আর যারা কাফের এবং আমার আয়াতসমূহ ও পরকালের সাক্ষাতকারকে মিথ্যা বলছে, তাদেরকেই আযাবের মধ্যে উপস্থিত করা হবে।
And as for those who disbelieved and belied Our Ayât (proofs, evidences, verses, lessons, signs, revelations, Allâh’s Messengers, Resurrection, etc.), and the Meeting of the Hereafter, such shall be brought forth to the torment (in the Hell-fire).
وَأَمَّا الَّذِينَ كَفَرُوا وَكَذَّبُوا بِآيَاتِنَا وَلِقَاء الْآخِرَةِ فَأُوْلَئِكَ فِي الْعَذَابِ مُحْضَرُونَ
Waamma allatheena kafaroo wakaththaboo bi-ayatina waliqa-i al-akhirati faola-ika fee alAAathabi muhdaroona
YUSUFALI: And those who have rejected Faith and falsely denied our Signs and the meeting of the Hereafter,- such shall be brought forth to Punishment.
PICKTHAL: But as for those who disbelieved and denied Our revelations, and denied the meeting of the Hereafter, such will be brought to doom.
SHAKIR: And as to those who disbelieved and rejected Our communications and the meeting of the hereafter, these shall be brought over to the chastisement.
KHALIFA: As for those who disbelieve, and reject our revelations and the meeting of the Hereafter, they will last in the retribution forever.
১৫। তখন, যারা ঈমান এনেছিলো এবং সৎকাজ করেছিলো তাদের পরম আনন্দধারায় সুখী করা হবে।
১৬। এবং যারা ঈমানকে প্রত্যাখান করেছিলো এবং মিথ্যাচারে আমার আয়াতসমূহ এবং পরকালের সাক্ষাতকে অস্বীকার করেছিলো , – তারাই শাস্তি ভোগ করতে থাকবে।
১৭। সুতারাং যখন তুমি সন্ধ্যায় উপনীত হবে এবং প্রভাতে জাগরিত হবে আল্লাহকে মহিমান্বিত কর ৩৫২১।
১৮। হ্যাঁ , আকাশমন্ডলী ও পৃথিবীতে সমস্ত প্রশংসা তারই এবং [ মহিমা ঘোষণা কর ] শেষ বিকেলে এবং দিন যখন শেষ হতে শুরু করে
৩৫২১। আল্লাহ্কে স্মরণ করার বা নামাজ পড়ার বিশেষ সময়গুলির কথা এখানে উল্লেখ করা হয়েছে। সারাদিনের সকল কর্মের মাঝে-ই তাঁকে স্মরণ করতে হবে। নামাজের ওয়াক্তগুলি ঠিক সে ভাবেই নির্ধারিত করা হয়েছে। লক্ষ্য করার বিষয় হচ্ছে, সূর্যের অবস্থানের সাথে আমাদের দৈনন্দিক জীবন প্রবাহ পরিচালিত হয়, আর সেই জীবন প্রবাহের সাথে সমন্বিত করে সূর্যের অবস্থানকে মানদণ্ড হিসেবে পরিগণিত করে নামাজের সময়কে ধার্য করা হয়েছে। এই আয়াতের নির্দ্দেশ অনুযায়ী মদিনাতে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের আদেশ ঘোষণা করা হয়; যথা :
১) প্রভাতে সূর্য দিগন্তে ওঠার পূর্বে ফজরের নামাজ ;
২) যখন সূর্য মধ্যাহ্ন গগন অতিক্রম করে, পশ্চিম দিকে হেলে যায়, অর্থাৎ জুহরের নামাজ;
৩) অপরাহ্ন অর্থাৎ সূর্যের ঠিক মধ্যগগনে অবস্থান থেকে সূর্যাস্তের মধ্যবর্তী সময়ের মাঝামাঝি হচ্ছে আছরের সময় এবং
৪) ও ৫) হচ্ছে সন্ধ্যার নামাজ। একটি হচ্ছে সূর্য ডোবার সাথে সাথে অর্থাৎ মাগরিবের নামাজ; অন্যটি হচ্ছে দিকচক্রবাল থেকে গোধূলি অতিক্রান্ত হওয়ার পরে রাতের শুরুতে অর্থাৎ এশার নামাজ।
এর পরেই মানুষের কর্মময় দিনের সমাপ্তি ঘটে এবং মানুষ বিশ্রামের জন্য সুপ্তির কোলে আশ্রয় গ্রহণ করে। দেখুন আয়াত [ ১১ : ১১৪ ] ও টিকা ১৬১৬ – ১৭ ; আয়াত [ ১৭ : ৭৮-৭৯ ] ও টিকা ২২৭৫ ; আয়াত [২০ : ১৩০ ] ও টিকা ২৬৫৫।