আপনি তাদের মধ্যে যাকে ইচ্ছা দূরে রাখতে পারেন এবং যাকে ইচ্ছা কাছে রাখতে পারেন। আপনি যাকে দূরে রেখেছেন, তাকে কামনা করলে তাতে আপনার কোন দোষ নেই। এতে অধিক সম্ভাবনা আছে যে, তাদের চক্ষু শীতল থাকবে; তারা দুঃখ পাবে না এবং আপনি যা দেন, তাতে তারা সকলেই সন্তুষ্ট থাকবে। তোমাদের অন্তরে যা আছে, আল্লাহ জানেন। আল্লাহ সর্বজ্ঞ, সহনশীল।
You (O Muhammad SAW) can postpone (the turn of) whom you will of them (your wives), and you may receive whom you will. And whomsoever you desire of those whom you have set aside (her turn temporarily), it is no sin on you (to receive her again), that is better; that they may be comforted and not grieved, and may all be pleased with what you give them. Allâh knows what is in your hearts. And Allâh is Ever AllKnowing, Most Forbearing.
تُرْجِي مَن تَشَاء مِنْهُنَّ وَتُؤْوِي إِلَيْكَ مَن تَشَاء وَمَنِ ابْتَغَيْتَ مِمَّنْ عَزَلْتَ فَلَا جُنَاحَ عَلَيْكَ ذَلِكَ أَدْنَى أَن تَقَرَّ أَعْيُنُهُنَّ وَلَا يَحْزَنَّ وَيَرْضَيْنَ بِمَا آتَيْتَهُنَّ كُلُّهُنَّ وَاللَّهُ يَعْلَمُ مَا فِي قُلُوبِكُمْ وَكَانَ اللَّهُ عَلِيمًا حَلِيمًا
Turjee man tashao minhunna watu/wee ilayka man tashao wamani ibtaghayta mimman AAazalta fala junaha AAalayka thalika adna an taqarra aAAyunuhunna wala yahzanna wayardayna bima ataytahunna kulluhunna waAllahu yaAAlamu ma fee quloobikum wakana Allahu AAaleeman haleeman
YUSUFALI: Thou mayest defer (the turn of) any of them that thou pleasest, and thou mayest receive any thou pleasest: and there is no blame on thee if thou invite one whose (turn) thou hadst set aside. This were nigher to the cooling of their eyes, the prevention of their grief, and their satisfaction – that of all of them – with that which thou hast to give them: and Allah knows (all) that is in your hearts: and Allah is All-Knowing, Most Forbearing.
PICKTHAL: Thou canst defer whom thou wilt of them and receive unto thee whom thou wilt, and whomsoever thou desirest of those whom thou hast set aside (temporarily), it is no sin for thee (to receive her again); that is better; that they may be comforted and not grieve, and may all be pleased with what thou givest them. Allah knoweth what is in your hearts (O men), and Allah is ever Forgiving, Clement.
SHAKIR: You may put off whom you please of them, and you may take to you whom you please, and whom you desire of those whom you had separated provisionally; no blame attaches to you; this is most proper, so that their eyes may be cool and they may not grieve, and that they should be pleased, all of them with what you give them, and Allah knows what is in your hearts; and Allah is Knowing, Forbearing.
KHALIFA: You may gently shun any one of them, and you may bring closer to you any one of them. If you reconcile with any one you had estranged, you commit no error. In this way, they will be pleased, will have no grief, and will be content with what you equitably offer to all of them. GOD knows what is in your hearts. GOD is Omniscient, Clement.
