অতঃপর তিনি তাকে সুষম করেন, তাতে রূহ সঞ্চার করেন এবং তোমাদেরকে দেন কর্ণ, চক্ষু ও অন্তঃকরণ। তোমরা সামান্যই কৃতজ্ঞতা প্রকাশ কর।
Then He fashioned him in due proportion, and breathed into him the soul (created by Allâh for that person), and He gave you hearing (ears), sight (eyes) and hearts. Little is the thanks you give!
ثُمَّ سَوَّاهُ وَنَفَخَ فِيهِ مِن رُّوحِهِ وَجَعَلَ لَكُمُ السَّمْعَ وَالْأَبْصَارَ وَالْأَفْئِدَةَ قَلِيلًا مَّا تَشْكُرُونَ
Thumma sawwahu wanafakha feehi min roohihi wajaAAala lakumu alssamAAa waal-absara waal-af-idata qaleelan ma tashkuroona
YUSUFALI: But He fashioned him in due proportion, and breathed into him something of His spirit. And He gave you (the faculties of) hearing and sight and feeling (and understanding): little thanks do ye give!
PICKTHAL: Then He fashioned him and breathed into him of His Spirit; and appointed for you hearing and sight and hearts. Small thanks give ye!
SHAKIR: Then He made him complete and breathed into him of His spirit, and made for you the ears and the eyes and the hearts; little is it that you give thanks.
KHALIFA: He shaped him and blew into him from His spirit. And He gave you the hearing, the eyesight, and the brains; rarely are you thankful.
০৯। কিন্তু তিনি উহাকে সঠিক অনুপাতে গঠন করেছেন এবং উহাতে ফুঁকে দিয়েছেন তাঁর রূহু থেকে ৩৬৩৯। এবং তিনি তোমাদের দিয়েছেন শোনার, দেখার ও অনুভবের [ বুঝতে পারার ] ক্ষমতা ৩৬৪০। তোমরা অতি সামান্যই কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে থাক।
৩৬৩৯। এর পরে মানুষের সৃষ্টির তৃতীয় ধাপকে বর্ণনা করা হয়েছে। আল্লাহ্ মানুষের অবয়বকে সুঠাম, সৌন্দর্যমন্ডিত এবং যথাযথভাবে সৃষ্টি করেছেন। দেখুন আয়াত [ ১৫ : ২৯ ]। সৃষ্টির প্রাথমিক ক্রিয়ায় শুক্র ডিম্ব কোষকে নিষিক্ত করার ফলে প্রাণের অস্তিত্বের সৃষ্টি হয়। পরবর্তীতে এই নিষিক্ত ডিম্ব ধীরে ধীরে মনুষ্য সৃষ্টির পরিণতির দিকে অগ্রসর হয়। বিভিন্ন অঙ্গপ্রত্যঙ্গের সৃষ্টি হয় , জীবনের বিকাশ আরম্ভ হয়। এই প্রক্রিয়ায় অভিজোযিত বস্তু শুধু যে প্রয়োজন মেটায় তাই-ই নয়, তা সৌন্দর্য বৃদ্ধিরও সহায়ক। এ পর্যন্ত মানব সৃষ্টির বর্ণনায় জান্তব বা পশুপ্রকৃতির দিকটি বর্ণনা করা হয়েছে। এ বারে বর্ণনা করা হয়েছে মানুষের বিশেষ বৈশিষ্ট্যের কথা যার কারণে মানব দেহে আল্লাহ্র “রূহ কে ফুঁকিয়া ” দেয়া হয়। এখানেই মানুষের শ্রেষ্ঠত্ব। মানুষ সাধারণ প্রাণীকূল থেকে আলাদা।
৩৬৪০। আল্লাহ্র বিশেষ অনুগ্রহের কারণে মানুষ বিশেষ মানসিক দক্ষতা প্রাপ্ত হয়। ইউসুফ আলী সাহেবের মতে প্রাণীদেহের পাচঁটি ইন্দ্রিয় লাভ হচ্ছে মানব গঠনের তৃতীয় ধাপ – যা মানুষ ও প্রাণী উভয়ের বেলাতে প্রযোজ্য। কিন্তু চতুর্থ ধাপে মানুষকে প্রাণীদের থেকে উর্দ্ধে উত্তোলন করা হয়েছে। সে কারণে তৃতীয় ধাপে সম্বোধনের ভাষা হচ্ছে ‘উহাকে’ যা তুচ্ছার্থে ব্যবহার করা হয়। এবং চতুর্থ ধাপে সম্বোধনের ভাষা হচ্ছে দ্বিতীয় পুরুষ “তোমাদিগকে” – এমন কি তৃতীয় পুরুষ ‘তাহাকে’ শব্দও ব্যবহার করা হয় নাই। কারণ আল্লাহ্র রূহ গ্রহণের ফলে তার মাঝে আধ্যাত্মিক ক্ষমতার জন্মলাভ ঘটেছে। সে আল্লাহ্র বাণীর মর্মার্থ গ্রহণে সক্ষম। অর্থাৎ সে প্রকৃত সত্যের বাণী শুনতে পারে, তার শোনার ক্ষমতা থাকে। তার দেখার ক্ষমতা জন্মে , অর্থাৎ প্রকৃত সত্যকে সে দেখতে পারে, তার সে অন্তর্দৃষ্টি থাকে। তার মাঝে ভালোবাসার ক্ষমতা, সত্য ও সুন্দর কে অনুভব করার ক্ষমতা জন্মে। যে মানুষকে স্রষ্টা আকারে চেহারায়, অবয়বে, মানসিক দক্ষতায় , সৌন্দর্য্যে সুষম ও শ্রেষ্ঠ রূপে গড়েছেন , মানুষ কি তার জন্য স্রষ্টাকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে ?