার অস্তিত্ব ও উপস্থিতি অনুভব করা। কিন্তু পরলোকে অদৃশ্য বা কোনও আড়াল থাকবে না। সব কিছুই প্রকাশ্য ও উম্মুক্ত হবে। সুতারাং সেখানে না দেখে বিশ্বাসের কোনও স্থান নাই। ফলে বিশ্বাস তাদের থেকে বহুদূরে চলে যাবে। পৃথিবীতে যখন সত্য প্রতিষ্ঠিত হওয়ার জন্য সংগ্রাম করে , সাহায্য কামনা করে ,আশ্রয় প্রার্থনা করে, মিথ্যাশ্রয়ীরা নিষ্ঠুর ভাবে, উদ্ধত অহংকারে সত্যকে অপমানিত ও লাঞ্ছিত করে। সুতারাং মৃত্যুর পরেও তারা তাদের এই মানসিক অবস্থান থেকে সরে যেতে পারবে না। সত্য তাদের নাগালের বহু দূরেই থেকে যায়। ঈমানের স্থান বহুদূরে চলে গেছে। কেননা পার্থিব জীবনের ঈমান ও কর্মজগতের ফলাফলই পরলোকে সকলে বহন করে নিয়ে যাবে। পরকাল কোনও কর্মজগত নয়। সেখানের কোন কিছু কর্ম হিসেবে ধরা যাবে না।