তারা কি তাদের মনে ভেবে দেখে না যে, আল্লাহ নভোমন্ডল, ভূমন্ডল ও এতদুভয়ের মধ্যবর্তী সবকিছু সৃষ্টি করেছেন যথাযথরূপে ও নির্দিষ্ট সময়ের জন্য, কিন্তু অনেক মানুষ তাদের পালনকর্তার সাক্ষাতে অবিশ্বাসী।
Do they not think deeply (in their ownselves) about themselves (how Allâh created them from nothing, and similarly He will resurrect them)? Allâh has created not the heavens and the earth, and all that is between them, except with truth and for an appointed term. And indeed many of mankind deny the Meeting with their Lord. [See Tafsir AtTabarî, Part 21, Page 24].
أَوَلَمْ يَتَفَكَّرُوا فِي أَنفُسِهِمْ مَا خَلَقَ اللَّهُ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضَ وَمَا بَيْنَهُمَا إِلَّا بِالْحَقِّ وَأَجَلٍ مُّسَمًّى وَإِنَّ كَثِيرًا مِّنَ النَّاسِ بِلِقَاء رَبِّهِمْ لَكَافِرُونَ
Awa lam yatafakkaroo fee anfusihim ma khalaqa Allahu alssamawati waal-arda wama baynahuma illa bialhaqqi waajalin musamman wa-inna katheeran mina alnnasi biliqa-i rabbihim lakafiroona
YUSUFALI: Do they not reflect in their own minds? Not but for just ends and for a term appointed, did Allah create the heavens and the earth, and all between them: yet are there truly many among men who deny the meeting with their Lord (at the Resurrection)!
PICKTHAL: Have they not pondered upon themselves? Allah created not the heavens and the earth, and that which is between them, save with truth and for a destined end. But truly many of mankind are disbelievers in the meeting with their Lord.
SHAKIR: Do they not reflect within themselves: Allah did not create the heavens and the earth and what is between them two but with truth, and (for) an appointed term? And most surely most of the people are deniers of the meeting of their Lord.
KHALIFA: Why do they not reflect on themselves? GOD did not create the heavens and the earth, and everything between them, except for a specific purpose, and for a specific life span. However, most people, with regard to meeting their Lord, are disbelievers.
০৮। তারা কি নিজেদের অন্তরে [ গভীর ভাবে ] ভেবে দেখে না ? আল্লাহ্ আকাশমন্ডলী, পৃথিবী এবং উহাদের মধ্যবর্তী যা কিছু আছে তা যথাযথ ভাবে এবং এক নির্দ্দিষ্টকালের জন্যই সৃষ্টি করেছেন ৩৫১৩। তবুও মানুষের মধ্যে অনেকেই তাদের প্রভুর সাথে [ পুনরুত্থানের দিনের ] সাক্ষাতকে অস্বীকার করে থাকে ৩৫১৪।
৩৫১৩। দেখুন আয়াত [ ১৫ : ৮৫ ]। ক্ষমতা, পার্থিব সম্পদ, সকল কিছুই ক্ষণস্থায়ী। এখানে মানবকে উপলব্ধি করতে বলা হয়েছে যে, ” পার্থিব জীবনের বাহ্য দিক” ; এমন কি ক্ষমতা সম্পদ সবই জোয়ার ভাঁটার ন্যায় – যার উত্থান ও পতন ঘটে থাকে। এখানে আরও গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে যে, এই উত্থান ও পতন ঘটে থাকে ” এক নির্দ্দিষ্ট কালের জন্য”। কোনও জাতি বা ব্যক্তি আল্লাহ্র করুণা লাভে ক্ষমতাশালী হয়; আবার “নির্দ্দিষ্ট সময়” অতিক্রান্ত হলে যখন আল্লাহ্র আর্শিবাদ প্রাপ্ত জাতি বা ব্যক্তি আল্লাহ্র বিধানকে ভুলে যায় , তখন পরাক্রমশালী জাতি বা ব্যক্তি বিশেষ ধ্বংস প্রাপ্ত হয়। এই হচ্ছে আল্লাহ্র আইন বা বিধান। যাকে আল্লাহ্ ক্ষমতা ও প্রভাব, প্রতিপত্তি , সুযোগ সুবিধা দ্বারা অনুগ্রীহিত করেছেন সে যেনো ভুলে না যায় যে আল্লাহ্র এই অনুগ্রহ তাকে অনন্ত কালের জন্য দেয়া হয় নাই। আল্লাহ্ তাঁর পরিকল্পনাকে , তাঁর সৃষ্টিকে এক নির্দ্দিষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছানোর জন্য কাউকে কাউকে তাঁর বিশেষ অনুগ্রহে ধন্য করেন। আল্লাহ্র পরিকল্পনার মহত্তর , উচ্চতর লক্ষ্যে পৌঁছানোর জন্য তাদের বিশেষ অনুগ্রহে ধন্য করা হয়। যেমন কালজয়ী লেখক, শিল্পী, বিজ্ঞানী, দার্শনিক ইত্যাদি। এরা পৃথিবীতে এক একটি যুগের সৃষ্টি করে থাকেন, এবং পৃথিবীর সভ্যতাকে এগিয়ে নিয়ে চলেন। কিন্তু আল্লাহ্ যাকে যে নেয়ামত দিয়ে থাকেন তার চুলচেরা হিসাব তাকে আল্লাহ্র নিকট দাখিল করতে হবে। এ ব্যাপারে প্রত্যেকেই ব্যক্তিগত দায়-দায়িত্বের অধীন। ” যথাযথ ” শব্দটি দ্বারা উপরের বক্তব্যকেই বোঝানো হয়েছে।
৩৫১৪। উপরের বক্তব্যের সুত্র ধরে বলা হয়েছে যে, আশ্চর্য্য ঘটনা হচ্ছে মানুষ প্রকৃত সত্যকে অনুধাবনে অক্ষম। শুধু যে অক্ষম হয় তাই-ই নয় আল্লাহ্র নেয়ামত প্রাপ্ত ব্যক্তিরা পরলোককেও অস্বীকার করে থাকে। তারা শেষ বিচারের দিন ও আল্লাহ্র সাথে মৃত্যুর পরে সাক্ষাৎকারকেও অস্বীকার করে থাকে। পৃথিবীর “শিক্ষানবীশকালে” যে সত্যকে অনুধাবন করে সেই অনুযায়ী আল্লাহ্র নেয়ামতকে ব্যবহার করা উচিত ছিলো ; আল্লাহ্র অনুগ্রহ লাভে তারা গর্বে অহংকারে স্ফীত হয়ে তা অনুধাবনে ব্যর্থ হয়। পরবর্তী আয়াতে তাদের ইতিহাস থেকে শিক্ষা নিতে বলা হয়েছে।