৫১। তোমার ইচ্ছানুযায়ী স্ত্রীদের মধ্যে যার [পালা ] ইচ্ছা তুমি বিলম্ব করতে পার ৩৭৪৯। এবং যাকে খুশী তুমি গ্রহণ করতে পার। আর যার পালা বিলম্বিত রয়েছে যদি তুমি তাকে কামনা কর ,তাতে তোমার কোন অপরাধ নাই ৩৭৫০। এই বিধান এ জন্য যে, এতে তাদের সন্তুষ্টি সহজতর হবে ৩৭৫১। এবং তারা দুঃখ পাবে না , আর তাদের তুমি যা দিবে তাতে তারা প্রত্যেকেই পরিতৃপ্ত থাকবে ৩৭৫২। তোমাদের হৃদয়ে যা আছে আল্লাহ্ [ সব ] জানেন। এবং আল্লাহ্ সর্বজ্ঞ , ধৈর্য্যশীল ৩৭৫৩।
৩৭৪৯। আয়াতে [ ৪ : ৩ ] বলা হয়েছে যে “If ye fear that ye shall not be able to deal justly with them”, তাহলে একের অধিক স্ত্রী গ্রহণ করা বৈধ নয়। মুসলমানদের জন্য পত্নীদের মধ্যে একজন অধিক প্রিয় পত্নী এরূপ কেহ থাকতে পারে না। সাধারণ উম্মতের জন্য একাধিক পত্নী থাকলে সকলের জন্য সমতা বিধান জরুরী , বৈষম্য প্রদর্শন নিষিদ্ধ। এই সমতা শুধু মাত্র জাগতিক বিষয়বস্তুই নয়, স্ত্রীর সাথে সমান সংখ্যক রাত্রি যাপন করতে হবে।
বিশেষ অবস্থার কারণে রসুলুল্লাহ্র [ সা ] একের অধিক পত্নী বিদ্যমান ছিলো। তিনি সর্বদা সকল পত্নীর জন্য সকল ব্যাপারে সমতার আইন মেনে চলতেন। কিন্তু নবুয়ত পাওয়ার ফলে রসুলের [ সা ] ব্যক্তিগত ও পারিবারিক জীবন অপেক্ষা নবুয়তের কার্য অধিক গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়ানোর ফলে, সব সময়ে রাত্রি যাপনের সমতা রাখা সম্ভব ছিলো না ,দেখুন টিকা ৩৭০৬ , আয়াত [ ৩০: ২৮ ]। এই আয়াতে রসুলকে [ সা ] রাত্রিযাপনের সমতা থেকে অব্যহতি দান করা হয়, কিন্তু রসুলুল্লাহ্র [ সা ] এই ব্যতিক্রম ও অনুমতি সত্বেও কার্যতঃ সর্বদাই সমতা বজায় রেখেছেন।
৩৭৫০। রসুলকে [ সা ] পত্নীগণের প্রতি সমতা বিধানের আদেশ থেকে অব্যহতি দেয়া হয়েছে কারণ এতে সকল পত্নীর মন সন্তুষ্ট থাকবে এবং তারা যা পাবেন তা নিয়েই সন্তুষ্ট থাকবেন। প্রকৃতপক্ষে অধিকারই অসন্তুষ্টির আসল কারণ হয়ে থাকে। অধিকারভূক্ত বস্তু না পেলে আত্মার মাঝে অশান্তির সৃষ্টি হয়। কিন্তু যে বস্তুতে অধিকার নাই তা যদি কাঙ্খিত হয়,তবে তা পেলে আনন্দ হয়। রসুলকে [ সা ] সমতার বিধান থেকে মুক্ত করার ফলে, যে পত্নীকে দূরে রাখা হয়েছিলো তাঁকে কামনা করলে সে আনন্দিত হবে, তাঁর চিত্ত প্রসন্ন হবে। এই বিধান এই জন্য যে, যাদের দূরে রাখা হয়েছিলো তাদের তুষ্টি সহজতর হবে।
৩৭৫১। ” এতে তাদের সন্তুষ্টি সহজতর হবে ” – সাধারণ মানুষের মনঃস্ততঃকে এখানে বিশ্লেষণ করা হয়েছে। যে জিনিষে মানুষের অধিকার নাই , তা হঠাৎ করে করতলগত হলে , মানুষ আনন্দ ও সুখে আত্মহারা হয়ে পড়ে। অধিকারভুক্ত জিনিষ পেলে সে সুখ ও আনন্দ পাওয়া যায় না। রসুলের [ সা ] জীবন ও তাঁর পত্নীদের জীবনকে শান্তিময় করার জন্যই আল্লাহ্র এ বিধান।
৩৭৫২। রসুলের [ সা ] এমন কোনও জাগতিক অর্থ সম্পদ ছিলো না যা তিনি তাঁর পত্নীদের দিতে পারতেন। [ পত্নীদের জন্য দেখুন আয়াত ৩০ : ২৮ ] কিন্তু তার চরিত্রের গুণাবলী তাঁকে করেছিলো সমৃদ্ধ , পরিবারের তথা বিশ্বের সর্বশ্রেষ্ঠ মানবরূপে, দয়া-মায়া, ন্যায় এবং সত্যের বিকাশ তাঁর চরিত্রকে করেছিলো মহিমান্বিত – যার আলোয় সহধর্মীনিরা আপ্লুত থাকতেন।
৩৭৫৩। সাধারণ মানুষ যত মহৎ বা উন্নত হোক না কেন, তার অন্তরের উদ্দেশ্য বা চিন্তা সর্বদা স্বচ্ছ ও মহৎ হয় না। মনের গোপন কন্দরে কত ভাব , চিন্তা ,আসা যাওয়া করে। তার কিছু ভালো কিছু মন্দ, কিছু কল্পনা , কিছু বাস্তব। সাধারণ লোকে তা অনুধাবন না করতে পারলেও বিশ্বস্রষ্টার বিশাল কম্পিউটারে তা তাৎক্ষণিক ধরা পড়ে যায় এবং সংরক্ষিত হয়ে যায়। কোনও মানুষই ,পুরুষ বা নারী কেহই কুচিন্তা থেকে রেহাই পায় না। বিশ্বস্রষ্টা মানুষের এই দুর্বলতা জানেন। তাই তিনি তা ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখে থাকেন। তাই তো তাঁর উপাধি “Halim’ বা ক্ষমাশীল। যারা আল্লাহ্র প্রতি অনুরক্ত তাদের জন্য এটা একটা সংকেতপূর্ণ র্বাতা যে, যিনি আমাদের এত দোষ ত্রুটি জানা সত্বেও ক্ষমা করতে পারেন, আমরা তাঁর পূঁজারী ও অনুসারী হয়ে আমাদের প্রতিবেশী বা অন্যান্য লোকের দোষত্রুটি ক্ষমা করতে পারবো না কেন ?