তারা মনে করে শক্রবাহিনী চলে যায়নি। যদি শক্রবাহিনী আবার এসে পড়ে, তবে তারা কামনা করবে যে, যদি তারা গ্রামবাসীদের মধ্য থেকে তোমাদের সংবাদাদি জেনে নিত, তবেই ভাল হত। তারা তোমাদের মধ্যে অবস্থান করলেও যুদ্ধ সামান্যই করত।
They think that AlAhzâb (the Confederates) have not yet withdrawn, and if AlAhzâb (the Confederates) should come (again), they would wish they were in the deserts (wandering) among the bedouins, seeking news about you (from a far place); and if they (happen) to be among you, they would not fight but little.
يَحْسَبُونَ الْأَحْزَابَ لَمْ يَذْهَبُوا وَإِن يَأْتِ الْأَحْزَابُ يَوَدُّوا لَوْ أَنَّهُم بَادُونَ فِي الْأَعْرَابِ يَسْأَلُونَ عَنْ أَنبَائِكُمْ وَلَوْ كَانُوا فِيكُم مَّا قَاتَلُوا إِلَّا قَلِيلًا
Yahsaboona al-ahzaba lam yathhaboo wa-in ya/ti al-ahzabu yawaddoo law annahum badoona fee al-aAArabi yas-aloona AAan anba-ikum walaw kanoo feekum ma qataloo illa qaleelan
YUSUFALI: They think that the Confederates have not withdrawn; and if the Confederates should come (again), they would wish they were in the deserts (wandering) among the Bedouins, and seeking news about you (from a safe distance); and if they were in your midst, they would fight but little.
PICKTHAL: They hold that the clans have not retired (for good); and if the clans should advance (again), they would fain be in the desert with the wandering Arabs, asking for the news of you; and if they were among you, they would not give battle, save a little.
SHAKIR: They think the allies are not gone, and if the allies should come (again) they would fain be in the deserts with the desert Arabs asking for news about you, and if they were among you they would not fight save a little.
KHALIFA: They thought that the parties might come back. In that case, they would wish that they were lost in the desert, asking about your news from afar. Had the parties attacked you while they were with you, they would rarely support you.
২০। তারা মনে করে যে, [কাফেরদের ] সম্মিলিত বাহিনী প্রত্যাহার করা হয় নাই। এবং যদি সম্মিলিত বাহিনী [পুণরায়] এসে পড়তো তখন ,তারা ইচ্ছা করবে যে, তারা মরুভূমির মাঝে বেদুঈনদের সাথে [ঘুরে ] বেড়াবে এবং [ নিরাপদ দূরত্ব থেকে ] তোমাদের সংবাদ নেবে ৩৬৯৩। এবং যদি তারা তোমাদের মধ্যেও থাকতো, তবে তারা খুব অল্পই যুদ্ধ করতো।
৩৬৯৩। মোনাফেকদের চরিত্রের এবং মানসিকতার বর্ণনা শুরু হয়েছে ১২নং আয়াত থেকে। আসুন আমরা তা বিশ্লেষণ করি।
১) মোনাফেকরা হয় সুবিধাবাদী , সুতারাং যুদ্ধের রণদামামা তাদের ভীত ও সন্ত্রস্ত করে তোলে , কারণ তাদের মধ্যে পরাজয়ের মানসিকতা কাজ করছিলো [ ১২ নং আয়াত ]
২) তারা হয় অবিশ্বস্ত ও আনুগত্যহীন। তারা তাদের আনুগত্যহীনতায় সন্তুষ্ট এবং তারা তা অন্যের অন্তরে সংক্রামিত করতে প্রয়াস পায়। [ ১৩ নং আয়াত ]।
৩) যদি শত্রুরা নগরীতে প্রবেশ লাভ করতো তবে মোনাফেকরা সর্বপ্রথম বিশ্বাসঘাতকতা করে শত্রুদের সাথে যোগদান করতো। [ ১৪ নং আয়াত ]।
৪) তারা বিশ্বস্ততার যে অংগীকার পূর্বে করেছিলো তা ভুলে যায়। তাদের নিকট অংগীকার বা বিশ্বস্ততার কোন মূল্য নাই। [ ১৫ নং আয়াত ]।
৫) তাদের হিসাব নিকাশ সবই বিষয় বুদ্ধি সম্পন্ন অত্যন্ত তুচ্ছ ও নগন্য। তাদের এই তুচ্ছ হিসেব নিকেশে তারা অনুধাবনে অসমর্থ যে যুদ্ধে পলায়ন ও কাপুরুষতা প্রদর্শন কখনও ভালো ফল বয়ে আনতে পারে না। [১৬ – ১৭ ] নং আয়াত ]।
৬। মোনাফেকরা প্রকৃত সংগ্রামে অংশ গ্রহণে বিরত থাকে ; বরং তারা সহজ ও মধুর কথা ও উপদেশ বিতরণে আগ্রহী এবং বিপদ বা যুদ্ধ শেষে সাফল্য ও যুদ্ধ জয়ের লভ্যাংশ লাভের পুরোধায় অংশ গ্রহণে আগ্রহী। [ ১৮- ১৯ নং আয়াত ]।
৭। এরা এত ভীতু ও কাপুরুষ হয় যে, যুদ্ধ শেষে শত্রুরা চলে যাওয়ার পরও তারা শত্রুদের প্রত্যাবর্তনের ভয়ে প্রকম্পিত হতে থাকে এবং তখন তারা কি করবে সেই কল্পনায় আত্মনিয়োগ করে। তাদের চিন্তায় স্থান পায় যে, তারা মরুভূমিতে বেদুঈনদের সাথে অবস্থান করবে বা নিরাপদ দূরত্বে থেকে মদিনাবাসীদের বিরুদ্ধে গুপ্তচর বৃত্তি অবম্বলন করবে। যদি মদিনা শত্রুদের অধিকারে চলে যায়, তবে তারা মদিনাবসীদের মাঝে থাকলেও খুব সামান্যই যুদ্ধ করতো। [ ২০ নং আয়াত ]।
[ ১২ – ২০ ] নং আয়াত সমূহে মুসলিমদের বিরুদ্ধে মুনাফিকদের ষড়যন্ত্র ও অশুভ তৎপরতার বর্ণনা দেয়া হয়েছে। তবে এ বর্ণনার ভাষা সার্বজনীন যুগকাল অতিক্রান্ত। মোনাফেকদের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য সে যুগের যা ছিলো , আজও তা সমভাবে বিদ্যমান। মদিনাবাসীদের মধ্যে এরূপ মোনাফেকদের অবস্থান সত্বেও রসুল [সা ] ও তাঁর অনুসারীরা অসম যুদ্ধে জয়লাভ করেন এটা একটা অলৌকিক কর্মকান্ড বটে। আল্লাহ্ যাকে সাহায্য করেন তার জয় অবধারিত। রসুলের জীবনীর মাধ্যমে আল্লাহ্ আমাদের এই শিক্ষা দিয়েছেন।