এভাবেই আমি আপনার প্রতি কিতাব অবর্তীণ করেছি। অতঃপর যাদের কে আমি কিতাব দিয়েছিলাম, তারা একে মেনে চলে এবং এদেরও (মক্কাবাসীদেরও) কেউ কেউ এতে বিশ্বাস রাখে। কেবল কাফেররাই আমার আয়াতসমূহ অস্বীকার করে।
And thus We have sent down the Book (i.e this Qur’an) to you (O Muhammad SAW), and those whom We gave the Scripture [the Taurât (Torah) and the Injeel (Gospel) aforetime] believe therein as also do some of these (who are present with you now like ’Abdullâh bin Salâm) and none but the disbelievers reject Our Ayât [(proofs, signs, verses, lessons, etc., and deny Our Oneness of Lordship and Our Oneness of worship and Our Oneness of Our Names and Qualities: i.e. Islâmic Monotheism)].
وَكَذَلِكَ أَنزَلْنَا إِلَيْكَ الْكِتَابَ فَالَّذِينَ آتَيْنَاهُمُ الْكِتَابَ يُؤْمِنُونَ بِهِ وَمِنْ هَؤُلَاء مَن يُؤْمِنُ بِهِ وَمَا يَجْحَدُ بِآيَاتِنَا إِلَّا الْكَافِرُونَ
Wakathalika anzalna ilayka alkitaba faallatheena ataynahumu alkitaba yu/minoona bihi wamin haola-i man yu/minu bihi wama yajhadu bi-ayatina illa alkafiroona
YUSUFALI: And thus (it is) that We have sent down the Book to thee. So the People of the Book believe therein, as also do some of these (pagan Arabs): and none but Unbelievers reject our signs.
PICKTHAL: In like manner We have revealed unto thee the Scripture, and those unto whom We gave the Scripture aforetime will believe therein; and of these (also) there are some who believe therein. And none deny Our revelations save the disbelievers.
SHAKIR: And thus have We revealed the Book to you. So those whom We have given the Book believe in it, and of these there are those who believe in it, and none deny Our communications except the unbelievers.
KHALIFA: We have revealed to you this scripture, and those whom we blessed with the previous scripture will believe in it. Also, some of your people will believe in it. Indeed, those who disregard our revelations are the real disbelievers.
৪৭। এবং এভাবেই ৩৪৭৫ আমি তোমার নিকট কিতাব অবতীর্ণ করেছি। অতএব কিতাব প্রাপ্ত সম্প্রদায় তাতে বিশ্বাস স্থাপন করে ৩৪৭৬, এবং এদেরও [ মুশরিক আরবেরা ] কেউ কেউ আছে যারা এর প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করে ৩৪৭৭। এবং অবিশ্বাসীরা ব্যতীত কেহই আমার নিদর্শন প্রত্যাখান করে না।
৩৪৭৫। উপরে ইসলামের মর্মার্থের যে বর্ণনা দেয়া হয়েছে এই মূলনীতির উপরে ভিত্তি করে যুগে যুগে প্রত্যাদেশ আল্লাহ্র নিকট থেকে আগত। আল্লাহ্ এক এবং অদ্বিতীয়। সুতারাং স্থান ভেদে এবং সময়ের পরিবর্তনে এক আল্লাহ্র বাণী বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন রাসুলের নিকট প্রেরিত হতে পারে , কিন্তু তার মূলনীতির কোনও পরিবর্তন সম্ভব নয়। কারণ বিশ্বস্রষ্টা আল্লাহ্ এক জনই এবং তিনি স্থান, কাল ও পাত্রের উর্দ্ধে। বিভিন্ন ধর্মের মধ্যে যে পার্থক্য লক্ষ্য করা যায়,তা যুগের দাবীর সাথে সামঞ্জস্য বিধান করে যুগের প্রয়োজনে যুগোপযোগী করা হয়েছে মাত্র।
৩৪৭৬। ধর্মপ্রাণ ইহুদী এবং খৃষ্টানেরা তাদের ধর্মগ্রন্থের বর্ণনা থেকে রসুলকে [ সা ] এবং তাঁর প্রচারিত ধর্মকে সনাক্ত করতে সক্ষম হয়েছিলো। সেই প্রেক্ষিতে কোন কোন ইহুদী ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে মুসলমানে রূপান্তরিত হয়। সূরা [ ২৬ : ১৯৭ ] আয়াতে এবং টিকা ৩২২৭ এ এদের বর্ণনা আছে। খৃষ্টানদের মধ্যেও ইসলামের বাণী প্রসার লাভ করতে থাকে। রাসুল [সা ] ৬ষ্ঠ বা ৭ম হিজরীতে আরবের চর্তুদ্দিকে প্রধান প্রধান দেশগুলিতে রাষ্ট্রদূত প্রেরণ করেনঃ যেমন বাইজানটাইন সাম্রাজ্যে [ কনস্টান্টিনেপ্লস ] , পারস্য সাম্রাজ্যের রাজধানীতে[ মাদাইন] , সাসানিয়ানের [Sasanian] রাজধানীতে, যাকে পশ্চিমা বিশ্ব গ্রীক নাম টেসিফোন [Ctesi phone] নামে চেনে, [ এর অবস্থান বর্তমান বাগদাদের ত্রিশ মাইল দক্ষিণে ] , সিরিয়া , আবেসিনিয়া, এবং মিশর দেশ। পারস্য ব্যতীত অন্য সকল দেশই ছিলো খৃষ্টান ধর্মালম্বী। একই সময়ে আরবের ইয়ামামাতে রাষ্ট্রদূত প্রেরণ করা হয়; যেখানে খৃষ্টধর্মালম্বী বানু হানিফা গোত্র বসবাস করতো। ইয়ামামার অবস্থান হিজাজের পূর্বে। আবেসিনিয়া ব্যতীত অন্য সমস্ত দেশই শেষ পর্যন্ত ইসলাম গ্রহণ করে। আবেসিনিয়াতে বর্তমানে বহু মুসলমান বাস করে। সাধারণ ভাবে এ কথা সত্য যে, ৭ম হিজরীতে খৃষ্টান অধ্যুষিত দেশসমূহ সম্পূর্ণরূপে ইসলামের পতাকাতলে আশ্রয় গ্রহণ করে। খৃষ্টানদের মাঝে অল্প কিছু যারা ইসলাম গ্রহণে বিরত থাকে তারা নূতন দেশে তাদের কার্যকলাপ বিস্তৃত করে। রোমান ক্যাথলিক চার্চ উত্তরের [Germanic] প্যাগানদের ধর্মান্তরিত করে। বাইজেনটাইন চার্চ পূর্বের [Slavonic] প্যাগানদের ধর্মান্তরিত করে। ১৬শ শতাব্দীতে প্রোটেস্টান চার্চ খৃষ্টান ধর্মকে নূতন ভাবে সংস্কার করে যার সাথে ইসলামের রীতিনীতির মিল খুঁজে পাওয়া যায়, যেমন , পৌরহিত্য প্রথার বিলোপ সাধন, ব্যক্তিগত দায়-দায়িত্ব , ধর্মের আনুষ্ঠানিকতা হ্রাসকরণ, জীবনের প্রাত্যহিক কর্তব্য কর্মকে সহজ রূপে রূপান্তরিত করার উপরে গুরুত্ব আরোপ করা হয়।
৩৪৭৭। আরব প্যাগান বা মুশরেকরা ধীরে ধীরে ইসলামের পতাকাতলে সমবেত হয়। কেউ কেউ বলতে আরব মুশরেকদের বোঝানো হয়েছে।