যেদিন কেয়ামত সংঘটিত হবে, সেদিন অপরাধীরা কসম খেয়ে বলবে যে, এক মুহুর্তেরও বেশী অবস্থান করিনি। এমনিভাবে তারা সত্যবিমুখ হত।
And on the Day that the Hour will be established, the Mujrimûn (criminals, disbelievers, polytheists, sinners, etc.) will swear that they stayed not but an hour, thus were they ever deluded [away from the truth (i.e they used to tell lies and take false oaths, and turn away from the truth) in this life of the world)].
وَيَوْمَ تَقُومُ السَّاعَةُ يُقْسِمُ الْمُجْرِمُونَ مَا لَبِثُوا غَيْرَ سَاعَةٍ كَذَلِكَ كَانُوا يُؤْفَكُونَ
Wayawma taqoomu alssaAAatu yuqsimu almujrimoona ma labithoo ghayra saAAatin kathalika kanoo yu/fakoona
YUSUFALI: On the Day that the Hour (of Reckoning) will be established, the transgressors will swear that they tarried not but an hour: thus were they used to being deluded!
PICKTHAL: And on the day when the Hour riseth the guilty will vow that they did tarry but an hour – thus were they ever deceived.
SHAKIR: And at the time when the hour shall come, the guilty shall swear (that) they did not tarry but an hour; thus are they ever turned away.
KHALIFA: On the day when the Hour comes to pass, the guilty will swear that they lasted (in this world) only one hour. That is how wrong they were.
৫৫। যে দিন [ হিসাব -নিকাশের ] সময় প্রতিষ্ঠিত হবে ৩৫৭৩; সীমালংঘনকারীরা শপথ করে বলবে যে তারা এক ঘণ্টার বেশী অবস্থান করে নাই। এ ভাবেই তারা সত্য ভ্রষ্ট হতো।
৩৫৭৩। বর্তমান পৃথিবীতে নানাধরণের অসমতা ও পার্থক্য চোখে পড়ে। এখানে ভালোরা দুর্বল, এবং নির্যাতিত, অপরপক্ষে, অত্যাচারী পার্থিব উন্নতি করে ইত্যাদি। কিন্তু শেষ বিচারের দিনে এসব বৈষম্য দূর করে দেয়া হবে এবং সমতা আনায়ন করে প্রকৃত মূল্যবোধকে প্রতিষ্ঠিত করা হবে। সেই সময় এতটাই হঠাৎ করে আসবে যে অপরাধীরা আশ্চর্যান্বিত হয়ে পড়বে। তারা বিভ্রান্ত হয়ে পড়বে, কারণ যে সময়কে তারা মনে করতো তাদের বিজয় হয়েছে, অথবা তারা মনে করতো তারা যা খুশী করতে পারে, সে সময় অনন্ত কাল স্থায়ী নয়। আল্লাহ্ তাদের কিছুটা অবসর দান করেছিলেন তাদের সংশোধনের জন্য এবং আল্লাহ্র অনুগ্রহ ও করুণা লাভের জন্য। যারা তা না পারে শাস্তি তাদের জন্য। অর্থাৎ যারা অপরাধী তারা এই পার্থিব জীবন নিয়ে এত মগ্ন থাকবে যে, তাদের ধ্যান ধারণায় পরলোকের জীবনের কোনও চিন্তাই স্থান পাবে না। তাদের ধারণা হবে, পৃথিবীর জীবনে শঠতা ও অন্যায় দ্বারা তারা যেরূপ সর্ব কাজে সাফল্য লাভ করতো, পরলোকের জীবনেও তারা সেরূপ আল্লাহ্র শাস্তিকে কৌশলে এড়ানোর জন্য সক্ষম হবে।