যারা আল্লাহর পরিবর্তে অপরকে সাহায্যকারীরূপে গ্রহণ করে তাদের উদাহরণ মাকড়সা। সে ঘর বানায়। আর সব ঘরের মধ্যে মাকড়সার ঘরই তো অধিক দুর্বল, যদি তারা জানত।
The likeness of those who take Auliyâ’ (protectors and helpers) other than Allâh is as the likeness of a spider, who builds (for itself) a house, but verily, the frailest (weakest) of houses is the spider’s house; if they but knew.
مَثَلُ الَّذِينَ اتَّخَذُوا مِن دُونِ اللَّهِ أَوْلِيَاء كَمَثَلِ الْعَنكَبُوتِ اتَّخَذَتْ بَيْتًا وَإِنَّ أَوْهَنَ الْبُيُوتِ لَبَيْتُ الْعَنكَبُوتِ لَوْ كَانُوا يَعْلَمُونَ
Mathalu allatheena ittakhathoo min dooni Allahi awliyaa kamathali alAAankabooti ittakhathat baytan wa-inna awhana albuyooti labaytu alAAankabooti law kanoo yaAAlamoona
YUSUFALI: The parable of those who take protectors other than Allah is that of the spider, who builds (to itself) a house; but truly the flimsiest of houses is the spider’s house;- if they but knew.
PICKTHAL: The likeness of those who choose other patrons than Allah is as the likeness of the spider when she taketh unto herself a house, and lo! the frailest of all houses is the spider’s house, if they but knew.
SHAKIR: The parable of those who take guardians besides Allah is as the parable of the spider that makes for itself a house; and most surely the frailest of the houses is the spider’s house did they but know.
KHALIFA: The allegory of those who accept other masters beside GOD is that of the spider and her home; the flimsiest of all homes is the home of the spider, if they only knew.
৪১। আল্লাহ্ ব্যতীত যারা অন্যকে রক্ষাকর্তারূপে গ্রহণ করেছে, তাদের উপমা হচ্ছে মাকড়সা , যে [ নিজের জন্য ] ঘর তৈরী করে। কিন্তু প্রকৃত সত্য হচ্ছে সকল ঘরের মধ্যে মাকড়সার ঘরই সর্বাপেক্ষা দুর্বল ৩৪৬৬, ৩৪৬৭। [অবশ্য ] যদি তারা তা বুঝতে পারতো।
৩৪৬৬। মাকড়সার বাসা আল্লাহ্র সৃষ্টির এক অপূর্ব নিদর্শন। মাকড়সা তার গ্ল্যান্ড থেকে সরু সিল্কের ন্যায় সূতো বের করে বাসা বানায়। পৃথিবীতে বহু ধরণের মাকড়সা আছে, তবে সাধারণতঃ দুই ধরণের বাসা উল্লেখযোগ্য। এক ধরণের হচ্ছে ফাঁপা নলের ন্যায় বাসা বা জালের ন্যায়। এটা তাদের প্রাসাদ বা সুরক্ষিত দুর্গ। এগুলির সাথে থাকে একটি বা দুটি শিকার ধরার ফাঁদ। তবে সাধারণতঃ আমরা যে সব মাকড়সার জাল দেখি সেগুলির একটি মধ্যবিন্দু থাকে। সেই মধ্যবিন্দু কে কেন্দ্র করে চতুর্দ্দিকে কতকগুলি টানা থাকে এবং এই সব টানার সাথে মাকড়সারা তাদের জাল বোনে। এটা তাদের বাসা বা শিকারের জন্য ফাঁদ। মাকড়সার জাল বা বাসা শুধু যে শিল্পনৈপুন্যের উদাহরণ তাই নয় তা হচ্ছে মাকড়সার সম্পদ ও শক্তির নির্দ্দেশক। যদি কোন পতঙ্গ তার জালে আটকে যায়। তাহলে টানা গুলির মাধ্যমে পতঙ্গের নড়াচড়ার তরঙ্গ সর্বদিকে বিস্তারিত হয় এবং তা মাকড়সার নিকট পৌঁছায়। তখন মাকড়সা শিকারকে হত্যা করার জন্য অগ্রসর হয়। কিন্তু যদি শিকার আকারে বড় হয়, তবে মাকড়সা তার শরীরের গ্ল্যান্ড থেকে এক ধরনের বিষাক্ত পদার্থ শিকারের শরীরে প্রবেশ করিয়ে দেয়। ফলে শিকার মৃত্যু বরণ করে। সাধারণতঃ মাকড়সা তার জালের কেন্দ্র বিন্দুতে অবস্থান করে, অথবা পাতার আড়ালে বা ফাটলের আড়ালে লুকিয়ে থাকে , কিন্তু তার হাতে উর্ণনাভের একটি সূতো সব সময়েই থাকে যেনো শিকার জালে পড়ার সাথে সাথে সে সংবাদ পায়। এ যেনো ঠিক টেলিফোনে সংবাদ প্রাপ্তির মত। বিশেষতঃ স্ত্রী মাকড়সা পুরুষ মাকড়সার থেকে বড় হয়। আরবীতে মাকড়সার স্ত্রী বর্গ নাম [Generic gender] হচ্ছে আনকাবুত।
৩৪৬৭। এই আয়াতে ঊর্ণনাভকে ব্যবহার করা হয়েছে রূপক হিসেবে। মাকড়সার অনুপাতে তাঁর জাল অত্যন্ত মজবুত ও কৌশলপূর্ণ সন্দেহ নাই। কিন্তু বাস্তব পৃথিবীতে মাকড়সার জাল অত্যন্ত শক্তিহীন , বিশেষতঃ যখন তা বাতাসে ভেসে বেড়ায়। ঠিক সেরূপ শক্তিহীন, ও দুর্বল মানুষের পার্থিব সহায় সম্পদ, শক্তি তা যতই সুন্দর , মজবুত ও কৌশলপূর্ণ হোক না কেন ; আল্লাহ্র অসীম ক্ষমতার নিকট মানুষের সকল শক্তি, সম্পদ, কলাকৌশল অতি তুচ্ছ। মাকড়সার সুক্ষ কৌশলপূর্ণ স্থাপত্য মানুষের হাতের এক ধাক্কা সহ্য করতে পারে না। ঠিক সেরূপ সেই অসীম শক্তির নিকট মানুষের দম্ভ, অহংকার,সব কিছু মূহুর্তে ধূলিসাৎ হয়ে যায়। কিন্তু মানুষ তা বুঝতে চায় না।