আমি লোকমানকে প্রজ্ঞা দান করেছি এই মর্মে যে, আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞ হও। যে কৃতজ্ঞ হয়, সে তো কেবল নিজ কল্যানের জন্যই কৃতজ্ঞ হয়। আর যে অকৃতজ্ঞ হয়, আল্লাহ অভাবমুক্ত, প্রশংসিত।
And indeed We bestowed upon Luqmân AlHikmah (wisdom and religious understanding, etc.) saying: ”Give thanks to Allâh,” and whoever gives thanks, he gives thanks for (the good of) his ownself. And whoever is unthankful, then verily, Allâh is AllRich (Free of all wants), Worthy of all praise.
وَلَقَدْ آتَيْنَا لُقْمَانَ الْحِكْمَةَ أَنِ اشْكُرْ لِلَّهِ وَمَن يَشْكُرْ فَإِنَّمَا يَشْكُرُ لِنَفْسِهِ وَمَن كَفَرَ فَإِنَّ اللَّهَ غَنِيٌّ حَمِيدٌ
Walaqad atayna luqmana alhikmata ani oshkur lillahi waman yashkur fa-innama yashkuru linafsihi waman kafara fa-inna Allaha ghaniyyun hameedun
YUSUFALI: we bestowed (in the past) Wisdom on Luqman: “Show (thy) gratitude to Allah.” Any who is (so) grateful does so to the profit of his own soul: but if any is ungrateful, verily Allah is free of all wants, Worthy of all praise.
PICKTHAL: And verily We gave Luqman wisdom, saying: Give thanks unto Allah; and whosoever giveth thanks, he giveth thanks for (the good of) his soul. And whosoever refuseth – Lo! Allah is Absolute, Owner of Praise.
SHAKIR: And certainly We gave wisdom to Luqman, saying: Be grateful to Allah. And whoever is grateful, he is on!y grateful for his own soul; and whoever is ungrateful, then surely Allah is Self-sufficient, Praised.
KHALIFA: We have endowed Luqmaan with wisdom: “You shall be appreciative of GOD.” Whoever is appreciative is appreciative for his own good. As for those who turn unappreciative, GOD is in no need, Praiseworthy.
রুকু – ২
১২। [ অতীতে ] আমি লুকমানকে বিজ্ঞান [ বিশেষ জ্ঞান ] দান করেছিলাম ৩৫৯৩। [ বলেছিলাম ] : ” আল্লাহ্র প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ কর।” যারা [ এরূপে ] কৃতজ্ঞ হয়; সে তো তা করে নিজেরই আত্মার কল্যাণের জন্য। কিন্তু কেউ যদি অকৃতজ্ঞ হয়; আল্লাহ্ অভাবমুক্ত ; সকল প্রশংসার যোগ্য ৩৫৯৪।
৩৫৯৩। জ্ঞানী লুকমান , যার নাম অনুযায়ী সূরার নামকরণ হয়েছে , তাঁর কাহিনী আরবদের পুরুষানুক্রমিকভাবে হস্তান্তরিত পৌরাণিক কাহিনী। তাঁর জীবনী সম্বন্ধে খুব কমই জানা যায়। বলা হয় তিনি দীর্ঘকাল বেঁচে থাকেন যে কারণে তাঁর নামের পূর্বে Mu’ammar বা দীর্ঘজীবী শব্দটি ব্যবহার করা হয়। কেহ কেহ তাঁকে আ’দ সম্প্রদায়ের সমসাময়িক মনে করে। আ’দ সম্প্রদায়ের জন্য দেখুন টিকা ১০৪০ ও আয়াত ৬৫। তিনি ছিলেন প্রকৃত জ্ঞানী। তার সম্বন্ধে বলা হয় তিনি ছিলেন গরীব,অথবা ক্রীতদাস অথবা সুত্রধর এবং তিনি রাজকীয় ক্ষমতাকে প্রত্যাখান করেন। গ্রীক ট্রাডিশনে যেরূপ ঈশপের গল্প আছে , ঠিক সেরূপ কাহিনী প্রচলিত আছে লুকমান সম্পর্কে। লুকমান বা ঈশপ কারও ঐতিহাসিক পরিচিতি নাই সত্য, তবে ঐতিহ্যগতভাবে একের প্রভাব অন্যের উপরে লক্ষ্য করা যায়।
৩৫৯৪। দেখুন অনুরূপ আয়াত [ ১৪ : ৮ ]। এই আয়াতটির উপদেশ অত্যন্ত হৃদয়গ্রাহী। আল্লাহ্ প্রদত্ত নৈতিক নীতিমালার অনুসরণ দ্বারা আল্লাহ্র কোনও উপকার নাই। উপকার হচ্ছে ব্যক্তির নিজস্ব সুখ শান্তি। আল্লাহ্ অভাবমুক্ত। পৃথিবীর মানুষের কাছে তাঁর কিছু চাওয়া বা পাওয়ার নাই। আল্লাহ্ সকল প্রশংসার যোগ্য। আমাদের প্রশংসা আল্লাহ্র প্রয়োজন নাই। আল্লাহ্র মাহাত্ম্য বিশ্ব ব্রহ্মান্ডে ভাস্বর। আমাদের প্রশংসা বা নিন্দা তাকে উজ্জ্বল বা ম্লান করে না। আমরা আল্লাহ্র প্রশংসা করি আমাদের নিজস্ব আত্মিক উন্নতির জন্য। যেমন বিশাল উদ্ভিদ জগত- যা নিজ অস্তিত্বের জন্য সূর্যকিরণের ওপর নির্ভরশীল। কোন উদ্ভিদ কতটুকু ভোগ করলো তাতে সূর্যের কিছু যায় আসে না। কিন্তু উদ্ভিদের বৃদ্ধি, সজীবতা, সর্ব অস্তিত্বের জন্য সূর্য কিরণ অপরিহার্য। ঠিক সেরূপ আল্লাহ্র ইচ্ছার কাছে আমাদের ইচ্ছাকে আত্মসমর্পিত করলেই আমরা আমাদের অবস্থানকে আমাদের মূল প্রকৃতির সাথে সমন্বিত করতে পারবো। আদিতে বিশ্বস্রষ্টা আমাদের প্রকৃতিকে করেছেন নির্মল। একমাত্র আল্লাহ্ প্রদত্ত নৈতিক নীতিমালা অনুসরণের মাধ্যমেই তার মূল নির্মলতা বজায় থাকে। আল্লাহ্র প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ দ্বারা আল্লাহ্র কোনও উপকার নাই। কারণ আল্লাহ্ অভাবমুক্ত। উপকার যা তা আমাদের নিজস্ব।কারণ কৃতজ্ঞ অন্তরে শান্তি বিরাজ করে, অকৃতজ্ঞ অন্তরে বিরাজ করে হাহাকার – যা দোযখের আগুনের সমতুল্য।