পক্ষান্তরে যদি তোমরা আল্লাহ, তাঁর রসূল ও পরকাল কামনা কর, তবে তোমাদের সৎকর্মপরায়ণদের জন্য আল্লাহ মহা পুরস্কার প্রস্তুত করে রেখেছেন।
But if you desire Allâh and His Messenger, and the home of the Hereafter, then verily, Allâh has prepared for AlMuhsinât (gooddoers) amongst you an enormous reward.
وَإِن كُنتُنَّ تُرِدْنَ اللَّهَ وَرَسُولَهُ وَالدَّارَ الْآخِرَةَ فَإِنَّ اللَّهَ أَعَدَّ لِلْمُحْسِنَاتِ مِنكُنَّ أَجْرًا عَظِيمًا
Wa-in kuntunna turidna Allaha warasoolahu waalddara al-akhirata fa-inna Allaha aAAadda lilmuhsinati minkunna ajran AAatheeman
YUSUFALI: But if ye seek Allah and His Messenger, and the Home of the Hereafter, verily Allah has prepared for the well-doers amongst you a great reward.
PICKTHAL: But if ye desire Allah and His messenger and the abode of the Hereafter, then lo! Allah hath prepared for the good among you an immense reward.
SHAKIR: And if you desire Allah and His Messenger and the latter abode, then surely Allah has prepared for the doers of good among you a mighty reward.
KHALIFA: “But if you are seeking GOD and His messenger, and the abode of the Hereafter, then GOD has prepared for the righteous among you a great recompense.”
২৯। কিন্তু যদি তোমরা আল্লাহ্র, তাঁর রাসুল এবং পরকালের বাসস্থান অনুসন্ধান কর, তবে তোমাদের মধ্যে যারা সৎকর্মশীল, আল্লাহ্ তাদের জন্য অবশ্যই উত্তম পুরষ্কারের বন্দোবস্ত করেছেন ৩৭০৭।
৩৭০৭। রসুলের [সা ] স্ত্রীগণ সকলেই পূণ্যবতী ছিলেন। কিন্তু সমাজে তাদের বিশেষ সম্মানীয় স্থানের জন্য তাদের উপরে মুসলিম উম্মতের মাতা হিসেবে বিশেষ দায়িত্ব অর্পন করা হয় , এবং তা সম্পাদনের উপরে বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করা হয়। যারা তা করবেন তাঁদের জন্য আল্লাহ্ মহা প্রতিদান প্রস্তুত রেখেছেন। কর্ম যত মহৎ হবে আত্মিক তৃপ্তি হবে তত তীব্র এবং স্থায়ী। যদিও তাদের প্রতিদিনের জীবনের জাগতিক আরাম আয়েশের কোনও স্থান বা ব্যবস্থা ছিলো না , কিন্তু আল্লাহ্র তাদের জন্য ইহকালে আধ্যাত্মিক তৃপ্তি এবং পরলোকে সুউচ্চ সম্মানের প্রতিশ্রুতি দান করেছেন।
এ সব আয়াত থেকে এ কথাই প্রতীয়মান হয় যে, শুধুমাত্র রসুলের [সা ] স্ত্রী হওয়ার সৌভাগ্যের গুণেই তারা আল্লাহ্র পুরষ্কারের যোগ্য হবেন না। বা শুধু মাত্র স্বামী এবং সংসারের সেবাতে নিজেকে নিয়োজিত করেই আল্লাহ্র পুরষ্কারের যোগ্যতা অর্জন করবেন না। তাঁদের হতে হবে সামাজিক ক্রিয়া কর্মে সক্রিয় এবং সৎকর্মশীল। তবেই তারা আল্লাহ্র পুরষ্কারের যোগ্যতা অর্জন করবেন। এখানে লক্ষণীয় যে, রসুলের [ সা ] স্ত্রীগণের দায়িত্ব কর্তব্য নির্দ্দেশের মাধ্যমে বিশ্ব মুসলিম নারীর দায়িত্ব কর্তব্যের প্রতি ইংগিত করা হয়েছে। আজ মুসলিম নারীরা যে শুধুমাত্র স্বামী ও সংসারের মাঝে নিজেকে আবদ্ধ করে রেখেছে – তা অবশ্যই আল্লাহ্র বিধান নয়। রসুলের [সা ] স্ত্রীগণের সামাজিক ভূমিকা ও এই আয়াতের মাধ্যমে আল্লাহ্ বহিঃবিশ্বে মুসলিম নারীর ভূমিকার প্রতি ইঙ্গিত দান করেছেন।