আলিফ-লাম-মীম।
AlifLâmMîm. [These letters are one of the miracles of the Qur’ân, and none but Allâh (Alone) knows their meanings].
الم
Alif-lam-meem
YUSUFALI: A. L. M.
PICKTHAL: Alif. Lam. Mim.
SHAKIR: Alif Lam Mim.
KHALIFA: A. L. M.
০১। আলিফ্ , লাম , মিম।
০২। এগুলি জ্ঞানগর্ভ কিতাবের আয়াত ৩৫৮০-
৩৫৮০। এই সূরাটিতে জ্ঞান [Wisdom] সম্পর্কে বলা হয়েছে। কোরাণকে যথার্থভাবেই জ্ঞানগর্ভ কিতাব অথবা জ্ঞানের ভান্ডার বলা হয়েছে। নীচে ১২ নং আয়াতে লুকমানকে জ্ঞানী [Hakim] বলে সম্বোধন করা হয়েছে। এই জ্ঞানী বা হাকিম কথাটি দ্বারা বোঝায় যে তিনি পার্থিব ও ঐশ্বরিক বা আধ্যাত্মিক জ্ঞানেই শুধু সমৃদ্ধ ছিলেন না , তার প্রতিদিনের জীবন বিধান [Amal] ছিলো আল্লাহ্র উদ্দেশ্যে নিবেদিত এবং সঠিক। প্রতিটি বিষয়ে তাঁর জ্ঞান ছিলো সঠিক, এবং বাস্তব , কিন্তু তা কখনও পূর্ণাঙ্গ ছিলো না, কারণ কোনও মানুষেরই জ্ঞান পূর্ণতা প্রাপ্ত পেতে পারে না। এই পূর্ণতা পেতে হলে ব্যক্তিকে একাধারে বীর যোদ্ধা, সমাজ সংস্কারক,মনুষ্য চরিত্রের জ্ঞান ও প্রকৃতির সকল জ্ঞানের সাথে ঐশ্বরিক জ্ঞানের অধিকারী হতে হয়। শুধুমাত্র পার্থিব সকল কিছু এবং সমাজ, সংসার ত্যাগ করে আধ্যাত্মিক ও ঐশ্বরিক জ্ঞানের অধিকারী ব্যক্তিকে জ্ঞানে সম্পূর্ণ বলা চলে না। একমাত্র আমাদের সম্মানীয় নবীর চরিত্রে এরূপ সকল জ্ঞানের সম্পূর্ণতা পাওয়া যায়। একাধারে তিনি ছিলেন যুগান্তকারী সমাজ সংস্কারক, বিচক্ষণ রাষ্ট্র নেতা, অসীম সাহসিক যোদ্ধা,আবার আধ্যাত্মিক জ্ঞান ও ঐশ্বরিক চেতনায় সমৃদ্ধ। স্নেহময় পিতা, প্রেমময় স্বামী, গৃহীরূপে তিনি ছিলেন অনন্য। তাঁর মাধ্যমে আল্লাহ্ যে কিতাব প্রেরণ করেন তা শুধুমাত্র আধ্যাত্মিক প্রয়োজনের সম্পূরক নয়। তা হচ্ছে মানুষের জীবনের আধ্যাত্মিক ও পার্থিব সকল প্রয়োজনের সঠিক দিক্ নির্দ্দেশনা। এই কারণেই জ্ঞানগর্ভ কিতাব [Kitab-ul- Hakim] হচ্ছে কোরাণের অপর নাম।