আপনি আশা করতেন না যে, আপনার প্রতি কিতাব অবর্তীর্ণ হবে। এটা কেবল আপনার পালনকর্তার রহমত। অতএব আপনি কাফেরদের সাহায্যকারী হবেন না।
And you were not expecting that the Book (this Qur’ân) would be sent down to you, but it is a mercy from your Lord. So never be a supporter of the disbelievers.
وَمَا كُنتَ تَرْجُو أَن يُلْقَى إِلَيْكَ الْكِتَابُ إِلَّا رَحْمَةً مِّن رَّبِّكَ فَلَا تَكُونَنَّ ظَهِيرًا لِّلْكَافِرِينَ
Wama kunta tarjoo an yulqa ilayka alkitabu illa rahmatan min rabbika fala takoonanna thaheeran lilkafireena
YUSUFALI: And thou hadst not expected that the Book would be sent to thee except as a Mercy from thy Lord: Therefore lend not thou support in any way to those who reject (Allah’s Message).
PICKTHAL: Thou hadst no hope that the Scripture would be inspired in thee; but it is a mercy from thy Lord, so never be a helper to the disbelievers.
SHAKIR: And you did not expect that the Book would be inspired to you, but it is a mercy from your Lord, therefore be not a backer-up of the unbelievers.
KHALIFA: You never expected this scripture to come your way; but this is a mercy from your Lord. Therefore, you shall not side with the disbelievers.
৮৬। আর তুমি তো আশা কর নাই যে, তোমার নিকট কিতাব প্রেরণ করা হবে। ইহা তো কেবল তোমার প্রভুর অনুগ্রহ ৩৪১৮। অতএব, কোন ভাবেই তুমি তাদের সমর্থন করো না যারা [আল্লাহ্র বাণীকে ] প্রত্যাখান করে ৩৪১৯।
৩৪১৮। আল্লাহ্র প্রত্যাদেশ লাভ করা এবং সত্যকে প্রচার করা হচ্ছে বিরোধ , ও নির্যাতনের আরম্ভ। যিনি সত্যকে প্রচার করেন তাঁর জন্য শুরু হয় দুঃখময় ও যন্ত্রণাময় দিনের। জাগতিক দৃষ্টিভঙ্গীতে বিচার করলে একে দুঃখময় রাত্রি বলা চলে – কিন্তু প্রকৃত পক্ষে তা হচ্ছে আল্লাহ্র করুণা লাভের পূর্বশর্ত। আল্লাহ্র অনুগ্রহ বান্দা লাভ করে অপ্রত্যাশিত ভাবে। নবী রসুলদের নিকটও আল্লাহ্র প্রত্যাদেশ বা অনুগ্রহ এসেছে অপ্রত্যাশিত ভাবে। তাঁরা সজ্ঞানে বা সচেতন ভাবে প্রত্যাদেশের জন্য প্রার্থনা করেন নাই। ধর্মীয় ইতিহাসে এ কথা প্রমাণিত হয়েছে হযরত মুসার জীবনে, আমাদের রাসুলের [সা ] জীবনে। এই আয়াত তারই উল্লেখ আছে।
৩৪১৯। পৃথিবীতে যুগে যুগে যখনই সত্য ও ন্যায় প্রতিষ্ঠিত করার চেষ্টা করা হয়, অন্যায় , অসত্য ও পাপ তাদের সর্বশক্তি দিয়ে তা প্রতিরোধ করে। কারণ পাপীদের নিকট আল্লাহ্র বাণী সর্বদাই অরুচীকর মনে হবে। অন্যায় ও অসত্যের প্রতিরোধের ক্ষমতায় অনেকের মন দ্বিধাগ্রস্থ হতে পারে – এরা মনে করে যে, কাফেরদের প্রতিরোধে যে পরিস্থিতির উদ্ভব হয় তা কি আল্লাহ্র -ই ইচ্ছার প্রকাশ নয় ? তাদের এই দ্বিধা গ্রস্থ মনোভাব পরোক্ষভাবে কাফেরদের প্রতিরোধ এবং আক্রমণাত্মক মনোভাবকে সহযোগীতা দান করে থাকে। সুতারাং আল্লাহ্র হুকুম হচ্ছে আল্লাহ্র সৈনিকরা দৃঢ় ও নির্ভিকভাবে কাফেরদের বিরুদ্ধে দাড়াবে। তাঁরা হচ্ছে আল্লাহ্র ‘মুজাহিদ ‘ বা সত্যের নির্ভিক সৈনিক।তারা হবে দুঃসাহসিক কারণ তারা জানে আল্লাহ্ তাঁদের সহায়।